যৌনরোগ সিফিলিস কি অতীতের বিষয়? ভুল৷ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী এই রোগে সংক্রমণের হার ভয়াবহভাবে বেড়েছে৷ জার্মানিতে ১০ বছর আগে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৩০৯, এখন তা বেড়েছে হয়েছে ৭ হাজার ৪৭৬৷
বিজ্ঞাপন
যেসব মানুষ বিভিন্ন শহরে ভ্রমণ করছেন এবং প্রত্যেক শহরে ভিন্ন ভিন্ন শয্যাসঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন, তাঁদের সিফিলিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি৷ ৮০'র দশকে যখন এইডস নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল, সেসময় ‘নিরাপদ যৌনমিলন' মন্ত্রের মতো কাজ করেছিল৷ কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই মন্ত্র থেকে দূরে সরে গেছেন অনেকে৷ যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে যৌন রোগ নিয়ে বর্তমানে কোনো আতঙ্ক নেই আর সবচেয়ে বড় যে সমস্যা, তা হলো, নিরাপদ যৌন সম্পর্ক নিয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞানের অভাব৷
কীভাবে বুঝবেন সিফিলিস হয়েছে?
সিফিলিসে আক্রান্ত হলে একেক জনের একেক রকম উপসর্গ দেখা দেয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আলসারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করে৷ এরপর সারাদেহে ব্রনের মতো গুটি দেখা দেয় এবং তা বড় হতে থাকে৷ কোনো কোনোটির আকার এক সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে৷
পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণত পেনিসে আলসার ধরা পড়ে, নারীদের যোনীতে৷ এছাড়া নারী ও পুরুষের পায়ুপথ বা মলদ্বারেও আলসার হতে পারে৷ জার্মানির বোখুমের যৌন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ নোরব্যার্ট ব্রকমেয়ের জানালেন, ‘‘কারো কারো ঠোঁট এবং জিহ্বাতেও আলসার ধরা পড়ে৷ এমনকি আঙুলেও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে৷ এমনটা হলে বুঝতে হবে, সিফিলিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম পর্যায়ে রয়েছেন৷''
কয়েকটি যৌনরোগের তথ্য
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিবারণ কেন্দ্র বা সিডিসি-র মতে, যৌনরোগ এড়ানোর সবচেয়ে বিশ্বস্ত উপায় যৌনমিলন না করা৷ ছবিঘরে থাকছে কয়েকটি যৌনরোগ সম্পর্কে তথ্য৷
ছবি: Reuters/I. Alvarado
গনোরিয়া
গনোরিয়া আছে এমন কারুর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলে গনোরিয়া হতে পারে৷ এই রোগে আক্রান্ত মা থেকে নবজাতকের শরীরে এই জীবাণু প্রবেশ করতে পারে৷ পুরুষ ও নারী, বিশেষ করে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সিরা গনোরিয়ায় আক্রান্ত হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিবারণ কেন্দ্র (সিডিসি)৷ গনোরিয়া হলে মূত্রত্যাগের সময় জ্বালাপোড়া ও যৌনাঙ্গ দিয়ে সাদা, হলুদ ও সবুজ স্রাব বের হতে পারে৷ আরও তথ্য উপরের ‘+’ চিহ্নে৷
ছবি: cdc.gov
সিফিলিস
গনোরিয়ার মতো সিফিলিসের জীবাণুও মা থেকে নবজাতকের দেহে ঢুকতে পারে৷ চিকিৎসা না করলে সিফিলিস থেকে দীর্ঘমেয়াদে জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে সিডিসি৷ সিফিলিসের লক্ষণ: প্রাথমিক পর্যায়ে যন্ত্রণা ও চুলকানিবিহীন ক্ষত হতে পারে, দ্বিতীয় পর্যায়ে মুখ, যোনি কিংবা মলদ্বারে ব়্যাশ বা ক্ষত হতে পারে৷ শেষ পর্যায়ে প্যারালিসিস থেকে অন্ধত্ব, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে৷ আরও তথ্য উপরের ‘+’ চিহ্নে৷
ছবি: cdc.gov
জেনিটাল হার্পিস
যৌনকাজে সক্রিয় যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে৷ আক্রান্তদের অনেকের শরীরে এই রোগের লক্ষণ দেখা যায় না৷ অর্থাৎ কারও শরীরে এই রোগের লক্ষণ না থাকলেও তিনি সঙ্গীর দেহে এটি ছড়িয়ে দিতে পারেন৷ লক্ষণগুলো হলো – যৌনাঙ্গ, মলদ্বার ও মুখে একটি বা দু’টি ফোস্কা পড়তে পারে৷ সেগুলো ভেঙে গিয়ে ব্যথা হতে পারে৷ সেই ব্যথা সারতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে৷ আরও তথ্য জানতে উপরের ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Imago/Science Photo Library
এইচআইভি/এইডস
যাদের সিফিলিস, গনোরিয়া ও হার্পিস আছে তাদের ভবিষ্যতে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে৷ কারণ রোগগুলো একইরকম যৌন আচরণের জন্য হয়ে থাকে৷ এইচআইভি-তে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম দু’টি কারণ: কনডম ছাড়া যৌনমিলন এবং একাধিক ও অপরিচিত কারও সঙ্গে মিলন৷ তবে এইচআইভি-তে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি বা কোনো এইডস রোগীর রক্ত আপনার শরীরে ঢুকলেও এই রোগ হয়৷
