সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান প্রার্থী
৬ জুন ২০২৩
২০২৪ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হলেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেনস। রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
রিপাবলিকান দলের ভিতরেই কড়া প্রতিদ্বন্দ্বীতার মুখোমুখি হতে হবে মাইক পেনসকে। তার সাবেক বস ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে লড়াই করতে হবে বলে দলের মধ্যেই। এছাড়াও ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেস্যানটিস, সেনেটর টিম স্কট, সাউথ ক্যারোলিনার সাবেক গভর্নর নিক্কি হ্যালে রিপাবলিকান দলের ভিতর নিজেদের নাম ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে। নর্থ ডাকোটার গভর্নর ডগ বারগাম এবং নিউ জার্সির সাবেক গভর্নর ক্রিস ক্রিসটিও কিছুদিনের মধ্যেই নিজেদের নাম ঘোষণা করতে পারেন।
সোমবারই নিজের কাগজ জমা দিয়েছেন মাইক পেনস। আইওয়া থেকে তিনি প্রচার শুরু করতে পারেন। পেনস প্রথমে একটি ভিডিওবার্তা এবং তারপরে একটি বক্তৃতা দিয়ে প্রচার শুরু করবেন বলে তার ভোট ম্যানেজাররা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
টাকার বিনিময়ে পর্ন তারকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গোপন রাখার দায়ে গ্রেপ্তারও হতে পারেন তিনি৷ তাতে ধাক্কা খেতে পারে আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবার স্বপ্ন৷ ডনাল্ড ট্রাম্প এমন পরিস্থিতিতেই শুরু করলেন নির্বাচনি প্রচার৷
ছবি: Evan Vucci/AP/picture alliance
প্রথম নির্বাচনি সমাবেশে ট্রাম্প
সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল তার এবং সেই সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য স্টর্মিকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন- এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডনাল্ড ট্রাম্প হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে৷ এমন সময়েই ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে প্রচারে নেমে পড়েছেন ট্রাম্প৷
ছবি: Leah Millis/REUTERS
টেড নুজেন্টের গান
টেক্সাসের ওয়াকোতে ট্রাম্পের এ সভায় রক তারকা টেড নুজেন্টও ছিলেন৷ ওপরের ছবিতে ট্রাম্পের সভায় সংগীত পরিবেশনরত নুজেন্ট৷
ছবি: Leah Millis/REUTERS
‘ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে অ্যামেরিকাকে আবার মহান করুন’
ট্রাম্পের সভায় ভাষণ দিচ্ছেন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং ডানপন্থি কন্সপিরেসি থিওরিস্ট মার্জাররি টেলর গ্রিন৷ পোডিয়ামের সামনে লেখা রয়েছে ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে অ্যামেরিকাকে আবার ‘মহান’ করার আহ্বান৷
ছবি: Go Nakamura/REUTERS
ট্রাম্পের জন্য অশ্রু
ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হবেন- এ আনন্দে এক সমর্থকের কান্না৷
ছবি: Leah Millis/REUTERS
ব্র্যাগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথমে গোপনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলেছিলেন নিউ ইউয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ৷ ব্র্যাগের অভিযোগ সেই টাকা ট্রাম্প স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে দিয়েছিলেন যৌন সম্পর্কের বিষয়টি গোপন রাখতে৷ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প, আরো বলেছেন ব্র্যাগ মিথ্যাবাদী৷ শনিবারের সভায় ট্রাম্পের অনেক সমর্থকই ব্র্যাগের গ্রেপ্তার দাবি করেন৷ ওপরের ছবিতে সেরকমই একজন৷
ছবি: Leah Millis/REUTERS
সমর্থকদের উচ্ছ্বাস
টেক্সাসের ওয়াকোয় ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশে ট্রাম্পের দুই উচ্ছ্বসিত সমর্থক৷
ছবি: Go Nakamura/REUTERS
প্রিয় নেতার ছবি তোলা
ডনাল্ড ট্রাম্প আবার নির্বাচনে প্রার্থী হবেন- এ খবরে তার সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত৷ ওয়াকোয় ট্রাম্প যখন ভাষণ দিচ্ছেন, তিন সমর্থক তখন তার ছবি তোলায় ব্যস্ত৷
ছবি: Go Nakamura/REUTERS
হৃদয়ে ট্রাম্প
নিজেকে আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করার পর প্রথম জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন ট্রাম্প৷ লাভ সাইন দেখিয়ে তার প্রতি ভালোবাসার কথা জানাচ্ছেন এক সমর্থক৷
ছবি: Leah Millis/REUTERS
সভা শুরুর আগে...
ওয়াকো রিজিওনাল এয়ারপোর্ট এলাকায় প্রথম নির্বাচনি সভা শুরুর আগে ডনাল্ড ট্রাম্প৷
ছবি: Evan Vucci/AP/picture alliance
9 ছবি1 | 9
৬৩ বছরের পেনস অর্থডক্স বলে পরিচিত। ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ক্ষেত্রে তিনি সরব ছিলেন। আবার অ্যাবরশন বা গর্ভপাতের তিনি তীব্র বিরোধী।
ক্যাপিটল ভবনে হামলার পর থেকে পেনস ক্রমশ ডনাল্ড ট্রাম্পের থেকে ব্যবধান তৈরি করতে শুরু করেন। প্রকাশ্যে ক্যাপিটল হামলার প্রতিবাদ করেন। শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। পেনস সেই অভিমতও সম্পূর্ণ খারিজ করে দেন। বস্তুত, তখন থেকেই দুই রিপাবলিকান নেতার দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে।
ট্রাম্প অবশ্য ঘোষণা দিয়েছেন, ফের নির্বাচিত হলে ক্যাপিটলে আক্রমণকারীদের শাস্তি মকুব করে দেবেন তিনি। তবে ট্রাম্পের তদন্তে পেনসকে তলব করা হয়েছে। ট্রাম্প অতি গোপন তথ্য কীভাবে আলোচনা করতেন, সকলের সঙ্গে তা ভাগ করে নিতেন কি না, এই সংক্রান্ত এক তদন্তে পেনসকে তদন্তকারীদের সামনে বিবৃতি দিতে হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, দীর্ঘদিনের এই রাজনীতিকের পক্ষে ২০২৪ সালের লড়াই জেতা কঠিন। ট্রাম্পপন্থিরা তাকে বিশ্বাসঘাতক বলে মনে করেন। অন্যদিকে ট্রাম্পবিরোধীরা তাকে একসময় ট্রাম্পের সঙ্গী হিসেবে চিহ্নিত করেন। ফলে কোনো পক্ষই তাকে ভালো চোখে দেখে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।