সাহিত্যে নোবেলজয়ীরা যেখানে অনন্য
১৩ অক্টোবর ২০১৯আর সীমানা অতিক্রমকে জীবনের রূপে তুলে ধরার মতো কাল্পনিক বর্ণনা'র জন্য পোল্যান্ডের অলগা তকারচোকের হাতে উঠেছে ২০১৮ সালের নোবেল৷
যৌন কেলেঙ্কারি বিতর্কে গতবছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার স্থগিত রেখে এবার একসঙ্গে দুই বছরের পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়৷
নব্বইয়ের দশকে যুগোস্লাভ যুদ্ধের সময় সার্বদের সমর্থন জুগিয়ে বিতর্কিত হন হান্ডকে৷ ২০০৬ সালে ‘বলকানের কসাই' নামে কুখ্যাত সার্ব নেতা স্লোবোদান মিলোসেভিচের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েও বিতর্কের জন্ম দেন তিনি৷
সুইডিশ অ্যাকাডেমি বলছে, ৭৬ বছর বয়সি হান্ডকেকে নোবেল দেয়া হয়েছে তার শক্তিশালী লেখার জন্য, যার ভাষা একেবারেই তার নিজস্ব; যা মানবীয় অভিজ্ঞতার সমস্ত খুঁটিনাটি আর বিস্তারকে ধারণ করতে চায়৷
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী লেখক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন হান্ডকে৷ ১৯৮৭ সালে মুক্তি পাওয়া আলোচিত ‘উইংস অফ ডিজায়ার' মুভির একজন লেখক ছিলেন তিনি৷
অন্যদিকে পোল্যান্ডের ইতিহাসের অন্ধকার অতীত নিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি করে বিতর্কে জড়ান তকারচোক, যে ইতিহাস দেশটির ক্ষমতাসীন জাতীয়তাবাদী সরকারের প্রচারিত ভাষ্য থেকে আলাদা৷
সীমানা অতিক্রমকে জীবনের রূপে তুলে ধরার মতো কাল্পনিক বর্ণনা'র জন্য খ্যাতি রয়েছে তকারচোকের৷ তিনি তাঁর লেখনিতে অতীতে পোল্যান্ডে যেসব গোত্রের মানুষ একসঙ্গে বাস করতো, তাদের গল্প তুলে ধরেছেন৷ সে কারণে দেশটিতে এখন ক্ষমতায় থাকা জাতীয়তাবাদীদের কাছে তিনি প্রিয় নন৷
৫৭ বছর বয়সি তকারচোক মনোবিজ্ঞানে পড়ালেখা করেছেন৷ ১৯৯৩ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়৷ ‘ফ্লাইট' নামে একটি উপন্যাসের জন্য গতবছর প্রথম পোলিশ হিসেবে ‘ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ' জিতেন তিনি৷
সুইডিশ অ্যাকাডেমি বলছে, পোলিশ সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত বামপন্থি অধিকারকর্মী তকারচোককে নোবেল পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে তাঁর অসামান্য ‘বর্ণনাত্মক কল্পভাষ্যের' জন্য, যা কিনা সবিস্তারে বিবৃত করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এগিয়ে চলে, আর মানবজীবনের সীমানা ভাঙার গল্পগুলোকে মূর্ত করে তোলে৷
এসআই/এসিবি