ছবি: Farjana K. Godhuly/AFP/GettyImages
ক্লেমিডিয়া
পুরুষ ও নারীর উভয়েরই এটি হতে পারে৷ নারীর গর্ভধারণ ক্ষমতায় স্থায়ী সমস্যা তৈরি করতে পারে ক্লেমিডিয়া৷ এই রোগের একবার চিকিৎসা হলেও পরবর্তীতে আবারও এটি হতে পারে৷ এমনটি হলো নারীদের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক অথবা অনিয়মিত ঋতুস্রাব, মূত্র ত্যাগের সময় জ্বলাপোড়া হতে পারে৷ পুরুষের বেলাতেও প্রায় একই ধরণের লক্ষণ দেখা দেয়৷
ছবি: Imago/Science Photo Library
শ্যানক্রয়েড
এর ফলে যৌনাঙ্গে যন্ত্রণাদায়ক ঘা দেখা দেয়৷ যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়৷ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এটি বেশি দেখা যায়৷ এর সঙ্গে যৌনকর্মীদের একটি সম্পর্ক রয়েছে, কারণ দেখা গেছে যাদের শ্যানক্রয়েড হয়েছে তারা কোকেন ব্যবহার করেছেন কিংবা পতিতালয়ে গেছেন৷ উপযুক্ত চিকিৎসা না হলে রোগাক্রান্তদের পুরুষাঙ্গের ছিদ্র সরু হয়ে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ আরও তথ্য জানতে উপরের ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Caballero-Reynolds
জিকা ভাইরাস
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত এই রোগের জন্য সাধারণত মশাই দায়ী৷ তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সিডিসি বলছে, যৌন মিলনের মাধ্যমেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে৷
ছবি: Reuters/I. Alvarado
7 ছবি1 | 7
অনেক মানুষই এই উপসর্গগুলো বুঝতে না পেরে এগুলো এড়িয়ে চলেন৷ তাঁরা ভাবেন, চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়াই এগুলো সারিয়ে ফেলতে সক্ষম হবেন৷ তবে তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে কোনোরকম ওষুধ গ্রহণ ছাড়াই আলসার সেরে যায়৷ কিন্তু তখন সারা শরীরে ফোসকা বা গুটি দেখা দেয়৷ কোনোটি লাল, কোনোটি গোলাপি আর কোনোটা পোড়া ফোস্কার মতো৷ হাতের তালুতেও দেখা দেয় এই ফোস্কা৷ তবে এগুলোতে কোনো চুলকানি হয় না, অ্যালার্জিতে সাধারণত যেটা হয়ে থাকে৷ এটা রোগের দ্বিতীয় পর্যায়৷
তৃতীয় পর্যায়ে এসে অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হয়, যেমন শ্বাসতন্ত্র, পাকস্থলী, যকৃত, মাংসপেশী এবং হাড়৷ সবচেয়ে ভয়াবহ হলো যখন সিফিলিস প্রধান আর্টারিকে আক্রান্ত করে৷ এসময় প্রাণ-সংশয় দেখা দিতে পারে৷
সিফিলিস শরীরে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে৷ চতুর্থ পর্যায়ে হৃদপিণ্ডে জ্বালাপোড়া শুরু হয়, যকৃত বা লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়, শরীরের কিছু অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতে পারে এবং মস্তিষ্কে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়৷ এছাড়া এই রোগে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়, স্নায়ুকোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ চিন্তাধারায় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, যেটি দেখা গেছে বিখ্যাত সুরস্রষ্টা বেটোফেনের ক্ষেত্রে৷
সিফিলিস থেকে মুক্তির উপায়
বেশিরভাগ প্রাণঘাতী রোগ নিয়ে আমাদের সমাজে ট্যাবু রয়েছে৷ যখনই মানুষ জানতে পারে রোগটি যৌন মিলনের ফলে এক দেহ থেকে অন্যের দেহে ছড়িয়ে পড়ে, ঐ ব্যক্তির প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায়৷ এ কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি এ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে রাজি হয় না৷ বরং এটাকে গোপন রাখতে চায়৷ একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এই চিন্তাধারায় পরিবর্তন আসেনি৷ বর্তমান সমাজে এইচআইভি সিফিলিসের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে৷ ব্রকমেয়ের জানালেন, তিনি যখন ১০০ মানুষকে এইচআইভি সম্পর্কে একটি টেলিভিশন আলোচনায় অংশ নেয়ার ব্যাপারে মতামত জানাতে বলেছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগই আগ্রহ দেখিয়েছিলেন৷ অন্যদিকে সিফিলিসের ব্যাপারে আলোচনায় অংশ নিতে একজনও রাজি হননি৷ সিফিলিস রোগ থেকে পরিত্রাণের প্রধান উপায় হলো সচেতনতা৷ এছাড়া বিকল্প অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের কথাও ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা৷
