সামরিক বাজেট বিলে ভেটো দেবেন বলে জানালেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে তাঁর ভেটো গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
মার্কিন সামরিক বাজেট বিলে ভেটো দেওয়ার হুমকি দিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। রোববার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ট্রাম্প টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন। তবে ট্রাম্পের ভেটোও এই বিল আটকাতে পারবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত সপ্তাহের শেষে মার্কিন কংগ্রেসে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ হয়েছে এ বারের সামরিক বাজেট বিল। সংসদের দুই কক্ষেই তা পাশ হয়ে গিয়েছে। রোববার ট্রাম্প জানিয়েছেন, সংসদে বিল পাশ হলেও তিনি প্রেসিডেন্টের বিশেষ ভেটো প্রয়োগ করবেন বিলটির বিরুদ্ধে। যদিও কেন তিনি ভেটো প্রয়োগ করতে চান, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো কারণ দেখাননি ট্রাম্প। বলেছেন, এই বিল পাশ হলে চীনের সুবিধা হবে। কেন হবে, বলেননি তিনি।
মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যমগুলোতে৷ ইরানের গণমাধ্যম এই পরাজয়কে উৎসবের কারণ মনে করছে৷ অন্যদিকে, ইসরায়েলি গণমাধ্যমে গুরুত্ব পেয়েছে ফিলিস্তিন ইস্যু৷
ছবি: tehrantimes.com
‘‘ট্রাম্পের পতন উদযাপন করছে ইরান’’
ইরানের দ্য তেহরান টাইমস মার্কিন নির্বাচন নিয়ে ‘‘ট্রাম্পের পতন উদযাপন করছে ইরান’’ শিরোনামে সংবাদ করেছে৷ পত্রিকাটি লিখেছে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার বিষয়টি ইরানের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হলেও নতুন প্রেসিডেন্ট তেহরানের প্রতি মার্কিন নীতিতে কতটা পরিবর্তন আনবেন তা নিশ্চিত হতে পারছেন না তারা৷ ফলে বাইডেনের জয়ের চেয়ে ট্রাম্পের প্রস্থানেই সন্তুষ্ট বেশি তারা৷
ছবি: tehrantimes.com
‘‘বাইডেনের জয় থেকে ফিলিস্তিনিদের চূড়ান্ত দাবি’’
ইসরায়েলের প্রভাবশালী পত্রিকা হারেৎস-এ ‘‘বাইডেনের জয় থেকে ফিলিস্তিনিদের চূড়ান্ত দাবি’’ শিরোনামে একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করা হয়েছে৷ এতে বলা হয়েছে, গত চারবছর ধরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আব্বাসকে ব্যাপক চাপে রেখেছিল ট্রাম্প প্রশাসন৷ এখন সেই চাপে পরিবর্তন আসতে পারে৷
ছবি: haaretz.com
‘‘বাইডেনের জয় নেতানিয়াহুর জন্য ধাক্কা, ফিলিস্তিনিদের জন্য আশা’’
লেবাননের ইংরেজি পত্রিকা নাহানেটের শিরোনাম, ‘‘বাইডেনের জয় নেতানিয়াহুর জন্য ধাক্কা, ফিলিস্তিনিতের জন্য আশা৷’’ বিশেষজ্ঞদের বরাতে পত্রিকাটি লিখেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একজন কট্টর মিত্র ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ বাইডেনের জয়ের ফলে এখন আবার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক পুনরুদ্ধার হতে পারে৷
ছবি: naharnet.com
‘‘বিভক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শাসনের কঠিন কাজের পরিকল্পনা করছেন বাইডেন, মিত্ররা’’
কাতারের দৈনিক সংবাদপত্র গাল্ফ টাইমসের শিরোনাম, ‘‘বিভক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শাসনের কঠিন কাজের পরিকল্পনা করছেন বাইডেন, মিত্ররা৷’’ পত্রিকাটি লিখেছে নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর শুরুতেই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেছেন জো বাইডেন৷ বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি৷
ছবি: gulf-times.com
‘‘মার্কিন নির্বাচন ২০২০ - আরবরা কী চায়?’’
আরব নিউজ মার্কিন নির্বাচন নিয়ে আরবদের ভাবনা তুলে ধরতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে৷ পত্রিকাটিতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সংবাদ, বিশ্লেষণ, সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হচ্ছে৷
ছবি: arabnews.com
‘‘মার্কিন নির্বাচনে জেতায় বাইডেনকে সৌদি নেতাদের অভিনন্দন বার্তা’’
সৌদি পত্রিকা সৌদিগেজেটের শিরোনাম, ‘‘মার্কিন নির্বাচনে জেতায় বাইডেনকে সৌদি নেতাদের অভিনন্দন বার্তা৷’’ পত্রিকাটিতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার রাতেই এক বিবৃতিতে সৌদি নেতারা জো বাইডেনকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷
ছবি: saudigazette.com.sa
6 ছবি1 | 6
আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে ট্রাম্পকে। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। তার আগে সামরিক বাজেট বিলে ভেটো দিয়ে আরো একবার নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ট্রাম্প ভেটো দিলেও তা গ্রহণযোগ্য না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, মার্কিন কংগ্রেসে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ভোটে পাশ হয়েছে সামরিক বাজেট বিল। মার্কিন সংবিধানে একে বলা হয় সুপার মেজরিটি। এই পরিমাণ মেজরিটি থাকলে প্রেসিডেন্টের ভেটো কাজ করে না।
সেনেটে বিলটি ৮৪-১৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসে ৩৩৫-৭৮ ভোটে পাশ হয়েছে বিলটি। অর্থাৎ, দুই-তৃতীংশেরও বেশি ভোটে পাশ হয়েছে বিলটি। এই বিলে সামরিক কর্মীদের বেতনবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। এ বছরের জন্য ৭৪০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক বাজেট করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ট্রাম্প এই বিলে ভেটো দিতে চাইছেন কারণ, এখানে জার্মানি থেকে মার্কিন সেনা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়েও কোনো কথা নেই। সামরিক বাজেট বিলে এ সব কথা থাকার কথাওনয়। কিন্তু ট্রাম্প চেয়েছিলেন এই বিষয়গুলি বিলে থাকবে। ট্রাম্পের অভিযোগ, গুগল, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্ক তাঁর বিরুদ্ধে। ফলে সোশ্যাল নেটওয়ার্ককে চাপে রাখতে বিশেষ আইন তৈরি করতে চান তিনি। কিন্তু সংসদ তাঁর সেই বক্তব্য সমর্থন করেনি।