ছাত্রনেতা আনিস হত্যার ছয় দিন পূর্ণ হলো৷ বৃহস্পতিবার আমতা থানা ঘেরাও করে আনিসের পরিবার ও তার প্রতিবেশীরা৷ আনিসের বাবা সালেম খান বলেন, দাবি আদায়ে প্রয়োজনে নবান্ন অভিযান করবেন৷
বিজ্ঞাপন
চলছে প্রতিবাদ
আনিসের বাবা সালেম খান, বড় ভাই সাবির খান এবং আনিসের প্রতিবেশীদের মিছিল বৃহস্পতিবার দুপুরে আমতা থানায় পৌঁছায়৷ আমতা থানা থেকে আনিসের বাড়ি প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটারের পথ৷ অসুস্থ শরীরে আনিসের বাবা গিয়েছিলেন সেই রাস্তা ধরেই৷ সন্তানহারা বাবার একটাই দাবি, হত্যাকারীর শাস্তি, সুবিচার চান তিনি৷ এরপর তারা থানা ঘেরাও করেন৷ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ৷ গ্রামবাসীদের মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে৷ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার অভিযোগও করেছে পুলিশ৷
থানা চত্বরে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়৷ ২০২১ সালের মে মাস থেকে বারবার নিরাপত্তা চেয়েও এই থানার পুলিশের কোনো সাড়া পায়নি বলে মৃত্যুর কয়েকদিন আগেও বলেছেন আনিস৷
আনিসের বাবা, তার দাদা-সহ ছয় জন আমতা থানায় প্রবেশ করে অতিরিক্ত পুলিস সুপারের সঙ্গে কথা বলেন৷ আনিসের পরিবার এবং প্রতিবেশীরা মিছিল নিয়ে থানায় এলেও পরবর্তীতে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা তাতে যোগ দেন৷ যোগ দেন বিরোধী দলের স্থানীয় নেতারাও৷ মিছিল থেকে ওসি এবং এসপি. অতিরিক্ত সুপার, এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধানকে গ্রেপ্তারের দাবিও ওঠে৷ আনিস হত্যার বিষয়ে এসডিও-কে চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানান আনিসের প্রতিবেশীরা৷ সেখানে রবিবারের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে ওইদিন এসপি অফিস ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আনিসের পরিবার৷
আনিস হত্যা: পোস্টারে, প্রতিবাদে মুখর কলকাতা
প্রতিবাদের আগুন নিভছে না৷ প্রতিবাদী তরুণ আনিস খান হত্যার প্রতিবাদে কলকাতা এখনো মুখর৷ আনিসের বাড়ি হাওড়ার আমতায় ঘেরা করা হলো থানা৷ পথে পথে পোস্টার, প্রতিবাদ...
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বিচার দাবি
হাওড়ার আমতায় আনিস খানের বাড়ির পাশে একটি পোস্টারে শুধু লেখা ‘বিচার চাই’৷
ছবি: Subrata Goswami/DW
‘পুলিশ তুমি জবাব দাও’
সরাসরি পুলিশের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে আরেক পোস্টারে৷ পোস্টারে এও স্পষ্ট যে এখনো সিবিআই তদন্তেই আস্থা আনিসের পরিবার ও অধিকাংশ সমব্যথীর৷
ছবি: Subrata Goswami/DW
মিছিলের প্রস্তুতি
আমতা থানা ঘেরাওয়ের আগে প্রতিবাদী পোস্টার হাতে আনিস খানের প্রতিবেশীরা৷ পাড়ার প্রতিবাদী ছেলেটির এইভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না তারা৷
ছবি: Subrata Goswami/DW
থানা ঘেরাও
থানা ঘেরাও করে সন্তান হত্যার প্রতিবাদ জানান আনিসের বাবা সালেম খানম ও তার স্বজন এবং প্রতিবেশীরা৷ ফুরফুরা শরিফের কাশেম সিদ্দিকীও ছিলেন তাদের সঙ্গে৷
ছবি: Subrata Goswami/DW
প্রতিবাদী পোস্টার
পোস্টারেও আনিস হত্যার জন্য আঙুল তোলা হয়েছে পুলিশের দিকে৷ কলাকাতার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চোখে পড়েছে এই ধরনের পোস্টার৷
ছবি: Satyajit Shaw/DW
এসএফআইয়ের প্রতিবাদ
সরাসরি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলেছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই৷ তাদের পোস্টারে লেখা, আনিস খানকে হত্যা করেছে তৃণমূল৷
ছবি: Satyajit Shaw/DW
থানা ঘেরাও
কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানায় একাধিক সংগঠন৷
ছবি: Satyajit Shaw/DW
প্রেসিডেন্সিতে প্রতিবাদ
‘‘ইনসাফ চাই, ছাত্র খুনের বিচার চাই’’, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে চোখে পড়েছে এমন পোস্টার৷
ছবি: Satyajit Shaw/DW
আলিয়ায় সরব পড়ুয়ারা
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, এমনই একটি ব্যানার হাতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা৷ তারাও সিবিআই তদন্তের কথাই বলেছেন বারবার৷ আনিস খান এই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তেন৷
ছবি: Satyajit Shaw/DW
আদর্শের মৃত্যু নেই
প্রতিবাদে উত্তাল তিলোত্তমা কলকাতা থেকে বাঁকুড়ার বরজোড়া৷ প্রতিবাদে সরব রাজ্যের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া, সমাজকর্মীরাও৷ আনিস খানের হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তি চান প্রত্যেকে৷
