1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাগর-রুনি হত্যা মামলা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৫ মার্চ ২০১৪

দু'বছর পার হলেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের কোনো অগ্রগতি হয়নি৷ তাই এবার জামিন চেয়েছেন আটককৃত ব্যক্তিরা৷ ওদিকে রুনির ভাই নওশের রোমান জানিয়েছেন, তাঁদেরও তদন্তের ব্যাপারে অন্ধকারে রাখা হয়েছে৷

Protest gegen Journalistenmord in Dhaka
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

আটককৃতরা জামিন চাওয়ায় হাইকোর্টের তলবে বুধবার সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ব়্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির হন৷ বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের বেঞ্চ মামলার অগ্রগতির বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য না শুনে ‘জামিন শুনানির এখতিয়ার আছে' – এমন বেঞ্চ বা প্রধান বিচারপতির কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করতে বলেন৷

এ সময় আসামিপক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন এসএম মাসুদ হোসেন দোলন৷ অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট গাজী মো. মামুনুর রশীদ৷

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ব়্যাবের সিনিয়র এএসপি মো. জাফর উল্লাহও নথিপত্র নিয়ে আদালতে হাজির ছিলেন৷ কিন্তু মামলার তদন্তে নতুন কোনো অগ্রগতির খবর তিনি দিতে পারেননি সাংবাদিকদের৷ আসামিদের আইনজীবী মাসুদ হোসেন দোলন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে যাব৷ তিনি যদি এই বেঞ্চে আসতে বলেন, তাহলে এই বেঞ্চেই শুনানি করব৷''

২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি ভোররাতে ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি৷ হত্যার রহস্যের কিনারা করতে না পারায় হাইকোর্টের নির্দেশেই ২০১২ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি মামলাটি পুলিশ থেকে ব়্যাবে স্থানান্তর করা হয়৷
ব়্যাব তদন্তের দায়িত্ব নেয়ার পর সন্দেহভাজন ১৬ জনের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়৷ এছাড়া আলামত হিসেবে জব্দকৃত ছুরি ও পোশাকের নমুনাও পাঠানো হয়৷ কিন্তু তাতেও হত্যাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি৷
হত্যাকাণ্ডের এক বছর আট মাস পর ঘটনায় ‘জড়িত' আটজনকে চিহ্নিত করে সাতজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর৷ এর মধ্যে পাঁচজনই আবার চিকিত্‍সক নেতা ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নিতাই হত্যা মামলার আসামি৷ আটকদের মধ্যে বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম ও কামরুল হাসান অরুণ নামে তিনজনের পক্ষে জামিনের আবেদন নিয়ে গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে যান তাঁদের আইনজীবী এস এম মাসুদ হোসেন দোলন৷

শুনানিতে তিনি বলেন, দু'বছর পেরিয়ে গেলেও এ মামলায় অভিযোগ-পত্র হয়নি৷ মামলার অগ্রগতি না হওয়ার পরও আসামিদের আটকে রাখা হয়েছে৷ তাঁদের জামিন দেয়া হোক৷ এরপর বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ জামিন শুনানির আগে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চান এবং এ জন্য ব়্যাবের তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন৷

সে অনুযায়ী, এএসপি জাফর উল্লাহ বুধবার সকালে আদালতে উপস্থিত হলেও মামলার নথি আসতে দেরি হওয়ায় শুনানি পিছিয়ে দুপুরে সময় রাখা হয়৷ আর তলবকারী বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব পাওয়ায় বিষয়টি শুনানির জন্য তোলা হয় বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের বেঞ্চে৷

ওদিকে রুনির ভাই নওশের রোমান ডয়চে ভেলেকে জানান, ব়্যাব তাঁদেরও মামলার তদন্ত নিয়ে কিছু জানাচ্ছে না৷ এমনকি জানতে চাইলেও তারা এড়িয়ে যাচ্ছে৷ বলতে গেলে গত এক বছর ধরে তাঁরাও এই মামলার তদন্ত নিয়ে অন্ধকারে আছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