বছর ঘোরে৷ অর্থনীতির উন্নতি হয়৷ কিন্তু লাভ হয় কেবল বড়লোকদেরই৷ গরিব মানুষের জীবনে কোনো উন্নতি নেই৷ সম্প্রতি তাদের রিপোর্টে এমনটিই জানিয়েছে অক্সফাম৷ দেখে নেওয়া যাক তাদের রিপোর্ট৷
ছবি: Oxfam/S. Tarling
বিজ্ঞাপন
আজকের কথা নয়৷ খ্রিস্টপূর্ব প্রায় সাড়ে চারশ' বছর আগে এথেন্সে বসে দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন, ‘‘শহরের আকার যত ছোটই হোক না কেন, তা মূলত দু'ভাগে বিভক্ত৷ অতি ধনী আর অতি গরিব৷ এই দু'পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ চলবেই৷’’
প্লেটোর এত বছর পরেও মূলগত সেই যুদ্ধের অবসান ঘটেনি৷ ‘যুদ্ধ’ চলছেই৷ সম্প্রতি ব্রিটেনভিত্তিক সংস্থা ‘অক্সফাম’এর রিপোর্টে আবার সে কথা স্পষ্ট হয়েছে৷ সংস্থাটির দাবি, ২০১৭ সালে পৃথিবীর এক শতাংশ ধনীর ধনভাণ্ডারের বৃদ্ধির পরিমাণ ৭৬২ বিলিয়ন ডলার৷ শুধু তাই নয়, বলা হয়েছে, এই পরিমাণ টাকা যদি গরিবি দূর করার কাজে ব্যবহৃত হতো, তাহলে ৭ বার বিশ্বের গরিবি দূর করা সম্ভব হতো৷
বিশ্বের সবচেয়ে ধনি মুসলিম মহিলারা
দুনিয়ার সবচেয়ে ধনি মুসলিম মহিলাদের সম্পদ আসে তিনটি উৎস থেকে: বিত্তশালী স্বামী, বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ ও নিজের উপার্জন...৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/E. Agostini
প্রিন্সেস আমীরা আল-তাউয়িল, সৌদি আরব
প্রিন্সেস আমীরার জন্ম ১৯৮৩ সালের ৬ই নভেম্বর তারিখে৷ তাঁর স্বামী প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালালের বয়স ৫৮; তিনি বিশ্বের ২৬জন সবচেয়ে ধনি ব্যক্তিদের মধ্যে পড়েন৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/E. Agostini
মহারানি রানিয়া, জর্ডান
জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ ইল ইবন আল-হুসেনের স্ত্রী রানিয়ার জন্ম ১৯৭০ সালের ৩১শে আগস্ট৷ আবদুল্লাহ রাজা হন ১৯৯৯ সালে৷ ছবিতে মহারানি রানিয়াকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শনে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/epa/J. Nasrallah
প্রিন্সেস মজীদা নুরুল বোলকিয়াহ, ব্রুনেই
প্রিন্সেস মজীদা নুরুল বোলকিয়াহ ব্রুনেই-এর সুলতান হাসানাল বোলকিয়াহ-র দ্বিতীয় পুত্রী৷ তার জন্ম ১৯৭৬ সালের ১৬ই মার্চ৷ খায়রুল খলিলের সঙ্গে বিবাহ হয় ২০০৭ সালে৷ খলিলও রাজপরিবারের সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কাজ করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রিন্সেস হাজাহ হফীজা সুরুরুল বোলকিয়াহ
ব্রুনেই-এর সুলতানের চতুর্থ কন্যা প্রিন্সেস হফীজার জন্ম ১৯৮০ সালের ১২ই মার্চ তারিখে৷ তাঁর পিতা সুলতান হাসানাল বোলকিয়াহ-কে বিশ্বের সবচেয়ে ধনি ব্যক্তিদের মধ্যে গণ্য করা হয়৷ ব্রুনেই-এর সুলতানের গাড়ির সংখ্যা ৭,০০০ আর তাঁর প্রাসাদে কামরার সংখ্যা ১,৭০০৷
ছবি: Getty Images/AFP
সুলতানাহ নুর জাহিরা, মালয়েশিয়া
রাজা আল ওয়াথিকু বিল্লাহ তুয়ানকু মিজান জয়নালের পত্নী সুলতানার জন্ম ১৯৭৩ সালের ৭ই ডিসেম্বর তারিখে৷ সুলতানাহ স্বয়ং ধনি পরিবারের সন্তান৷ পিতার কাছ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি পেয়েছেন জাহিরা৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Nizal
শেখা মোজাহ বিন্তি নাসের আল-মিসনদ, কাতার
শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানির দ্বিতীয় স্ত্রী শেখার জন্ম ১৯৫৯ সালে৷ ওঁর স্বামীর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় সাত বিলিয়ন পাউন্ড বলে কথিত৷
ছবি: picture alliance/abaca