ছবি: Satyajit Shaw/DW
10 ছবি1 | 10
সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় তিনি, মিছিল থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন আনিসের বাবা সালেম খান৷ প্রয়োজনে নবান্ন অভিযানের কথাও জানান তিনি৷ তবে জনতাকে শান্ত থাকতে বলেছেন বারবার৷
গভীর রাতে উর্দি পরা চারজন আমতার সারদা দক্ষিণ খান পাড়ায় ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে গিয়ে তিনতলা থেকে ফেলে তাকে হত্যা করে৷ অভিযোগটা পুলিশের বিরুদ্ধেই৷ আনিসের পরিবারের দাবি-নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার৷
ছবি: Satyajit Shaw/DW
নিহত আনিসের শোকাচ্ছন্ন বাড়ি
খাঁ খাঁ করছে বাড়ি৷ সব থেকেও যেন কিছু নেই৷ ২৮ বছর বয়সি প্রতিবাদী তরুণ আনিস খানের হত্যার বিচারের দাবিতে সরব তার পরিবার৷ হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি ৷ তবে দোষীরা এখনও অধরা৷
ছবি: Subrata Goswami/DW
আনিসকে হারানো পরিবার
আনিসকে হারিয়ে দিশেহারা তার পরিবার৷ অনেকদিন ধরে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছিল৷ বিষয়টি ২৩ মে চিঠি লিখে জানানো হয়েছিল পুলিশকে৷ তারপর বারবার নিরাপত্তা চেয়েছেন, কিন্তু পুলিশের কোনো সাড়া পাননি আনিস৷ তাকে হারানোর ব্যথা অপরাধীদের বিচার হলে কিছুটা লাঘব হবে বলে মনে করে তার পরিবার৷
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বিচারের দাবিতে সোচ্চার, অনড় সালেম খান
আমতার সারদা দক্ষিণ খান পাড়ায় আনিসের বাড়ি৷ আনিসের বাবা সালেম খানের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে উর্দি পরা এক পুলিশ অফিসার তার বুকে বন্দুকের নল ধরেন এবং অন্য তিনজন সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে যান৷ তারপরই তিনতলা থেকে হত্যা করা হয় আনিসকে৷ ঘটনার পর অনেকবার ফোন করেছেন পুলিশকে৷ পুলিশ এসেছে ছয় ঘণ্টা পরে৷ সন্তানহারা সালেম খান এখন চান শুধু সিবিআই তদন্ত এবং হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তি৷
ছবি: Satyajit Shaw/DW
এই সেই ঘটনাস্থল
তিনতলার এই ঘর থেকে আনিসকে নীচে ফেলে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের৷ এখনও কেউ বিশ্বাস করতে পারছেন না পরোপকারী, প্রতিবাদী ছেলেটি আর নেই৷
ছবি: Satyajit Shaw/DW
সুবিচারের দাবিতে লড়াই
‘সিট’ সদস্যরা মঙ্গলবার দু’বার আনিসের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন৷ তবে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুলিশের তদন্ত নয়, তারা চান সিবিআই তদন্ত৷ কারণ, পুলিশের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই৷ তদন্তকারী দলের সদস্যরা আনিসের মোবাইল ফোনটি চাইলে সালেম খান জানান, তিনি শুধু আদালত বা সিবিআই-এর মোবাইলটা দিতে চান, অন্য কারো কাছে নয়৷
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বাড়ির সামনে পুলিশি নিরাপত্তা
২০২১ সালের মে মাস থেকে নিরাপত্তা চেয়ে অনেকবার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন আনিস৷ জানিয়েছিলেন, তার বাড়িতে হামলা হয়েছে, হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে৷ আনিসের মৃত্যুর পর বাড়িতে অবশেষে পুলিশ এসেছে৷
ছবি: Satyajit Shaw/DW
সাসপেন্ড তিন পুলিশ
সেই রাতে এলাকায় টহলের দায়িত্বে থাকা তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ তবে আমতা থানার কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷ অথচ আনিস থানার কাছেই নিরাপত্তা চেয়েছিলেন, হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা সালেম খানও আমতা থানার কর্মকর্তাদের সহায়তাই চেয়েছিলেন বারবার৷
ছবি: Subrata Goswami/DW
প্রতিবাদ দফায় দফায়
ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যআকারীদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা৷ রাস্তায় নেমেছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা৷
ছবি: Subrata Goswami/DW
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’
সোমবার ভাষা দিবসের দিনও হত্যার বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর-সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা৷ তাদের অনেকের প্রশ্ন- ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হলে, বিরোধী রাজনীতি করলে কি বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও থাকবে না?
