বিকল্প, পরিবেশবান্ধব জ্বালানির খোঁজে নানা উৎসের খোঁজ চলছে, অ্যালজি বা সামুদ্রিক উদ্ভিদ যার অন্যতম৷ জার্মানিতে এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে অভিনব পরীক্ষা চলছে৷ অন্যান্য কিছু দেশ অবশ্য বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির হামবুর্গ শহরের একটি বাড়ির মধ্যে বায়ো-রিয়্যাক্টরে অ্যালজি চাষ হচ্ছে৷ চারিদিকে বুদবুদের স্পন্দন৷ অ্যালজি এমন বায়োমাস উৎপাদন করে, যা থেকে বায়োগ্যাস পাওয়া যায়৷ সেই জ্বালানি দিয়ে বাড়ির ৩০ জন বাসিন্দার জন্য শীতে ঘর গরম রাখা যায়৷
মার্টিন ক্যার্নার বিশ্বের প্রথম ‘অ্যালজি হাউস' উদ্যোগের অন্যতম উদ্যোক্তা৷ সহকর্মীদের সঙ্গে তিনি রিয়্যাক্টরের দেওয়ালটিকে আরও উন্নত করতে কাজ করে যাচ্ছেন৷ সেইসঙ্গে বাড়ির সিস্টেমের সঙ্গে এই জ্বালানির সমন্বয় করতে হয়৷ পুরোটাই বাস্তব পরিস্থিতিতে এক পরীক্ষার মতো৷ মার্টিন বলেন, ‘‘গবেষণাকেন্দ্র হিসেবেও আমরা জায়গাটিকে কাজে লাগাচ্ছি৷ গবেষণা ও উন্নতির স্বার্থে আমরা সেরা বিষয়গুলি পরখ করে দেখছি৷ ছোট আকারে নয়, এখানে আমরা মনের সুখে পরীক্ষা চালিয়ে দেখতে পাচ্ছি, কীভাবে ও কতটা দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু চলছে, কোথায় আরও উন্নতির অবকাশ রয়েছে – এখানেই সব প্রশ্নের উত্তর যাচাই করতে পারছি৷''
অ্যালজি থেকে তৈরি হয় বিদ্যুৎ
04:38
মার্টিন ক্যার্নারঅ্যালজি হাউস নিয়ে খুবই গর্বিত৷ ২০১৩ সালে নির্মাণের সময় থেকেই তিনি এই বাড়ির তত্ত্বাবধান করছেন৷ এই প্লান্ট শুধু উত্তাপ ও বায়োগ্যাস উৎপাদন করে না৷ এক বিশেষ সিস্টেমের মাধ্যমে বর্জ্য পানি অপচয় না করে আবার কাজে লাগানো যায়৷ মার্টিন ক্যার্নার বলেন, ‘‘আমরা বাড়ির বর্জ্য পানি রিসাইকেল করি এবং সেই প্রক্রিয়ায় মিথেন গ্যাস উৎপাদন করি৷ পানি ও পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে আবার বায়ো রিয়্যাক্টরে কাজে লাগাতে পারি৷ বাড়ির মধ্যেই এক সার্কুলেশন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে৷ সেখানে বর্জ্য এবং উত্তাপ ও কাঁচামাল সৃষ্টির প্রক্রিয়া পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে৷''
হামবুর্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাকেন্দ্রে অ্যালজি রিয়্যাক্টরের প্রটোটাইপ রয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ প্রযুক্তি ও জ্বালানি বিভাগের ক্যার্স্টিন কুচা অ্যালজি হাউসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেন৷ ক্যার্স্টিন বলেন, ‘‘অত্যন্ত প্রাথমিক স্তরে অ্যালজি হাউস তৈরি করা ছিল এক সাহসি সিদ্ধান্ত৷ অ্যালজি সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান ছিল, কাউকে না কাউকে বড় আকারে এই পদক্ষেপ নিতেই হতো৷ পরিস্থিতি অনুযায়ী অবশ্যই বেশ কিছু রদবদল করতে হয়েছে৷ তবে অগ্রসর হবার এটাই একমাত্র পথ ছিল৷''
জ্বালানি উৎপাদন প্রক্রিয়ার উন্নতি করতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের কাজ চলছে৷ ক্যার্স্টিন কুচা বলেন, ‘‘আমরা যখন এখানকার মতো অ্যালজি চাষ করি, তখন সবার আগে তেল, জ্বালানি অথবা সূক্ষ্ম রাসায়নিকের দিকে নজর দেই৷ অ্যালজি থেকে সেসব বের করে নিলে কার্যত সবুজ ও অন্যান্য রংও বেরিয়ে যায়৷ তখন যে সাদা অংশ অবশিষ্ট থাকে, তা বায়োগ্যাসে রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত৷''
বিকল্প জ্বালানির পথে জার্মানি
আজকের বিশ্বে অনেক দেশেই জ্বালানি-নীতি নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা চলছে৷ জাপানে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর জার্মানি পরমাণু ও জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি সম্পূর্ণ বর্জন করে পুরোপুরি বিকল্প পথে অগ্রসর হচ্ছে৷
ছবি: Reuters
ফুকুশিমা বিপর্যয়ের গভীর প্রভাব
২০১১ সালের মার্চ মাসে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের ঠিক আগে জার্মানি তার পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ কিন্তু জাপানের মতো শিল্পোন্নত দেশে পরমাণু চুল্লির এমন বিপর্যয়ের ফলে জার্মানি সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ ধাপে ধাপে সব পরমাণু কেন্দ্র বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার৷
ছবি: dapd
জ্বালানি-নীতির আমূল পরিবর্তন
