1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সামাজিক নেটওয়ার্কের উপযোগিতা নিয়ে দ্বিমত

২ জুলাই ২০১১

গোটা বিশ্বে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে৷ একই সঙ্গে এই প্রশ্নটিও জোরালো হচ্ছে মানুষের জন্য তা কতটুকু লাভজনক হচ্ছে? মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রসারণের জন্য ইন্টারনেট কি আসলেই ভূমিকা রাখতে সক্ষম?

DW Sprachkurse Deutsch CommunityD Projekte/Kooperationen, Deutsche Welle, Sprachkurse/Bildungsprogramme (c) DW Auslandsmarketing 2011 Communty D CommunityD Deutschlernen Deutschkurse Sprachkurse Facebook Twitter Community Web 2.0 Die Nutzung nur für Deutschkurse! Autor: Sabine Tost Der Fotograf / die Fotografin ist (freie) Mitarbeiter(in) der DW, so dass alle Rechte bereits geklärt sind.
ছবি: DW

ইন্টারনেটের সুবাদে গোটা বিশ্ব যেন আজ একটি গ্লোবাল ভিলেজ৷ সীমান্ত আর ভাষার বাধন ছিন্ন করে কোটি কোটি মানুষকে একই বিন্দুতে দাঁড় করিয়েছে এই নেটওয়ার্ক৷ কিন্তু কেবল দেশ বিদেশের নানা মতের আর পথের মিলনই কী এই ইন্টারনেটের সুফল? স্বৈরশাসক কিংবা গোয়েন্দাদের চোখ এড়িয়ে যে কোন তথ্য এখন মুহুর্তে চলে যাচ্ছে এই গ্রহের আনাচে কানাচে৷ তিউনিসিয়া ও মিশরের বিপ্লব কিংবা ইরানের নির্বাচন পরবর্তী প্রতিবাদ এসবই ইন্টারনেট যুগের তাজা উদাহরণ৷

কিন্তু যুগে যুগে দেখা গেছে, আধুনিকতম প্রযুক্তিটি ব্যবহৃত হয় শাসককুলের হাতিয়ার হিসেবে৷ মাত্র কয়েকদিন আগে এক বক্তব্যে সেটি মনে করিয়ে দিয়েছেন উইকিলিক্স এর প্রধান জুলিয়ান আসাঞ্জ৷ এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ইন্টারনেটে প্রতারণা৷ সর্বশেষ দেখা গেল যেমন, দুইজন সমকামী নারী ব্লগারের পরিচয় উদঘাটিত হওয়ার পর জানা গেল তারা আসলে দুইজন পুরুষ৷ তাই এখন প্রশ্ন উঠছে, এই ইন্টারনেট বা সামাজিক নেটওয়ার্ক সমাজে পরিবর্তন আনতে কতটুকু সহায়ক?

নানা দেশে ভীত সরকার, নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে এসব নেটওয়ার্কিং সাইটস

এক্ষেত্রে অনেকে খুব আশাবাদী নন৷ তাদের মতে তিউনিসিয়া এবং মিশর ব্যতিক্রমী উদাহরণ৷ তাই ইন্টারনেট দিয়েই রাতারাতি সব পরিবর্তন আনা যাবে সেটা ভাবা ঠিক হবে না৷ যেমন নামকরা ব্লগ Netzpolitik.org এর সম্পাদক মার্কুস বেকেনডার৷ তিনি চীনের উদাহরণ দিয়ে জানান, সেদেশে এত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী থাকা সত্ত্বেও সরকারের কড়া নজরদারী রয়েছে৷ অন্যদিকে ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর পেটার ক্রুস বলেন, ফেসবুকের গ্রুপে একটি ক্লিক করে প্রতিবাদ জানানোর অর্থ এই নয় যে তারা রাজপথে গিয়েও প্রতিবাদ জানাবে৷ তবে এইভাবে প্রতিবাদী জনতাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলা যায়, বলেন প্রফেসর পেটার ক্রুস৷

এরপরও অনেকে আশাবাদী, তারা মনে করেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি জনমত খুব দ্রুত গড়ে তোলা সম্ভব৷ যেমন ম্যুন্সটার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ ম্যোলার৷ তিনি বলেন, সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশের একটি অংশ জানতে পারে অন্য অংশের মানুষ কী চাইছে৷ এছাড়া এতে ঝুঁকিও কম৷ কারণ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানালে গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, ইন্টারনেটে ঝুঁকি অনেক কম৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