ছবি: Satyajit Shaw/DW
‘আমার নাম আনিস খান’
১৫ বছর আগের রিজওয়ানুর রহমানের স্মৃতি যেন ফিরে এলো৷ কোনো রাজনৈতিক দলের পতাকা ছাড়াও দেখা গেল ‘নাগরিক মিছিল’৷ তাদের হাতের পোস্টারে লেখা, ‘আমার নাম আনিস খান৷’
ছবি: Satyajit Shaw/DW
পুলিশের বাধা
কলকাতার রাজপথে দফায় দফায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে আনিস হত্যার বিচার চেয়ে৷ ছাত্র সংগঠনগুলোর বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আন্দোলনকারীদের৷
ছবি: Satyajit Shaw/DW
প্রতিবাদ তীব্রতর
বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ৷ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু তার পরেও প্রতিবাদের ঝড় অব্যাহত৷ কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে৷
ছবি: Subrata Goswami/DW
12 ছবি1 | 12
ফুরফুরা শরিফের কাশেম সিদ্দিকিও ছিলেন এই মিছিলে৷ তিনি বলেন, ‘‘যারা ইট ছুঁড়ছে তারা সব দালাল৷ এটা এখানকার পঞ্চায়েত প্রধান করছে৷ সিবিআই তদন্তের দাবি করলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হচ্ছে৷''
পরিবার ও প্রতিবেশীর বর্ণনায় আনিস হত্যাকাণ্ড
04:35
হাইকোর্টে শুনানি
বৃহস্পতিবার আদালতে উঠেছিল আনিস হত্যা মামলা৷ সেখানে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, ধৃতরা বলেছেন, ওসির নির্দেশে কাজ হয়েছে৷ ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক' বলেও উল্লেখ করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল৷ অন্যদিকে, সিটে বিন্দুমাত্র ভরসা নেই আনিসের পরিবারের, আদালতের সওয়ালে স্পষ্ট জানান আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য৷ যদিও দিনশেষে আপাতত রাজ্য সরকারের গঠন করা সিটের উপরেই আস্থা রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷
হাইকোর্টের বিচারপতি দুই সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন৷ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট৷ আনিসের ফোন হাতে পেলে তথ্যপ্রমাণ নষ্টের আশঙ্কার কথাও আদালতকে জানান বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য৷ হাইকোর্ট স্পষ্ট জানায়, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হলে জেলা বিচারক নিজে বা তার প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত থাকবেন৷ মোবাইল ফোন জেলা বিচারকের উপস্থিতিতে জব্দ করা হবে৷ এরপর হায়দরাবাদে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবকে দিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত৷ সেখানকার অধিকর্তাকেও এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
বিকাশরঞ্জন বাবু বলেন, সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির রিপোর্ট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট রাজ্য সরকার-সহ সব পক্ষকে দিতে হবে৷
১৫ দিন পর সিট রিপোর্ট দেবে৷ এরপর আদালত খতিয়ে দেখবে আদৌ ঠিকভাবে তদন্ত হচ্ছে, নাকি কারচুপি হচ্ছে৷
হাইকোর্টের নির্দেশের পর আনিসের বাবা সালেম খান স্পষ্ট জানিয়ে দেন,‘‘প্রয়োজনে আবার আদালতে যাবো৷ সিবিআই তদন্তের আবেদন জানাবো৷''
এদিকে দুই পুলিশ কর্মীর গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আনিসের পরিবারের বক্তব্য, থানার ওসি কিছু জানতেন না- এ কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়৷ ক্ষমতাশালী কাউকে আড়াল করতেই কি দুই পুলিশ কর্মীকে গ্রেপ্তার- এমন প্রশ্নও তুলেছে আনিসের পরিবার এবং প্রতিবেশীরা৷
প্রশাসনিক তৎপরতা
একাধিক জনকল্যাণমূলক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আনিস আন্দোলনে সরব ছিলেন বরাবর৷ তাকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, এমনটাও অভিযোগ ছিল তার৷ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে আনিস হত্যার তদন্ত নিয়ে পরপর টুইট করা হয়৷
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে সেই টুইটে স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে আনিসের পরিবার যেন রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দল এসআইটি-র তদন্তের উপরেই ভরসা রাখেন৷ অর্থাৎ আবারও পরোক্ষভাবে সিবিআই তদন্ত থেকে আনিসের পরিবারকে সরে আসতেই বলা হয়েছে পুলিশের তরফে৷
রাজপথে বিক্ষোভঅব্যাহত
বৃহস্পতিবার পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাস থেকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মিছিলের ডাক দেন কলকাতায়৷ সেখানে যোগ দেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও৷ আনিস খানের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা৷
আরকেসি/এসিবি (আনন্দবাজার, এবিপি আনন্দ, নিউজ ১৮ বাংলা)