শেখা হানাদি বিন্তি নাসের বিন খালেদ আল থানি, কাতার
রিয়াল এস্টেট, পুঁজি বিনিয়োগ আর ব্যাংক ম্যানেজারি থেকে শেখা হানাদির অর্জিত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার, বলে শোনা যায়৷ তিনি নিঃসন্দেহে কাতারের সবচেয়ে ধনি নারীদের মধ্যে গণ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
প্রিন্সেস লাল্লা সালমা, মরক্কো
প্রিন্সেস লাল্লার জন্ম ১৯৭৮ সালের ১০ই মে৷ পিতা ছিলেন পেশায় শিক্ষক৷ লাল্লার বিবাহ হয় মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদের সঙ্গে৷ দুই সন্তানের জননী সালমার পতির সম্পত্তির পরিমাণ আড়াই বিলিয়ন ডলার বলে মনে করা হয়ে থাকে৷
২০০৬ সালের এশিয়ান গেমসে দেখা যাচ্ছে শেখা মায়থাকে; এখানে তায়কন্ডোতে রৌপ্যপদক জেতেন তিনি৷ মায়থার জন্ম ১৯৮০ সালের ৫ই মার্চ৷ পিতা শেখ মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মখতুম সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও পরে প্রেসিডেন্টের পদ অলঙ্কৃত করেছেন৷ শেখ মুহাম্মদ দুবাই-এর আমীর৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Yeon-Je
9 ছবি1 | 9
অক্সফামের রিপোর্ট বলছে, ২০১৭ সালে মোট ধনের ৮২ শতাংশই সামান্য কিছু ধনী পরিবার লাভ করেছে৷ অথচ ৫০ শতাংশ গরিব মানুষের জীবনযাপনের কোনো উন্নতি হয়নি৷ অর্থাৎ, মোট উৎপন্ন ধনের কোনো অংশই গরিব মানুষের কাছে পৌঁছায়নি৷
নানা দিক থেকে গরিব-বড়লোকের ধনবৈষম্য দেখিয়েছে অক্সফাম৷ তাদের দাবি, গত বছরে রেকর্ড ২,০৪৩ জন বিলিয়নেয়ার তৈরি হয়েছে পৃথিবীতে৷ কিন্তু কীভাবে বিলিয়নেয়ারদের হাতে অর্থ আসছে? অক্সফামের দাবি, পরিশ্রম করে নয়, পারিবারিকভাবে অথবা সরকারের বদান্যতায়, অথবা গরিব মানুষকে শোষণ করে অর্থবানেরা আরও বেশি অর্থ উপার্জন করছেন৷ ফলে, তাঁদের অর্থ, সার্বিক ধনবন্টনে মোটেই সহায়ক হচ্ছে না৷ অর্থনীতিতে একটি তত্ত্ব আছে, যেখানে বলা হয়, উপর থেকে চুইয়ে পরা ধনে নীচের অংশ উপকৃত হয়৷ কিন্তু অক্সফামের রিপোর্ট বলছে, সেই তত্ত্বও এখন কাজ করছে না৷ ধনীর অর্থে গরিবের বিন্দুমাত্র অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না৷ বরং পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে৷ ফলে সংস্থাটি চলতি বাজার অর্থনীতিকে ‘বুমিং’ তো বলতে চাইছেই না, বরং ‘পরাজিত’ বলতে চাইছে৷ তাদের দাবি, অর্থনীতি এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ব জুড়ে অবৈধ কাজ, দুর্নীতি আরো বৃদ্ধি পাবে৷ ইতিমধ্যেই এমন ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে সর্বত্র৷ তাদের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে অক্সফাম দেখিয়েছে, পৃথিবীর ৪২জন ধনীর হাতে যে অর্থ আছে, তার মোট পরিমাণ বিশ্বের ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মানুষের সম্পত্তির সমান৷
ভারতের ধনী মন্দিরগুলো
ভারতের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়গুলোতে ভক্তের ভিড় লেগেই থাকে৷ এ সব ভক্তরা কিন্তু মন্দিরগুলোতে খালি হাতে যান না৷ তারা দান করের অর্থ, স্বর্ণ, অলঙ্কারসহ অনেক কিছু৷ আর এ সব দানে ভারতের বেশ কিছু মন্দির এখন সম্পদে ভরপুর৷
ছবি: Narinder Nanu/AFP/Getty Images
অনন্ত পদ্মনাথ স্বামী মন্দির
কেরালার রাজধানী থিরুভানান্তাপুরমে অবস্থিত এই মন্দিরটি৷ এটি ভারতের অন্যতম ধনী মন্দির৷ এই মন্দিরে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়৷ এই মন্দিরের ভূগর্ভস্থ কক্ষ থেকে সম্প্রতি ১ লাখ কোটি রূপির সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে৷
ছবি: dapd