আর দেরি না করে ২০১১ সালের ৬ই জুন জার্মানির মন্ত্রিসভা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয়৷ এই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধাপে ধাপে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে ২০২২ সালে জার্মানির শেষ পরমাণু কেন্দ্র অচল করে দেওয়া হবে৷ অন্যদিকে ২০২০ সালের মধ্যে গোটা দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ আসবে বিকল্প জ্বালানি থেকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শুধু বিদ্যুতের উৎস নয়
জ্বালানি-নীতির ক্ষেত্রে জার্মানির এই আমূল পরিবর্তন শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই৷ সার্বিক এই নীতির আওতায় পরিবহণ ও শীতকালে ঘরবাড়ি গরম রাখার উত্তাপের উৎসকে রাখা হয়েছে৷ এ সব ক্ষেত্রেও জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে না পারলে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়৷
ছবি: REUTERS
বিকল্প জ্বালানির আর্থিক সুবিধা
ছাদে সোলার প্যানেল লাগালে জার্মানিতে বাড়ির মালিক তা থেকে দু’পয়সা আয় করতে পারেন৷ একদিকে সরকার নামমাত্র সুদে ঋণ ও অন্যান্য অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে৷ অন্যদিকে কিছু বিদ্যুৎ কোম্পানি তাঁদের কাছ থেকে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ কিনে নিতে পারে৷
ছবি: DW/G.Rueter
লোকসানের ধাক্কা
জার্মানির সবচেয়ে বড় বেসরকারি জ্বালানি কোম্পানি ‘এয়ন’ জ্বালানি-নীতির পরিবর্তনের ফলে মারাত্মক লোকসানের মুখ দেখছে৷ নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে কাঠামোগত পরিবর্তনের ফলেও আপাতত আর্থিক ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে এই সংস্থাকে৷ ২০১৬ সালের প্রথমার্ধে লোকসানের মাত্রা ছিল প্রায় ৩০০ কোটি ইউরো৷ অন্যান্য কিছু সংস্থাও লোকসানের মুখ দেখছে৷
ছবি: Reuters/I. Fassbender
পরিবেশ সংরক্ষণ বিধি
বিকল্প জ্বালানি উৎপাদন পরিবেশের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে৷ কিন্তু পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত কড়া বিধিনিয়িমের ফলে এমন প্রকল্পও বাধার মুখে পড়ছে৷ যেমন উপকূলের কাছে সমুদ্রের উপর বায়ুশক্তি টার্বাইন গড়ে তোলার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এক পরিবেশ সংগঠন৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পের পরিকল্পনার সময় পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলি বিবেচনায় রাখলে এমন সমস্যা এড়ানো সম্ভব৷
ছবি: Bund/M.Rode
বাজার অর্থনীতির উপযোগী
শুধু সরকারের একার পক্ষে জ্বালানি-নীতির পরিবর্তন ও বিকল্প জ্বালানি উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়ার প্রচেষ্টা কোনো দেশেই বেশি দিন চলতে পারে না৷ জার্মানি দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর বিকল্প জ্বালানির ক্ষেত্রে কিছু ভরতুকি বন্ধ করে দিয়েছে৷ সরকারের বক্তব্য, বিকল্প জ্বালানি উৎপাদন এতদিনে লাভজনক হয়ে উঠেছে৷ বাজার অর্থনীতির প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে টিকে থাকার ক্ষমতাও এসে গেছে৷
ছবি: BELECTRIC.com
বিদ্যুৎ পরিবহণ
বিকল্প জ্বালানির উৎপাদন বাড়িয়ে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমানো যায় বটে, কিন্তু ‘ক্লিন এনার্জি’ গোটা দেশে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ৷ জার্মানির উত্তরে সমুদ্র উপকূল থেকে বায়ুশক্তি প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বাভেরিয়া রাজ্যে পৌঁছে দিতে বিশাল এক প্রকল্পের কাজ চলছে৷ এই উদ্যোগকে ঘিরে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সামলে নিতে পারলে এই পথে ২০২২ সাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে৷
ছবি: Fotolia/Thorsten Schier
জার্মানির সুদূরপ্রসারী জ্বালানি নীতি
জ্বালানির ক্ষেত্রে জার্মানি যে সুদূরপ্রসারী নীতি গ্রহণ করেছে, তার তুলনা মেলা ভার৷ এ বিষয়ে আরও জানতে চান? উপরে ডানদিকে ক্লিক করুন৷
ছবি: Reuters
9 ছবি1 | 9
