1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাতদিন সাসপেন্ড ট্রাম্পের ইউটিউব অ্যাকাউন্ট

১৪ জানুয়ারি ২০২১

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারের পর এবার ট্রাম্পের ইউটিউব অ্যাকাউন্টও সাসপেন্ড করে দেওয়া হলো।

ইউটিউব
ছবি: Arnd Riekmann

ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক চলছে। তারই মধ্যে তাঁর ইউটিউব অ্যাকাউন্টও সাময়িক সময়ের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিল গুগল। গুগল জানিয়েছে, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই এই কাজ করা হয়েছে। কারণ, ট্রাম্পের ইউটিউব অ্যাকাউন্ট থেকে এমন অনেক কিছুই পোস্ট হচ্ছিল, যা সহিংসতায় ইন্ধন দিতে পারে।

ইউটিউবে নিয়মিতই ভিডিও পোস্ট করেন ট্রাম্প। নিজের মতামত সমর্থকদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। সেই ইউটিউব অ্যাকাউন্ট সাময়িক সময়ের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হলো। বলা হয়েছে, অন্তত সাত দিনের জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাত দিন পর পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে। সাত দিন পর, ২০ জানুয়ারি জো বাইডেন নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন। তার আগে যাতে কোনোরকম সহিংসতা ছড়িয়ে না পড়ে, সে দিকে নজর রেখেই এ কাজ করা হয়েছে বলে গুগল জানিয়েছে। এর আগে ট্রাম্পের ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও সাসপেন্ড করা হয়েছিল।

টুইটার অবশ্য আরও এক ধাপ উপরে। তারা ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টটি বন্ধই করে দিয়েছে। বস্তুত, নির্বাচনের পর থেকে টুইটারে বার বার ট্রাম্প লিখেছেন যে, ভোটে কারচুপি হয়েছে। যতবার তিনি এ কথা লিখেছেন, টুইটার নীচে ডিসক্লেইমার দিয়েছে যে, এই বক্তব্যের কোনো প্রমাণ নেই। ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনার পরে টুইটার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টই বন্ধ করে দেয়। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। রিপাবলিকানদের একাংশ বিষয়টি সমর্থন করলেও অধিকাংশের বক্তব্য, এভাবে কোনো বেসরকারি সংস্থা কোনো ব্যক্তির মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। টুইটারের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থনের অভিযোগও তুলেছেন কেউ কেউ। ডেমোক্র্যাটরা স্বাভাবিকভাবেই টুইটারের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। বিশ্বের বেশ কিছু নেতাও অবশ্য এক্ষেত্রে ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, যেভাবে তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে, তা ঠিক নয়। ট্রাম্প বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্ত চিন্তার বিরোধী

ইউটিউব অবশ্যট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি। তারা জানিয়েছে, আপাতত ট্রাম্প কোনো পোস্ট করতে পারবেন না। তাঁর অ্যাকাউন্টে কোনো কমেন্টও করা যাবে না। সাত দিন পর পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে। এখনো পর্যন্ত ট্রাম্প এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