1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্ত

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৩ জানুয়ারি ২০১৪

সাবেক মহাজোট সরকারের তিনজন মন্ত্রী ও চারজন সংসদ সদস্যের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক৷ দুদক চেয়ারম্যান বলেছেন ক্ষমতাসীন বা ক্ষমতার বাইরের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না৷

Bangladesch Parlament Gebäude in Dhaka
ছবি: AP

দশম সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের হলফনামা অবলম্বনে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷ সেখানে নির্বাচনের অনেক প্রার্থীর আগের আয় এবং বর্তমান আয়ের ব্যবধান জনমনে বিস্ময়ের জন্ম দেয়৷ সুশীল সমাজ থেকে তখন তদন্তের দাবি ওঠে৷ অবশেষে দুদক অনুসন্ধান শুরু করলো৷ টিআইবি বলেছে, এটি দুদকের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ এবং অনুসন্ধান শুধু এই সাতজনে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না৷

৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগেই মাহাজোট সরকারের মন্ত্রী এবং এমপিদের একটি বড় অংশের অবৈধ সম্পদের খবর প্রকাশিত হয় সংবাদ মাধ্যমে৷ তথ্যের উত্‍স ছিল নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের দেয়া হলফ নামায় সম্পদের বিবরণ৷ ২০০৮ সালের নির্বাচনে তাদের দেয়া সম্পদের হিসাব আর ২০১৪ সালে দেয়া হিসাব পর্যালোচনা করেই এই অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় সংবাদমাধ্যম৷ আর তখনই দাবি ওঠে, তদন্ত এবং অনুসন্ধানের৷ কিন্তু দুদক তখন নির্বাচনের আগে সময়ের অভাবের কথা বলে অনুসন্ধানে বিরত থাকে৷

তবে শেষ পর্যন্ত দুদক যে সাতজনের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান ও তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে তাঁরা হলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান এবং ঢাকার সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম, কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, রাজশাহীর সংসদ সদস্য এনামুল হক ও সাতক্ষীরার সাবেক সংসদ সদস্য এম এ জব্বার৷

ছবি: DW

তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মান্নান খান এবারের নির্বাচনে হেরে গেছেন, মন্ত্রীত্বও পাননি৷ রুহুল হক এবং মাহবুবুর রহমান নির্বাচনে সংসদ সদস্য হলেও মন্ত্রীত্ব পাননি৷ আর সংসদ সদস্যদের মধ্যে তিনজন আওয়ামী লীগের এবং এম এ জব্বার জাতীয় পার্টির৷ দুদক জনিয়েছে, তাঁদের সম্পদের উত্‍স এবং বৈধতা অনুসন্ধানে এরই মধ্যে সাতজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে৷

দুদক চেয়াম্যান বদিউজ্জামান জানিয়েছেন, তাঁরা সংবাদ মাধ্যমের খবরেই অবৈধ সম্পদের কথা জানতে পেরেছেন৷ আর তা ধরেই তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তদন্তের উদ্দেশ্য হলো, মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যরা অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন কিনা, তা জানা৷ সরকার বা সরকারের বাইরে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাঁদের সবার ব্যাপারেই তদন্ত করা হবে৷

টিআইবি-র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেক জানান, নির্বাচনের আগে নির্বাচনের অজুহাত দেখিয়ে দুদক তদন্তে বিরত ছিল৷ তবে শেষ পর্যন্ত তাঁরা তদন্ত শুরু করেছে, এটা আশার কথা৷ কিন্তু এটা হবে দুদকের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ, সাতজনই যথেষ্ট নয়, আরো যাঁদের ব্যাপরে অভিযোগ আছে তাঁদেরও তদন্তের আওতায় আনতে হবে৷ এই তদন্ত খুবই সহজ৷ তাঁদের দেয়া হলফনামায় সম্পদের বিবরণ আছে৷ সেখানেই সব কিছু পাওয়া যাবে৷ এই সহজ কাজটি করতে দুদকের বেগ পাওয়ার কথা নয়৷

ড. ইফতেখার বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন যাঁর দুর্নীতির দায় তারই নিতে হবে৷ এ কারণে মন্ত্রিসভায় বিতর্কিত অনেককেই ঠাঁই দেয়া হয়নি৷ কিন্তু এ পর্যন্তই যথেষ্ট নয়, দেশের মানুষের ইচ্ছাকে সম্মান দেখিয়ে অভিযুক্ত সবাইকে তদন্তের আওতায় এনে দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে, যেন তদন্ত শুরু করে চমক দেখিয়ে শেষ না হয়ে যায়৷ তিনি বলেন, দুদকের বর্তমান কাঠামোয় পুরো তদন্ত করা নানা কারণে কঠিন হতে পারে৷ তাই প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর কথা রাখতে হবে৷ তাহলেই দুদক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবে৷ আর হলফনামা ধরে যদি অনুসন্ধান না-ই হয় তাহলে হলফ নামা প্রকাশ করাটা হবে হাস্যকর৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