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বায়োগ্যাস প্লান্টে ক্যারস্টিন কুচা এই প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করতে পারেন৷ অ্যালজির সুবিধা হলো, তা দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে৷ ফলে বায়োগ্যাসের জন্য যথেষ্ট রসদ পাওয়া যায়৷ অ্যালজি থেকে জ্বালানি উৎপাদনের প্রক্রিয়া এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ জার্মানির ক্যোটেন শহরে কারোলা গ্রিল পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের পুকুর থেকে তাজা অ্যালজি সংগ্রহ করেন৷ তিনি এমন এক প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন, যার সাহায্যে গাছ বেড়ে ওঠার সময়ই কোনো ক্ষতি না করে তেল বের করে নেওয়া যায়৷
এর ফলে অ্যালজি থেকে জ্বালানি উৎপাদন অনেক সহজ হয়ে উঠেছে এবং ব্যয়ও কমে গেছে৷ তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও আর্জেন্টিনার মতো দেশ এই প্রযুক্তির বিকাশে বিনিয়োগ করলেও জার্মানিতে এই গবেষণার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা কঠিন৷ অ্যালজি বায়োটেকনোলজিস্ট কারোলা গ্রিল বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে এই প্রযুক্তি এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি৷ জ্বালানি উৎপাদন হচ্ছে না, ব্যয়ভারও অত্যন্ত বেশি৷ তবে আন্তর্জাতিক স্তরে পাল্লা দিতে হলে জার্মানিকেও অনেক অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে৷''
জার্মানি কি শেষ পর্যন্ত এ ক্ষেত্রে হার মানবে? অন্যান্য দেশগুলি অ্যালজি থেকে জ্বালানি উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা দেখছে এবং বাণিজ্যিকভাবে টেকসই পদ্ধতি সৃষ্টির লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলছে৷
আনা ফ্ল্যুগার/এসবি
বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ভেরেন্ডা
সারা বিশ্বে যে তেলের মজুদ আছে আগামী একশো বছরের মধ্যে তা শেষ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের৷ তাই বিকল্প জ্বালানির সন্ধান চলছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জাট্রোফা বা ভেরেন্ডা
ইংরেজি নাম জাট্রোফা৷ এর কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে৷ এর মধ্যে ‘জাট্রোফা কারকাস’ বাংলাদেশে ভেরেন্ডা নামে পরিচিত৷ তবে কেউ কেউ ‘সাদা মান্দার’ও বলেন৷ ভেরেন্ডার বীজ থেকে অনেকেই তেল বের করে সেটা কাজে লাগান৷ কাজটা একটু বড় পরিসরে করলে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে পারবে৷
ছবি: Live Energies GmbH/George Francis
৩৭ লক্ষ টন তেল আমদানি
প্রতি বছর বাংলাদেশ প্রায় ৩৭ লাখ টন (পরিশোধিত ও অপরিশোধিত) জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে৷ এর প্রায় ২৪ লাখ টনই ডিজেল, যার মোট আমদানি মূল্য ১৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি৷ সরকার বেশি দামে ডিজেল কিনে কম মূল্যে জনগণকে সরবরাহ করে৷ ফলে প্রতিবছর হাজার কোটি টাকারও বেশি লোকসান গুনতে হয় সরকারকে৷ তাই বায়োডিজেল উৎপাদনে ভেরেন্ডাকে কাজে লাগালে সরকারের লোকসান কমবে৷
ছবি: AFP/Getty Images
প্রতি হেক্টরে ৩-৪ হাজার লিটার
হিসেবে দেখা গেছে, এক হেক্টর জমিতে জন্মানো জাট্রোফা থেকে প্রতিবছর প্রায় ৩-৪ হাজার লিটার বায়োডিজেল উৎপাদন করা সম্ভব৷
ছবি: Live Energies GmbH/George Francis
সরকারি উদ্যোগ
ভেরেন্ডা বা জাট্রোফা থেকে বায়োডিজেল উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ২০০৬ সালে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে৷ কমিটি ২০০৭ সালে তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদন দাখিল করলেও আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে৷
ছবি: Live Energies GmbH/George Francis
সামাজিক বনায়ন
বাংলাদেশে অতি সহজেই বায়োডিজেল উৎপাদন সম্ভব৷ কারণ সরকারের ‘সামাজিক বনায়ন’ কর্মসূচির মাধ্যমে জাট্রোফা রোপণ ও পরিচর্যার ব্যবস্থা করা যেতে পারে৷ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে কারণ, বিকল্প জ্বালানির উৎসের সন্ধান পাওয়া না গেলে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ৷
ছবি: Live Energies GmbH/George Francis
বিকল্প জ্বালানির চাহিদা
সারা বিশ্বে যে তেলের মজুদ আছে তা আগামী একশো বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের৷ তাই অনেক দেশই বিকল্প জ্বালানির সন্ধানে নেমেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কয়েকটি দেশে শুরু হয়েছে
বিকল্প জ্বালানি হিসেবে অনেকদিন ধরেই বায়োডিজেলের নাম উচ্চারিত হয়ে আসছে৷ বিশেষ করে অনেক দেশেই এখন জাট্রোফা থেকে বায়োডিজেল উৎপাদন করা হচ্ছে৷