গত মাসেই ঢাকার রাস্তায় একজন মানসিক রোগীকে প্রকাশ্যে পেটায় পুলিশ৷ আর তারপর একজন সাংবাদিক সেই পেটানোর ছবি তুলে ফেসবুকে দিলে, তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়৷
বিজ্ঞাপন
সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি৷ তবে মানসিক রোগীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা হলেও বোঝা যায়৷ আরেকটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে৷ যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশের এই আচরণের সমালোচনা করেছেন তাদের আচরণই বা কেমন?
গত বছর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ডাকাত সন্দহে গণপিটুনির শিকার হতে হয়েছে এক মানসিক রোগীকে৷ নোয়াখালী সরকারি কলেজের ছাত্র বোরহান উদ্দনিকে (২২) গণপিটুনি দিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ আর তাকে বাঁচাতে গিয়ে এলাকাবাসীর হামলায় আহত হন পাঁচ পুলিশ সদস্য৷ এছাড়া গত মাসে যশোরে এক শিশুকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগে তার পিতাকে আটক করে পুলিশ৷ বাবার দাবি, ‘‘আমার ছেলে পাগল৷''
বাংলদেশে সাধারণ মানুষের বড় একটি অংশ মানসিক রোগীদের প্রতি এখনো সহানুভূতিশীল নয়৷ তারা মানসিক রোগীদের ‘পাগল' বলে অভিহিত করেন৷ আর সংবাদমাধ্যমে এখনো প্রায়ই বিজ্ঞাপন দেখা যায় – ‘‘পাগল চিকিত্সালয়৷''
পাবনার ‘পাগলা গারদের’ কিছু দুর্লভ ছবি
পাবনার মানসিক হাসপাতালকে অনেকে বলে ‘পাগলা গারদ’৷ সেখানকার অবস্থা নিয়ে অভিযোগ অনেক৷ তবে এখানে থাকছে হাসপাতালটির কিছু দুর্লভ ছবি, যা ১৯৯৪ সালে তুলেছিলেন এক আলোকচিত্রী৷
ছবি: imago/UIG
প্রথম মানসিক হাসপাতাল
বাংলাদেশের প্রথম মানসিক হাসপাতালের অবস্থান পাবনায়৷ ১৯৫৭ সালে এটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল একটি বাড়িতে৷ পরে ১৯৫৯ সালে হাসপাতালটি হেমায়েতপুরে স্থানান্তর করা হয়৷ শুরুতে মানসিক হাসপাতালটি ছিল ৬০ শয্যাবিশিষ্ট৷ পরবর্তীতে তা ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়৷
ছবি: imago/UIG
প্রায় দেড়কোটি মানসিক রোগী
বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি, ২০১১ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে এ কথা৷ এত বিশাল সংখ্যক মানুষের জন্য বলতে গেলে মূল সরকারি হাসপাতাল একটাই, পাবনায়৷ ছবিটি ১৯৯৪ সালে তোলা এক নারীর, যিনি ভারতের মাদ্রাজ থেকে এসেছিলেন এবং পাবনায় হাসপাতালটির শুরু থেকেই রোগী হিসেবে ছিলেন৷
ছবি: imago/UIG
মানসিক রোগী সম্পর্কে ভুল ধারণা
বাংলাদেশে মানসিক রোগীদের ‘পাগল’ বলা হয়, যা অনেকক্ষেত্রে নেতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ দেশটিতে মানসিক রোগীদের সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে৷ মানসিক রোগীদের চিকিৎসায় যা এক অন্তরায়, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ ছবিতে ১৯৯৪ সালে পাবনা মানসিক হাসপাতালের রান্নাঘর দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: imago/UIG
