করোনা সংকটে সামাজিক ব্যবধানের নিয়ম মেনে মেয়ের স্কুলে যাতায়াত সহজ করতে অভিনব এক মোটরসাইকেল তৈরি করেছেন ত্রিপুরার এক ব্যক্তি৷ খোদ মুখ্যমন্ত্রীও এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Saha
বিজ্ঞাপন
‘সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না’ – এমন সমাধানসূত্র কে না চায়! করোনা সংকটের কারণে লকডাউনের কড়া নিয়ম না মানলে ভারতে পুলিশের হাতে শাস্তির ভয়ে বেশিরভাগ মানুষ ঘরবন্দি রয়েছেন৷ হেঁটে বেশিদূর যাওয়া কঠিন৷ এদিকে গাড়িঘোড়াও কম৷ থাকলেও সেখানে সামাজিক ব্যবধান মানা কার্যত অসম্ভব৷ এই সমস্যার চমৎকার সমাধান বার করেছেন ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার তরুণ পার্থ সাহা৷
পার্থ এমন এক মোটরবাইক তৈরি করেছেন, যেটির উপর চালক ও সহযাত্রীর মধ্যে এক মিটার ব্যবধান বজায় থাকবে৷ আসলে প্রথমে তিনি একটি পরিত্যক্ত মোটরবাইক কিনে নেন৷ তারপর ইঞ্জিন খুলে নিয়ে যানটিকে দুই ভাগে ভাগ করেন৷ মাঝে এক মিটারের একটু দীর্ঘ রড বসিয়ে দুই অংশ আবার জোড়া দেন৷ বিকল ইঞ্জিন সরিয়ে ব্যাটারি ইউনিট বসিয়েছেন পার্থ৷ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে অভিনব এই মোটরবাইক৷ ব্যাটারি চার্জ করতে তিন ঘণ্টা সময় লাগে৷
বাড়ির গ্যারেজে ব্যস্ত পার্থ সাহাছবি: Getty Images/AFP/A. Saha
৩৯ বছর বয়সী পার্থ স্কুলের গণ্ডী পেরোতে পারেন নি৷ মেকানিক হিসেবে কাজ করেন তিনি৷ নতুন বাইকটি বানিয়ে তিনি খুব খুশি৷ সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে পার্থ বলেন, লকডাউনের নিয়ম মেনে এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে তিনি আট বছরের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে পথে বেরোতে পারছেন৷ তাকে স্কুলে পৌঁছে দিতে এবং তুলে আনতে সুবিধা হচ্ছে৷ বিপজ্জনক এই পরিস্থিতিতে স্কুল বাসের মধ্যে মেয়েকে দেখতে চান না তিনি৷
করোনা সংকটের মোকাবিলা করতে ভারত সরকার আচমকা লকডাউন ঘোষণা করায় বেশিরভাগ মানুষের মতো পার্থও সমস্যায় পড়েছিলেন৷ তারপর লকডাউনের মেয়াদ কমপক্ষে ৩রা মে পর্যন্ত বাড়ানোর পর তিনি বুঝলেন, এই সংকট দ্রুত কেটে যাবার সম্ভাবনা নেই৷ তাই সঞ্চয়ের সামান্য অর্থ দিয়ে তিনি বাতিল মোটরবাইকটি কেনেন৷
বলা বাহুল্য, এই বাইক নিয়ে পথে বেরোলে মানুষ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন৷ ডিজাইন দেখে অনেকে প্রশংসাও করছেন৷ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও এমন উদ্যোগ দেখে অভিভূত৷ এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘‘নেসেসিটি ইজ দ্য মাদার অফ ইনভেনসন! কোভিড-১৯ মহামারির সময় এমন অসাধারণ মোটরসাইকেল তৈরির জন্য আমি পার্থ সাহাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি৷’’
এসবি/কেএম (এএফপি)
যেখানে করোনা, সেখানেই রোবট আর ড্রোন
জানালায় এসে কথা বলছে ড্রোন। পুলিশের নির্দেশে উড়ে যাচ্ছে যেখানে দরকার। রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল, সুপার মার্কেটসহ অনেক জায়গায় করোনা ভাইরাসকে রুখতে রোবটও কাজ করে চলেছে বিরামহীনভাবে। দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Reuters/China Daily
ড্রোন বলছে, সাবধান!
