1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিরে আসছে মানবপাচারীরা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশের মানবপাচারকারীরা আত্মগোপন অবস্থা থেকে আবারো ফিরে আসতে শুরু করেছে৷ সামনে শীতকাল, সাগর শান্ত থাকবে৷ আর এই অবস্থাতে ছোট ছোট নৌকায় মানবপাচার সুবিধাজনক৷ কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকায় একেই বলা হয় ‘মানব পাচার মৌসুম'৷

Flüchtlingsboot kentert vor Bangladesch
ছবি: Reuters

[No title]

This browser does not support the audio element.

গত মে মাসে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে পাচার হয়ে যাওয়াদের গণকবর আবিষ্কার হওয়ার পর, বাংলাদেশের পুলিশ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে গেছে৷ তারপর থেকে চারজন মানবপাচারকারী পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন৷ ওদিকে আটক করা হয়েছে কম-বেশি ৮০ জনকে৷ বাকিরাও দেশের অভ্যন্তরে বা দেশের বাইরে আত্মগোপন করেছে৷

পুলিশ জানায়, বাংলাদেশের শীর্ষ ১১ মানবপাচারকারীর একজন হলেন টেকনাফের দিল মোহাম্মদ৷ তিনিও মালয়েশিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন৷ তবে পাচার মৌসুমকে সামনে রেখে তিনি আবার টেকনাফে ফিরে এলে পুলিশ ১২ই সেপ্টেম্বর তাকে এবং তার এক সহযোগীকে টেকনাফ-এর শাহপরীর দ্বীপ থেকে আটক করে৷ দিল মোহাম্মদ আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী দলের সদস্য৷ তিনি মালয়েশিয়াও ‘ওয়ানটেড'৷

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) কবির হোসেন ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘পাচার মৌসুমকে সামনে রেখে আত্মগোপনকারী আরো পাচারকারী ফিরে আসছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে৷ তাদের আটক করা জন্য আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি৷''

তাঁর কথায়, ‘‘শীতকালে শান্ত সাগরের সুবিধা নিয়ে যাতে আবার পাচারকারীরা সক্রিয় হতে না পারে, তার জন্য পুলিশ বিশেষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে৷''

পাচার মৌসুমের ব্যখ্যাও দেন তিনি৷ বলেন, ‘‘সাধারণত গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালে সাগর উত্তাল থাকে৷ আর মানবপাচার করা হয় ছোট ছোট দেশি নৌকায়৷ ঝুঁকির কারণে তাই তখন নৌকায় মানবপাচার একরকম বন্ধ থাকে৷ হেমন্ত এবং শীতকালে সাগর শান্ত থাকে৷ তাই এই সময়ে সাগর পথে ছোট নৌকায় মানবপাচার বেড়ে যায়৷''

প্রসঙ্গত, চাকরির কথা বলে পাচারকারীরা প্রধানত বাংলাদেশের টেকনাফ এবং শাহপরীর দ্বীপ এলাকা থেকে সাগর পথে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে মানবপাচার করে৷ পরে তাদের আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করে পাচারকারীরা৷ এভাবে অনেকেই মৃত্যুর মুখে পতিত হন৷

জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)-এর তথ্য মতে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে ৯৪ হাজার মানুষকে সমুদ্রপথে পাচার করা হয়৷ এছাড়া চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত এই সংখ্যা ৩১ হাজার৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