বাংলাদেশের এইডস পরিস্থিতি
একটা সময় ছিল যখন এইডস রোগের নাম শুনলেই মানুষ ভয় পেত৷ এখন সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে৷ বাংলাদেশে এইডস প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলো কাজ করছে৷
ছবি: AP
প্রথম রোগী
১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়৷ এইচআইভি-র কারণে সৃষ্ট এই রোগটি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়৷ ফলে একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যে-কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন – যা শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু ঘটাতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হাজার পেরিয়ে গেছে
বর্তমানে বাংলাদেশে এইডস রোগীর সংখ্যা ১,২৯৯৷ পরিসংখ্যানটা অবশ্য ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সংগৃহীত৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম নিজেই চলতি বছরের জুনে সংসদকে এই তথ্য জানিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা
এইডস রোগীর সংখ্যা ১,২৯৯৷ কিন্তু এইচআইভি বা ‘হিউম্যান ইমিউনোডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস’-এ আক্রান্তের সংখ্যা ৩,২৪১৷ ২০১৩ সালের ১লা ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবসের এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নিহতের সংখ্যা
ঐ একই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসচিব জানান এইডসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ৪৭২ জন মারা গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চিকিৎসা সেবা
আশার আলো সোসাইটি, মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ কনফিডেনশিয়াল অ্যাপ্রোচ টু এইডস প্রিভেনশন (ক্যাপ) নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান এইডস আক্রান্তদের ‘অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল’ বা এআরভি ওষুধ সহ অন্যান্য সেবা দিচ্ছে৷ সরকার ও ‘দ্য গ্লোবাল ফান্ড’-এর কাছ থেকে ওষুধ কেনার অর্থ পায় এই তিন সংস্থা৷
ছবি: AP
সরকারি সেবা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জুন মাসে জানান আটটি সরকারি হাসপাতালে ‘সিডি-৪’ সেন্টারের মাধ্যমে এইডস রোগীদের শারীরিক অবস্থা নির্ণয় করাসহ এ সব প্রতিষ্ঠানসমূহে রোগীদের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও ‘কাউন্সেলিং’ সেবা দেয়া হচ্ছে৷ অবশ্য সেটা ঠিক নয় বলে ডয়চে ভেলের কাছে দাবি করেন ‘মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ’-এর নির্বাহী পরিচালক এম এস মুক্তি৷
ছবি: AP
6 ছবি1 | 6
ইউরোপে কীভাবে সিফিলিস এলো
ইউরোপে সিফিলিস কীভাবে এসেছে, এ নিয়ে বিভিন্ন তত্ত্ব রয়েছে৷ একটি হলো: কলম্বাস এবং তাঁর সঙ্গীরা অ্যামেরিকা আবিষ্কারের পর ১৯৪২ সালে স্পেনে ফেরার পথে এ রোগ নিয়ে আসেন৷ সেখান থেকে ইটালি, ফ্রান্স হয়ে পুরো ইউরোপে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল এটি৷ ইউরোপে রোগটি ‘ফরাসি রোগ' হিসেবে পরিচিত৷ এরপর রোগটি এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে৷ এমনকি যুদ্ধের সময় যেসব যৌনকর্মী সিফিলিসে আক্রান্ত, শত্রুপক্ষের কাছে তাঁদের গোপনে চালান করতো অন্য পক্ষ৷ এটকে তারা বলতো ‘লাভ ম্যাসেজ' বা প্রেমের বার্তা৷ এর ফলে সেই যুদ্ধ জয়ের ঘটনার উল্লেখ আছে অনেক বইতে৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকেই আজ সিফিলিসের কথা ভুলে গেছেন, কিন্তু সিফিলিস হারিয়ে যায়নি, বরং তা ভয়ঙ্কর রূপে হাজির হয়েছে৷ এই রোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে শিক্ষা, কাউন্সেলিং, নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা এবং থেরাপি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তাঁরা৷ সবচেয়ে জরুরি হলো যৌনমিলনের সময় কনডমের ব্যবহার৷ এটি এইচআইভিসহ বিভিন্ন যৌন রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে৷ কিন্তু এই রোগকে চিরতরে দূর করতে আরো গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্রকমেয়ের এবং সেজন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন৷ তাঁরা একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে চান৷ কিন্তু এরজন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন, সেটা নেই৷