গর্ভবতী নারী এবং শিশুদের জন্য নয়
১৯৯৪ সালে যখন এ সব ছবি তোলা হয়, তখন মানসিক হাসপাতালে শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের ভর্তি করা হতো না৷ এখনও সেই নিয়ম চালু আছে কিনা জানা যায়নি৷
ছবি: imago/UIG
পুরুষ ওয়ার্ড
ছবিতে পাবনার মানসিক হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ড দেখা যাচ্ছে৷ বাংলাদেশে মানসিক অসুস্থতাকে রোগ হিসেবে বিবেচনা না করার প্রবণতা রয়েছে, মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা৷
ছবি: imago/UIG
মানসিক রোগীদের প্রার্থনা
মুসলমান পুরুষ রোগীরা প্রার্থনা করছেন৷ মানসিক হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ড থেকে ছবিটি তোলা হয়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, মানসিক রোগীদের পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত নয়৷ বরং তাদের পরিবারের সংস্পর্শে রেখে চিকিৎসা দেয়া উচিত৷ বাংলাদেশে অবশ্য পরিস্থিতি ভিন্ন৷ পাবনা মানসিক হাসপাতালে থাকা রোগীদের আত্মীয়রা সচরাচর তাদের আর খোঁজ নিতে আসেন না৷
ছবি: imago/UIG
হিংসাত্মক প্রবণতা আছে যাদের
হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে প্রবার প্রবণতা আছে এমন রোগীদের রাখা হয় আলাদা ওয়ার্ডে৷ ১৯৯৪ সালে তোলা ছবিতে সেই ওয়ার্ডের কয়েকজন রোগীকে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: imago/UIG
চঞ্চল রোগীরা
মানসিক হাসপাতালে থাকা রোগীদের অনেকে অত্যাধিক চঞ্চল থাকেন৷ তারা প্রায়ই গলা ছেড়ে গান গান এবং নাচানাচি করেন৷ ছবিতে সেরকম কয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে৷ বাংলাদেশের সমাজ এদের ‘পাগল’ বলে এবং প্রকাশের তাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করা এক স্বাভাবিক ব্যাপার৷
ছবি: imago/UIG
বদলায়নি পরিস্থিতি
পাবনা মানসিক হাসপাতালে ১৯৯৪ সালে তোলা এসব ছবির সঙ্গে বর্তমানের পরিস্থিতির ফাঁরাক খুব একটা দেখা যায় না৷ হাসপাতালের পরিধি বাড়েনি, এখনো সেটি ৫০০ শয্যার হাসপাতাল৷ গত বছর তোলা হাসপাতালটির কিছু ছবি পেতে ক্লিক করুন ‘আরো’ বোতামে৷
ছবি: imago/UIG
9 ছবি1 | 9
‘সাড়ে তিন কোটির বেশি মানসিক রোগী'
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে উদ্যোগে ২০১১ সালে আমরা একটা জরিপ করেছি৷ তাতে দেখা গেছে মোট জনসংখ্যার ১৮ বছরের নীচে যাদের বয়স, তাদের মধ্যে শতকরা ১৮.১ ভাগ এবং ১৮ বছরের উপরে যাদের বয়স, তাদের মধ্যে ১৬.১ ভাগ কোনো না কোনোভাবে মানসিক রোগী৷ মোট জনসংখ্যার সাড়ে তিনকোটিরও বেশি মানসিক রোগী৷''
তবে তিনি জানান, ‘‘আমরা গুরুতর মানসিক রোগ যদি বিবেচনা করি তাহলে তা মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭ ভাগ৷ আর যে কোনো মানসিক রোগীই চিকিত্সা পেলে পুরোপুরি সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন৷''
চিকিত্সা ব্যবস্থা কেমন?
