বাংলাদেশে দুর্নীতি
২১ নভেম্বর ২০১২ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, টিআইবি'র একমাত্র উদ্দেশ্য হলো, সংসদ আরও কার্যকর হোক৷ সংসদের যে সম্মানিত সদস্যগণ রয়েছেন, তাঁদের যে প্রত্যাশিত ভূমিকা সেটি পালনে যেন আরও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়৷
৯৭ শতাংশ সংসদ সদস্যই বিভিন্ন ‘নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে' জড়িত – টিআইবি'র এমন দাবি নিয়ে অনেক মহলে সংশয় দেখা দিচ্ছে৷ ড. ইফতেখারুজ্জামান এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, যে এ ক্ষেত্রে সম্মানিত তথ্যমন্ত্রীর সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে৷ সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণার প্রচলিত ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি অনুযায়ী এই কাজ করা হয়েছে৷ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সূত্রের উপর ভিত্তি করে তথ্য সংগ্রহ করেছে টিআইবি৷ তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা, বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জার্মানি ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ শাখার এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যানের যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে তা মূল কার্যালয়ে জানানো হবে৷ এ প্রসঙ্গে টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের সংসদের সার্বভৌমত্ব জনগণের ভোটের থেকে প্রাপ্ত৷ ফলে সংসদ সক্রিয়ভাবে এমন অবস্থান নিতেই পারে৷ তবে টিআইবি'র বাংলাদেশ শাখা বন্ধ করে দেওয়ার মতো বক্তব্য বা সিদ্ধান্তগুলি যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়, এটাই কাম্য৷ না হলে দেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি হবে৷ বার্লিনে টিআই'র মূল কার্যালয়ের সঙ্গে অবশ্যই যোগাযোগ করা যেতে পারে৷ টিআইবি সংসদের যে কোনো সিদ্ধান্ত সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল৷ ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘সংসদ টিআইবি'র কাছে কোনো তথ্য চাইলে বা তলব করলে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাতে সাড়া দেব৷''
বিরোধী দলের কয়েকজন টিআইবি'র প্রতিবেদনকে প্রথমে স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন, এতে তাদের বক্তব্যের প্রতিফলন ঘটেছে৷ কিন্তু পরে যখন রিপোর্টে বিরোধী দলের কিছু সম্মানিত সদস্যদের সম্পর্কেও নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ দেখা গেল, তার পর থেকে টিআইবি আর কিছু শোনে নি৷ তা সত্ত্বেও শোনা যাচ্ছে, টিআইবি বিরোধী দলকে ক্ষমতায় বসানোর চক্রান্ত করছে৷ এমন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান৷