1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাগর-রুনি

৭ এপ্রিল ২০১২

‘‘মৃত্যুর আগে আমি শুধু জেনে যেতে চাই, আমার ছেলেকে কেন মারা হলো?’’, সরকারের কাছে এই আকুতি সাংবাদিক সাগর সরওয়ারের বৃদ্ধা মা সালেহা মনিরের৷ আদৌ কি তিনি এই প্রশ্নের উত্তর পাবেন?

Former DW Editor Sagar Sarowar with his wife and son: Mr Sarowar was killed in Dhaka with his wife on February 11, 2012. Foto: Mohammad Zahidul Haque
DW Redakteur Sagar Sarowar Dhakaছবি: DW

একই উত্তর খুঁজছেন সাগরের স্ত্রী মেহেরুন রুনির স্বজনরা৷ আসলে বাংলাদেশের সাংবাদিক মহলের সকলেই আজ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন৷ তারা জানতে চান, খুনীদের ক্ষমতা কী সরকারের চেয়েও বেশি? ন্যায় বিচারের লম্বা হাত কি তাদের পর্যন্ত পৌঁছে না?

সাগরের মা সালেহা মনির গত দুইটি মাস ধরে ছেলে ও বৌয়ের হত্যার বিচার চেয়ে আসছেন৷ সরকারের প্রতি তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি শুধু জানতে চাই আমার ছেলেকে কেন মারা হলো?'' হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কোন অগ্রগতিও তিনি জানতে পারেননি৷ ‘‘পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তারা কেবল বলে তদন্তের খাতিরে কোন কিছু বলা যাবে না৷ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ মুখ খুলছে না'', বলেন তিনি৷ এই দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশ হয়েই এই বৃদ্ধার জিজ্ঞাসা, ‘‘আদৌ কি বিচার পাবো আমি?''

বন শহরে জাতিসংঘের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনছবি: DW

সরকারের কাছ থেকে এই প্রশ্নের যথার্থ উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি৷ গত ১১ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে নিজ বাসায় সাগর-রুনি দম্পতি নির্মমভাবে খুন হন৷ এর পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হুঙ্কার ছাড়েন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনীদের ধরা হবে৷ তার কিছুদিন পর তদন্তের দায়ভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের ঘাড়ে তুলে নেন৷ কিন্তু কথার ফানুসেই সেসব থাকে সীমাবদ্ধ৷ অন্যদিকে সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোও শুরুর দিকে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলনের ইঙ্গিত দেয়৷ তবে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তারা রোববারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত করে এক মাসের জন্য৷ তাই আগামী একমাস এই বিষয়ে কোন উচ্চবাচ্য করার সুযোগ আর থাকলো না সাংবাদিকদের৷

ব্লগেও চলছে প্রতিবাদছবি: Sagar Sarowar

অবশ্য বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল মনে করছেন এতে তাদের লাভ হয়েছে৷ প্রথমত: সরকার তাদের আন্দোলনের পর নাড়া খেয়েছে, তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তাদের ডেকেছেন৷ আর তাঁকে সম্মান জানাতেই সাংবাদিকরা আরও ধৈর্য ধারণ করছে৷ দ্বিতীয়ত: এই সময়সীমার মধ্যে কোন অগ্রগতি না হলে এরপর কঠোর আন্দোলন দিতে তাদের আর কোন পিছুটান থাকবে না৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