1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হত্যার দায় স্বীকার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৪ জুন ২০১৪

নারায়ণগঞ্জে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আইনজীবীসহ সাতজনকে অপহরণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক মেজর ও র‌্যাব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন৷ তবে তাঁর জবানবন্দির বিস্তারিত জানা যায়নি৷

Opfer des Rapid Action Battalion (RAB) in Bangladesh
ছবি: DW

আরো একজন আটক র‌্যাব কর্মকর্তা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে পারেন বলে জানা গেছে৷

বুধবার দুপুরের পর নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে মেজর আরিফ জবানবন্দি দেন৷ এর আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁকে আদালতে নেয়া হয়৷

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘‘মেজর আরিফ আদমজী এলাকায় র‌্যাব-১১'র সদর দফতরে লেফটেনেন্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ-এর সঙ্গে বসতেন৷ তাঁর জবানবন্দি নেয়ার পর লে. কমান্ডার এম এম রানাকেও আদালতে নেয়া হয়৷ তাঁরও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার সম্ভাবনা আছে৷''

জানা গেছে, মেজর আরিফ হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে সাতজন অপহরণ এবং হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন৷ হত্যাকাণ্ড এবং অপহরণে কে, কিভাবে অংশ নেন তারও বর্ণনা দেন৷ হত্যাকাণ্ডের স্থল এবং কিভাবে লাশ নদীতে ডুবিয়ে দেয়া হয় তারও বর্ণনা আছে জবানবন্দিতে৷ তিনি নিজেও অপহরণ এবং হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করেন৷

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্তকর্তা জানান, আরিফের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাত খুনের পুরো ঘটনা এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে৷

গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়৷ ৩০ এপ্রিল তাঁদের লাশ পাওয়া যায় শীতলক্ষ্যা নদীতে৷ এরপর নিহত নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নজরুলের প্রতিপক্ষ নূর হোসেনের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা ঘুস নিয়ে র‌্যাব-১১'র কমান্ডার লেফটেনেন্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং লে. কমান্ডার এম এম রানা সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা করে৷ ঘটনার পরে র‌্যাবের এই তিন সেনা এবং নৌ কর্মকর্তাকে র‌্যাব থেকে প্রত্যাহার এবং সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়৷ পরে আদালতের নির্দেশে তিনজনকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েক দফা রিমান্ডে নেয়া হয়৷

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একটি প্রশাসনিক তদন্ত কমিটিও কাজ করছে৷ তাঁদের তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷ তাঁরা চলতি সপ্তাহেই আদালতে তদন্তের আগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন৷

পুলিশ এবং প্রশাসনিক উভয় তদন্তেই হত্যাকাণ্ডে র‌্যাব কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গেছে৷ তবে র‌্যাবের বিভাগীয় তদন্ত কমিটির কাজ কবে শেষ হবে তা জানা যায়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