ঘরের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি সাপ৷ আর আপনার উপর দায়িত্ব পড়েছে সেই সাপ ধরার৷ কী করবেন তখন?
ফাইল ছবিছবি: iew.ir
বিজ্ঞাপন
সাধারণ কেউ হলে হয়ত বলতে পারেন, সাপ ধরা আমার কাজ নয়৷ কিন্তু পুলিশের পক্ষে কি আর তা বলা সম্ভব! তাদের দায়িত্বই তো বিপদে মানুষকে সাহায্য করা৷ আর সেই কাজ করতে গিয়েই এক ভাইরাল ভিডিও’র জন্ম দিলেন এক পুলিশ সদস্য৷
ঘটনা ফ্লোরিডার৷ সেখানকার এক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হঠাৎ ডাক পড়লো পুলিশের৷ একটি রুমের মধ্যে ঘুরে বেড়ানো সাপ ধরতে হবে৷ ওদিকে, যে পুলিশ সদস্য সেখানে গেছেন তার আবার সাপ নিয়ে ভয় রয়েছে৷ তিনি তাই এক ময়লা ফেলার বাক্স হাতে নিয়ে নানা কসরত করতে লাগলেন সাপ ধরার৷ তিনিও সাপের কাছে যান না, সাপও হাল ছাড়ে না৷
শেষমেষ অবশ্য সাপটিকে রুম থেকে বের করতে সক্ষম হন সেই পুলিশ সদস্য৷ তাঁর নাম প্রকাশ করেনি গণমাধ্যম৷ তবে চলতি মাসের শুরুতে ভিডিওটি ধারন করা হয়েছিল৷ আর ওর্ল্যান্ডোর পুলিশ কর্মকর্তা ভিডিওটি দেখে ‘হাস্যরসাত্মক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, আসল কথা হচ্ছে, পুলিশ সদস্য তাঁর দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়েছেন৷ আপনিও দেখুন ভিডিওটি, এবং জানান আপনার মতামত৷
এআই/এসিবি
অজগর সাপ দিয়ে গা মালিশ
গা ম্যাজম্যাজ করছে? মাসাজ, অর্থাৎ মালিশ করাতে চান? একটা অজগর সাপ যদি আপনার গায়ের ব্যথা দূর করে দেয়, কেমন হয়? ভয় পেলেন? ইন্দোনেশিয়ার একটি স্পা-এ কিন্তু অজগরের ‘সেবা’ নেন অনেকেই৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Getty Images/U. Ifansasti
শরীর মালিশে অজগর কেন?
অজগর কীভাবে বড় বড় প্রাণী শিকার করে, জানেন? কাছাকাছি পেলে প্রথমে শিকারকে সারা শরীর দিয়ে জড়িয়ে ধরে অজগর৷ তারপর যত জোরে সম্ভব চেপে ধরে৷ বড় ভয়ানক সেই চাপ৷ ফলে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই দম বন্ধ হয়ে মারা যায় সেই প্রাণী৷ তারপর ধীরে ধীরে প্রাণীটিকে গিলে ফেলে অজগর৷ তো এমন ভয়ংকর এক সাপকে দিয়ে কেন মানুষের শরীর মালিশ করানো হয় বালি দ্বীপের ওই স্পা-এ? এর উত্তর এখনো অনেকেরই অজানা৷
ছবি: Getty Images/U. Ifansasti
তবে ভয়ের কিছু নেই
বলা হচ্ছে, অজগর দিয়ে যেভাবে মাসাজ করানো হয়, তাতে নাকি ভয়ের কিছু নেই৷ কারণ প্রথমত, মাসাজ শুরুর আগে অজগরকে পেট পুরে খাওয়ানো হয়৷ পেটে ক্ষিদে না থাকলে অজগর মানুষকে গিলতে যাবে কেন? দ্বিতীয়ত, মাসাজের আগে অজগরের মুখও বন্ধ করে দেয়া হয়, সুতরাং চাইলেও সে কাউকে কামড়াতে বা গিলতে পারে না৷
ছবি: Getty Images/U. Ifansasti
অজগরের মাসাজ উপকারী?
যত অভয়ই দেয়া হোক না কেন, গায়ের ওপরে যখন প্রায় তিন মিটার লম্বা আর আট কেজির মতো ওজনের একটা সাপ ছেড়ে দেয়া হয়, ভয় তো লাগেই৷ সাপের পিচ্ছিল শরীর পিঠে যত নড়াচড়া করে, ততই ভয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে৷ সেই ভয়ের কারণে অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যায়৷ তাতে নাকি শরীরের অনেক উপকার!
ছবি: Getty Images/U. Ifansasti
মনেরও উপকার
অজগরকে কে না ভয় পায়! মাসাজ শেষ হলে সেই ভয়ের জায়গায় মনে ঠাঁই নেয় এক ধরনের মুক্তির আনন্দ৷ কেউ কেউ জানিয়েছেন, মাসাজ নেয়ার আগে তারা সাপের নাম শুনলেই ভয় পেতেন৷ কিন্তু মাসাজ নেয়ার পরে নাকি সেই ভয় কেটে গেছে৷
ছবি: Getty Images/U. Ifansasti
যারা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন
বিশ্বে এমন মানুষের অভাব নেই, যাঁরা বিপদ ভালোওবাসেন৷ অন্যরকম কিছু করে বাড়তি আনন্দ পান তারা৷ এমন অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষদের জন্য নাকি অজগরের মাসাজ আরো বেশি উপকারী৷ অজগর পিঠে চড়লে নাকি তাদের হরমোনের নিউট্রোট্রান্সমিটার ডোপামিনের মাত্রা বেড়ে যায়৷
ছবি: Getty Images/U. Ifansasti
আছেন রক্ষাকর্তা
মাসাজের সময় কোনো মানুষকে কখনোই জলজ্যান্ত অজগরের কাছে একা ছেড়ে দেয়া হয় না৷ সবসময়ই একজন সুপারভাইজার কাছে থাকেন৷ তার কাজই হলো, অজগর কখনো থেমে যাচ্ছে কিনা, কোনো বিপদ ঘটাতে চাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা৷
ছবি: Getty Images/U. Ifansasti
ব্রিটেন আর ফিলিপিন্সেও...
শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, ব্রিটেন আর ফিলিপিন্সেও সাপ দিয়ে মাসাজ করানো হয়৷ যাবেন নাকি?