বাংলাদেশে মানসিক রোগের চিকিত্সার জন্য একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতালটি পাবানায়৷ ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে বর্তমানে ডাক্তার আছেন মাত্র চারজন৷ এছাড়া দু'জন চিকিত্সক বাইরের সরকারি হাসপাতাল থেকে আসে৷ কিন্তু প্রয়োজন ৩০ জন চিকিত্সকের৷ হাসপাতালে কর্মচারীদের জন্য ৪৯২টি পদ থাকলেও বর্তমানে কাজ করছেন ৩৬৬ জন৷
এর বাইরে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট এবং প্রত্যেক সরকারি হাসপাতালে মানসিক রোগ চিকিত্সা বিভাগ আছে৷
পাবনা মানসিক হাসপাতাল নিয়ে ভুক্তভোগীদের অনেক অভিযোগ আছে৷ তাদের কথা, ‘‘এখানে চিকিত্সা নিতে গেলে রোগীর মানসিক অবস্থা আরো খারাপ হয়৷ এমনকি সুস্থ মানুষকেও ষড়যন্ত্র করে এই হাসপাতালে ভর্তির অভিযোগ আছে৷'
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. তন্ময় প্রকাশ বড়ুয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার কোনো বক্তব্য জানা যায়নি৷ তবে পাবনার স্থানীয় সাংবাদিক ইমরোজ খন্দকার জানান, ‘‘এখানে জনবলের সংকট তো আছেই৷ তার সঙ্গে অবহেলা গিয়ে পৌঁছেছে চরম পর্যায়ে৷ রোগীদের শুধুমাত্র ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়৷ আর কোনো চিকিত্সা বলতে নেই৷ রোগীদের বিনোদন, ক্রীড়া বা তাদের সেবার কোনো বালাই নেই৷''
অভিবাসী মানসিক রোগীদের চিকিৎসায় বড় বাধা ভাষা
মানসিক সমস্যায় চিকিৎসকের সাথে ভালোভাবে কথা বলা মানসিক রোগ চিকিৎসার সবচেয়ে জরুরি বিষয়৷ এই চিকিৎসায় রোগী ও ডাক্তারের মধ্যে ভাষাগত সমস্যা হলে ফলপ্রসু চিকিৎসা বাধাগ্রস্হ হয়৷
ছবি: BPtK
রবার্ট কখ ইন্সটিটিউট-এর হিসেব
রবার্ট কখ ইন্সটিটিউটের হিসেব অনুয়ায়ী জার্মানিতে প্রতি তিনজনের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক বছরে অন্তত দুবার মানসিক সমস্যায় ভোগেন৷ তবে সবাইকেই যে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হয় তেমন নয়৷
ছবি: Fotolia/ lassedesignen
রোগী এবং ডাক্তারের সম্পর্ক
যাঁদের কষ্ট বেশি তাঁদের অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত৷ রোগীর সুস্থ্ হওয়া অনেকটাই নির্ভর করে ডাক্তার এবং রোগীর মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য বিনিময়ে ভাষাগত মিলের ওপর৷
ছবি: picture alliance/Klaus Rose
দোভাষী
জার্মান ভাষা খুব কম জানেন বা একেবারেই জানেন না এমন অভিবাসী মানসিক রোগীদের খুবই সমস্যায় পড়তে হয়৷ জার্মান ভাষা জানা পরিবারের কেউ সাথে থাকলেও অনেক সময় সবকিছু ঠিকভাবে বোঝানো সম্ভব হয়না৷
ছবি: DW/M. Witt
শতকরা ৯০ জন!
গেলজেন কির্শেনের গেজাম্ট স্কুলে শতকরা ৯০ জন ছাত্রছাত্রীই অভিবাসী পরিবার থেকে আসা, যাঁরা এক অক্ষরও জার্মান ভাষা জানেনা৷ বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়া থেকে ওদের বাবামায়েরা জার্মানিতে কাজ করতে এসেছেন গত বছর৷ দুটি দেশই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য৷
ছবি: DW/S. Auer
উন্নত শিক্ষার বিশেষ ক্লাস
এরই মধ্যে গেলজেন কির্শেন স্কুলের বাচ্চাদের জন্য আলাদাভাবে ভাষা শেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ ছাত্রছাত্রীরা যেন তাড়াতাড়ি ভাষা শিখে স্কুলে ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারে সেজন্যই এই উদ্যোগ এবং প্রতিটি ক্লাসে ১৫জন শিক্ষার্থী থাকে-একথা বলেন আখিম এলভার্ট৷