তিরুপতি বালাজি মন্দির
অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলায় তিরুমালা পাহাড়ি এলাকায় এর অবস্থান, যা কিনা বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীন পর্বত বলে ধারণা করা হয়৷ এই মন্দিরে দেবতা বিষ্ণুর অবতার ভেঙ্কটেশ্বরের পুজো হয়৷ এখানে মূলত ভক্তরা মাথার চুল দান করেন৷ প্রতি বছর এই মন্দিরে ৫০ হাজার ভক্তের আনাগোনা হয়৷ এই মন্দিরে ৫০ হাজার কোটি রূপির সম্পদ আছে বলে জানা গেছে৷
ছবি: HB-Verlag
সোমনাথ মন্দির
গুজরাটের প্রভাসক্ষেত্রে এই মন্দিরের অবস্থান৷ এই মন্দিরের সম্পর্কে বলা হয় যে, এর উল্লেখ ঋগবেদেও আছে৷ মুসলিমদের শাসনামলে অন্তত ১৭ বার এই মন্দিরটিকে ভাঙা হলেও, পরে আবারো পুনর্নিমাণ করা হয়৷ শিবের মন্দির এটি৷ পুরো মন্দিরটি পাথর দিয়ে তৈরি৷
ছবি: picture alliance/DINODIA
শ্রী জগন্নাথ মন্দির
উড়িষ্যা রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকা পুরীর এই মন্দিরে ভগবান জগন্নাথ দেবের পুজো হয়৷ ১২শ শতাব্দীতে নির্মাণ কাজ শেষ হয় এই মন্দিরের৷ হিন্দুদের চার ধামের অন্যতম এটি৷ মন্দিরটি থেকে ১৭ টন রূপা উদ্ধার করেছিল পুলিশ৷
ছবি: picture-alliance/akg-images/A. F. Kersting
সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির
ভারতের মুম্বইতে এই মন্দিরে সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করা হয়৷ এই মন্দিরের সম্পদের মধ্যে আছে ৭২৭ কেজি সোনা, যার বাজার মূল্য ৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার৷
ছবি: AP
স্বর্ণ মন্দির
পাঞ্জাবের অমৃতসরে এই মন্দিরের অবস্থান৷ কেবল ভারত নয়, পুরো বিশ্ব থেকে লাখো মানুষ এই মন্দিরটি দেখতে যান৷ শিখ সম্প্রদায়ের কাছে এটা অন্যতম পবিত্র স্থান৷ মন্দিরটির দেয়াল রূপা এবং স্বর্ণ দিয়ে তৈরি৷ প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ হাজার ভক্ত মন্দিরটি পরিদর্শন করেন৷
ছবি: imago/CHROMORANGE
6 ছবি1 | 6
সংস্থাটির দাবি, অর্থনীতির এই বৈষম্যের জন্য, বিশ্ব জুড়ে গরিবদের অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে৷ তাঁরা কর্মস্থলে পরিশ্রম করছেন সাধ্যের অতীত, বহুক্ষেত্রেই তাঁরা ৮ ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করছেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রাপ্য অর্থ পাচ্ছেন না৷
অক্সফামের এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর অবশ্য অন্যান্য বহু অর্থনৈতিক সংস্থাই এর বিরোধিতা করে৷ বলা হয়, অক্সফামের রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট এবং অর্থনীতির অতিসরলিকরণ৷ বিরোধীদের বক্তব্য, চলতি বাজার অর্থনীতির সমালোচনা করতে গিয়ে অক্সফাম একটি সহজ সত্য এড়িয়ে গিয়েছে৷ তাঁরা বলছেন, ১৯২৯ সালে পৃথিবীর মোট গরিব ছিল ৭৫ শতাংশ, সেই তুলনায় এখন দরিদ্র অনেক কমেছে৷ অর্থাৎ, গরিব মানুষের উন্নতি হচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, পৃথিবীর বহুদেশে গরিবেরা এখন কর্মস্থলে তাদের সুযোগসুবিধা, অধিকার বিষয়ে দাবি জানাতে পারেন৷
ধনী-গরিবের বৈষম্য নিয়ে অক্সফাম নিয়মিতই প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ এর আগেও তারা দেখিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে কীভাবে ধনবৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ তাদের রিপোর্টকে হাতিয়ার করা হয়েছিল ‘অকুপাই’ আন্দোলনেও৷ ১ শতাংশ ধনী আর ৯৯ শতাংশ সাধারণ মানুষের তত্ত্ব উঠে এসেছিল সেখান থেকেই৷
নিক মার্টিন/এসজি
২০১৬ সালের ছবিঘরটি দেখুন...