মালয়েশিয়ার পুলিশ করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচার কথা বলতে পাঠিয়েছে তাকে। রাজধানী কুয়ালালামপুরের এই ঘরটির সামনে এসে সে কথাই বলছে ড্রোন। মন দিয়ে ড্রোনের কথা শুনছেন এক গৃহিণী।
ছবি: Reuters/Lim Huey Teng
শিক্ষার্থীর বেশে রোবট
করোনা ভইরাস থেকে বাঁচতে ঘরে থাকতে হচ্ছে সবাইকে। জাপানের রাজধানী টোকিওর এক অনুষ্ঠানে তাই সদ্য স্নাতক পাস করা শিক্ষার্থীরা আসতে পারেননি। তাদের জায়গায় গাউন পরে দাঁড়িয়েছে রোবট।
ছবি: Reuters/BBT UNIVERSITY
রোবট যখন ফটোগ্রাফার
ইটালির ভারেসে শহরের এক হাসপাতলে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের ছবি তুলে বেড়াচ্ছে রোবট। রোগীদের চিকিৎসায় খুব কাজে লাগছে সেই ছবি। কম্পিউটারের স্ক্রিনে রোবটের তোলা ছবি দেখছেন এক স্বাস্থকর্মী।
ছবি: Reuters/F. Lo Scalzo
সচেতন রোবট
করোনা ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে একজন সচেতন মানুষের যা যা করা উচিত, সবাই মিলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়া উচিত, সুপার মার্কেটে সেই কথাগুলো বলছে মানুষের আদলে গড়া এক রোবট। জার্মানির লিন্ডিয়ার শহরের এক সুপার মার্কেট থেকে তোলা ছবি।
ছবি: Reuters/W. Rattay
সংবাদ সম্মেলনে রোবট
বেজিংয়ের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে সাংবাদিকদের দেখানো হচ্ছে হাসপাতলে রোবট কিভাবে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় সহায়তা করে। 'নকল মানুষ' সামনে রেখে রোবটই তা দেখাচ্ছে।
ছবি: Reuters/C. Garcia Rawlins
শহর জীবাণুমুক্ত করছে ড্রোন
চিলির তালকাহুয়ানা শহরে জীবাণুনাশক ছিটাতে আর মানুষের দরকার হয় না। লকডাউন মেনে মানুষ থাকছে ঘরে আর শহরময় উড়ে উড়ে জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছে ড্রোন।
ছবি: Reuters/J. Luis Saavedra
খাবার পরিবেশনে
চীনের সাংহাই শহরের এক রেস্তোরাঁয় চাহিদামতো খাবার পরিবেশন করছে রোবট।
ছবি: Reuters/Aly Song
সিঁড়ি বেয়ে ওঠে স্প্রেয়ার!
চীনের লুসিয়াং হেনান প্রদেশের এক ভবনে জীবাণুনাশক ছিটাতে সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে এগিয়ে চলেছে স্প্রেয়ার।
ছবি: Reuters/China Daily
রংমিস্ত্রি রোবট
করোনা ভাইরাসের কারণে ফ্রান্সও এখন বিপর্যস্ত। সব মানুষকে বলা হয়েছে ঘরে থাকতে। অনেক কাজেই নামতে হয়েছে রোবটকে। করোনায় মৃতদের জন্য বানাতে হচ্ছে নতুন নতুন কফিন। কফিনে রং করছে এক রোবট।
ছবি: Reuters/G. Fuentes
মাস্ক লাগবে?
ভারতের কোচি শহরে ট্রে হাতে দাঁড়িয়ে আছে রোবট। ট্রে-তে আছে মাছ আর স্যানিটাইজার। যার দরকার নিয়ে নিন!
ছবি: Reuters/Sivaram V
বিকল্প স্বাস্থ্যকর্মী
ইতালির ভারেসে শহরের এক হাসপাতলে করোনায় সংক্রমিতদের চিকিৎসায় সহায়তা করছে রোবট।
ছবি: Reuters/F. Lo Scalzo
পরম বন্ধু
করোনা-সংকটে সবচেয়ে বিপদে আছেন প্রবীণরা। রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, একাকিত্বের যন্ত্রণাও তাদের জন্য বেশি অসহনীয়। বেলজিয়ামে এমন মানুষদের জন্য ঘরে ঘরে বিনামূল্যে রোবট পাঠাচ্ছে একটি কোম্পানি। রোবটগুলোর কাজই হলো ভিডিও কলের মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলানো।
ছবি: Reuters/Y. Herman
পুলিশ এবং ড্রোন
ইন্দোনেশিয়ার রিয়াউ প্রদেশের পেকানবাউ শহরে
জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজও করতে হচ্ছে পুলিশকে। অবশ্য পুলিশ কাজটা নিজে করছে না। রিমোট হাতে নিয়ে শুধু নির্দেশ দিচ্ছে আর সেই নির্দেশ মেনে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে যাচ্ছে ড্রোন।
ছবি: Reuters/R. Muharrman
'বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক'
বেজিংয়ের করোনায় সংক্রমিত রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতো নানা উপদেশ দেবে এই রোবট। কিভাবে, কোন ইশারায় কী বোঝাতে হবে তা দেখিয়ে দিচ্ছেন ফাইভ জি প্রযুক্তির রোবটটি তৈরি করা কোম্পানির কর্মীরা।