1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিআইডি-ই তদন্ত করবে

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১০ জুলাই ২০১৪

নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাতখুনের মামলার তদন্ত এককভাবে স্থানীয় ডিবি পুলিশকে দিয়ে করানোর সরকারি উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে৷ তাই এখন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সিআইডি-কে দিয়েই এ মামলার তদন্ত করানোর দির্দেশ দিয়েছে৷

Opfer des Rapid Action Battalion (RAB) in Bangladesh
ছবি: DW

নারায়ণগঞ্জে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ এবং হত্যা মামলার তদন্তের সঙ্গে আদালতের নির্দেশে শুরু থেকেই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি যুক্ত হয়৷ পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশও তদন্ত কাজ করছিল৷ কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সিআইডি-কে এই মামলার তদন্তে কোনোরকম সহযোগিতা করছিল না, যা সিআইডি লিখতভাবে আদালতকে জানায়৷ তারা আদালতে জানায় আরো যে, স্থানীয় পুলিশ তাদের ব়্যাবের তিন কর্মকর্তাসহ যাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তাঁদের জবানবন্দির অনুলিপিও দিচ্ছে না৷

সরকারই যে সিআইডি-কে দিয়ে মামলার তদন্ত করাতে চায় না, তা আরো স্পষ্ট হয় অ্যাটর্নি জেনারেলের তত্‍পরতায়৷ তিনি হাইকোর্টে সিআইডি-কে বাদ দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থানা পুলিশ দিয়ে মামলার তদন্তের আবেদন জানান৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়৷

হাইকোর্টের বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ তাঁদের আদেশে অবশ্য সামান্য পরিবর্তন এনেছেন৷ তারা সিআইডি-কে ‘ইনভেস্টিগেশন'-এর পরিবর্তে ‘ইনকোয়ারি' করতে বলেছেন৷

গত ২৭শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারকে অপহরণ করা হয়৷ ৩০শে এপ্রিল তাঁদের লাশ পাওয়া যায় শীতলক্ষ্যা নদীতে৷ এই ঘটনার পর হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়েই সিআইডি-কে এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দেয়৷ ওদিকে অবশ্য জেলা ডিবি পুলিশও তদন্ত চালাচ্ছিল৷ আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তি দেখান, ‘‘ফৌজদারি মামলার তদন্ত দুটি সংস্থার মাধ্যমে করা আইনগতভাবে সঠিক নয়৷ এতে বিচার ‘ভুল' হয়ে যাবে৷'' তবে আদালত তাঁর এই যুক্তি গ্রহণ করেনি৷

অপহরণের ঘটনার পরপরই নিহত ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আরেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করা হয়৷ নূর হোসেন ব়্যাবকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে সাতজনকে হত্যা করিয়েছে বলে নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন৷

এরই মধ্যে এই মামলায় ব়্যাব ১১-এর তখনকার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানাকে গ্রেপ্তারের পর তাঁরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন৷ শুধু তাই নয়, নূর হোসেন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ভারতে গ্রেপ্তারও হয়েছেন৷ জানা গেছে, তিন ব়্যাব কর্মকর্তার জবানবন্দিতে ব়্যাবের অন্তত আরো ১০ জন রাজনৈতিক নেতাদের নাম এসেছে, যাঁরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত৷

বলা বাহুল্য, এটা সরকারের জন্য খুবই বিব্রতকর এবং স্পর্শ কাতর৷ তাই এই মামলার তদন্তে এখন চরম গোপনীয়তা অবলম্বন করা হচ্ছে৷ এমনকি এখন পর্যন্ত সিআইডি-কেও তাই জবানবন্দির কপি দেয়া হয়নি৷ নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান যে, তাঁরা চান না জবানবন্দিতে যাঁদের নাম এসেছে তা কোনোভাবে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাক৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