পৃথিবীর লজ্জা: শত কোটি গরিবের সমান ৬২ জন বড়লোক!
বিশ্বে ধনীর সংখ্যা কমছে, কিন্তু বাড়ছে দরিদ্র আর দারিদ্র্য৷ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা অক্সফাম-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৬২ ব্যাক্তির মোট সম্পদ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার সবচেয়ে দরিদ্র ৫০ শতাংশ মানুষের সমান!
ছবি: Colourbox/M. Shmeljov
পৃথিবীর লজ্জা
বিশ্বের মোট জনসংখ্যা এখন ৭৩০ কোটির মতো৷ এই ৭৩০ কোটির মধ্যে মাত্র ৬২ জনের টাকার জোরের কাছে বলতে গেলে সবাই-ই নত৷ সোমবার ‘এক শতাংশের অর্থনীতি’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে অক্সফাম জানিয়েছে, এ মুহূর্তে সবচেয়ে ধনী ৬২ ব্যাক্তির মোট সম্পদ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার সবচেয়ে দরিদ্র ৫০ শতাংশ মানুষের সমান!
ছবি: picture-alliance/AP Images/B. Curtis
নিরন্নের আর্তনাদ, ধনকুবেরের আস্ফালন
বিশ্বে কোটি মানুষ এখনো অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাচ্ছে৷ সিরিয়ায় তিনটি মাস প্রায় না খেয়ে থেকেছে কত নারী, শিশু! ঠিক এই সময়েই অক্সফাম প্রকাশ করেছে এই প্রতিবেদন৷
ছবি: Aktivisten aus Madaja
ধনী কমছে, ধনীর ধন বাড়ছে
পাঁচ বছর আগে বিশেষ মাপকাঠিতে বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের তালিকায় যেখানে ছিল মোট ৩৮৮জন, একই মাপকাঠিতে সেই তালিকায় এখন স্থান পাচ্ছেন মাত্র ৬২ জন৷ এই হিসেব অনুযায়ী, ধনীর সংখ্যা যদিও কমছে, কিন্তু দরিদ্র মানুষ বা তাঁদের দারিদ্র্য কমছে না৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/K. Jebreili
গরিব আরো গরিব
এ সপ্তাহেই দাভোসে বসছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ)-এর শীর্ষ সম্মেলন৷ গত বছর এই সম্মেলনের আগেই অক্সফাম জানিয়েছিল, বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে দরিদ্র ৫০ শতাংশ মানুষের মোট সম্পদের পরিমাণকে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের এক শতাংশ ধনী৷ এবার অক্সফাম বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের সঙ্গে অন্যদের ব্যবধান এক বছরে অনেক বেড়েছে৷সাড়ে তিনশ কোটি দরিদ্র মানুষের মোট সম্পদ আগে যা ছিল তার চেয়ে শতকরা ৪১ ভাগ কমেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
ধনীর ধনসম্পদ বেড়েই চলেছে
আরেকটি বিষয়ও বেরিয়ে এসেছে অক্সফাম-এর এই গবেষণায়৷ ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৬২ জন বিলিয়নিয়ারের সম্পদের পরিমাণ ৪৪ শতাংশ বেড়েছে৷