নিরাপত্তা তল্লাশি জোরদার
১৮ অক্টোবর ২০১৩![Police raid an area after activists of Bangladesh Nationalist Party (BNP) threw hand bombs at them during a country wide strike in Dhaka March 7, 2013. Bangladesh Nationalist Party and its alliance called the daylong strike in protest against what it said were violence and killings by the police in their protest rally over war tribunals on Wednesday, local media reported. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)](https://static.dw.com/image/16654876_800.webp)
পুলিশের দাবি, তাঁদের কাছে তথ্য আছে ঈদের আগে গ্রামে যাওয়া মানুষজন যখন ঢাকায় ফিরতে শুরু করবেন তখন তাঁদের সঙ্গে বিরোধী দলীয় বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী রাজধানীতে ঢুকে পড়তে পারে৷ তাঁরা একযোগে না এসে কয়েকদিন ধরে আসতে পারেন৷
২০ অক্টোবর রবিবার থেকে ঈদের ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকা আবার কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে৷ তাই শুক্রবার থেকেই লোকজন ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন৷ শনিবার ঢাকায় ফেরা মানুষের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে৷ এ কারণেই রাজধানীর লঞ্চ, ট্রেন এবং বাস স্টেশনসহ পুরো ঢাকায় পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে৷ তল্লাশি চলছে রাজধানীর প্রবেশ পথে৷
পুলিশের উপ কমিশনার আশরাফুজ্জামান জানান মতিঝিল ও পল্টন এবং আশপাশের এলাকা ছাড়াও পুরনো ঢাকায় তাঁরা নজরদারি বাড়িয়েছেন৷ কৌশলগত কারণে এইসব এলাকাকে কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে৷
জানা গেছে জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে সবচেয়ে বেশি৷ ফেনী এবং কিশোরগঞ্জে শুক্রবার জামায়াত-শিবিরের বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ পুলিশ জানায় নিকট অতীতে জামায়াত-শিবির সংঘবদ্ধভাবে যে হামলা চালিয়েছে তা মাথায় রেখেই তাঁরা কাজ করছেন৷
যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, কোনো গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে যাতে কেউ পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেদিকে নজর রাখছেন তাঁরা৷ তিনি বলেন দা-কুড়াল নিয়ে প্রস্তুতির সুযোগ যেন কেউ না পায় সেজন্য যেমন তল্লাশি চালান হচ্ছে তেমনি যারা এইসব কাজে সংগঠক হিসেবে কাজ করতে পারেন তাদের ওপরও খেয়াল রাখা হচ্ছে৷
জানা গেছে বিএনপির আন্দোলনে মাঠে থাকবে প্রধানত ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দল৷ তাই বিএনপির কিছু নেতা ছাড়াও এইসব সহযোগী সংগঠনের নেতাদের ওপর নজর রাখছেন গোয়েন্দারা৷ তাই তাঁদের কেউ কেউ পুলিশের নজর এড়িয়ে কৌশলে কাজ করছেন৷
এদিকে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অবস্থান অব্যাহত আছে৷ বিএনপির নেতা-কর্মীরা অফিসের ভেতরে ঢুকতে পারছেন না৷ সাহস করে সেখানে কেউ যাচ্ছেনও না৷
মতিঝিল জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার মিনহাজুল ইসলাম জানান যতদিন তাঁরা প্রয়োজন মনে করবেন ততদিন সেখানে পুলিশ থাকবে৷ কারণ তাঁরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন৷
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু দাবি করেন ঢাকাসহ সারাদেশে তাদের নেতা-কর্মীদের চাপের মুখে রেখেছে পুলিশ৷ তাদের বাড়িঘরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে৷
আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যেকোন মূল্যে তাঁরা ২৫শে অক্টোবরের সমাবেশ সফল করবেন৷ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার বা দমন-পীড়ন চালিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা৷