ছবি: DW/S. Auer
সাহায্য সংস্থা ‘স্প্রিন্ট’
এই শূন্যস্থানগুলো কেবল বিশেষ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত দোভাষীই পূরণ করতে পারে৷ রোগী এবং ডাক্তারের দেশের ভাষা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানা থাকে তাঁদের৷ স্প্রিন্ট-এ এ বিষয়ে ১৮মাস প্রশিক্ষন দেওয়া হয়৷স্প্রিন্ট-এর প্রধান হাইকে টিমেন বলেন, ‘সাধারণ রোগের চেয়ে মানসিক রোগ নিরূপন করা অনেক কঠিন৷’
ছবি: picture-alliance/dpa
আরো বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট রাইনার রিস্টার বলেন, কোলোনের মতো বড় শহর যেখানে ৬০,০০০ জার্মান পাসপোর্টধারী তুর্কির বসবাস, সেখানে মাত্র দুজন তুর্কিভাষী মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, যা মোটেই যথেষ্ট নয়৷
ছবি: BPtK
7 ছবি1 | 7
তিনি আরো বলেন, ‘‘এই সুযোগে পাবনায় ব্যাঙের ছাতার মতো বেসরকারি পর্যায়ে অনেক মানসিক রোগ চিকিত্সা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে৷ সরকারি হাসপাতাল থেকে তারা রোগী ভাগিয়ে নেয়৷''
যে কোরণে মানসিক রোগ
চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বাংলাদেশে যারা মানসিক রোগে আক্রান্ত হন, তাদের একটি অংশ আক্রান্ত হন বায়োলজিক্যাল এবং জেনেটিক কারণে৷ কিন্তু বড় একটি অংশ আক্রান্ত হন পারিবারিক এবং সামাজিক কারণে৷ নানা চাপ, দারিদ্র্য, সামাজিক এবং পারিবারিক অসঙ্গতি এর অন্যতম কারণ৷
বলা বাহুল্য, মানসিক রোগীদের চিকিত্সার জন্য ওষুধের পাশাপাশি কাউন্সেলিং ও সঠিক সেবা যত্ন জরুরি৷ বাংলাদেশে পরিবার এবং সামজিক পরিবেশ এর প্রতিকূল অবস্থায় আছে৷ পরিবার মনে করে চিকিত্সা কেন্দ্রে পাঠাননোই যথেষ্ঠ৷ আর সামাজিকভাবে মানসিক রোগীদের হেয় করে দেখা হয়৷
ঢাকায় একজন মানসিক রোগীর অভিভাবক শাহরিয়ার আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমার বড়ভাই সিজিনোফ্রিয়ায় আক্রান্ত৷ চিকিত্সায় তিনি স্বাভাবিক হলেও কাউন্সেলিং এবং পুনর্বাসনের অভাবে তাঁকে পুরোপুরি স্বাভাবি জীবনে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না৷''
তিনি বলেন, ‘‘পরিবারের সবাই ব্যস্ত থাকেন৷ আবার নিয়মিত কাউন্সেলিং-এরও ব্যবস্থা নেই৷'' প্রসঙ্গত, পাবনা মানসিক হাসপাতালে কাউন্সেলিং বিশেষজ্ঞ নেই৷ নার্সের ২০টি পদ খালি৷
আমাদের যা করতে হবে
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. আতিকুল হক মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মানসিক রোগী এই শব্দটিই যেখানে পরিহারের কথা উঠছে সেখানে আমাদের দেশে এখনো মানসিক রোগীদের পাগল বলা হয়৷ আর মানসিক রোগাক্রান্তকে হেয় করে দেখা হয়৷ এব্যাপরে আমরা সচেতন না হলে শুধু চিকিত্সায় কাজ হবে না৷''
তিনি আরো জানান, ‘‘মানসিক রোগীকে জানান যাবে না যে সে মানসিক রোগী৷ তাকে আত্মবিশ্বাস বা অন্যকিছু বলে চিকিত্সা করাতে হবে৷ জাপান তাই করছে৷ তাই আমি বলি, দেশে কোনো মানসিক রোগী নেই৷''
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, সারা বিশ্বের প্রতি ১০ জন মানুষের মধ্যে একজন মানসিক অসুস্থতায় ভোগেন৷ ডা. আতিকুল হক মজুমদারের মতে, আধুনিক এই জীবনে তাই শুধু চিকিত্সা নয়, মানসিক রোগে কেউ যাতে আক্রান্ত না হন তার জন্য পরিবার ও সমাজকে সহনশীল ও প্রীতিময় হতে হবে৷
মানসিক রোগী মানেই কি পাগল? আপনার কী মনে হয়? জানিয়ে দিন নীচের মনতব্যের ঘরে৷