1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিআইএ-র সব ভুলভ্রান্তি জানাতে হবে

মিশায়েল ক্নিগে/এসি১০ ডিসেম্বর ২০১৪

মার্কিন সেনেট সিআইএ-র বন্দি নিপীড়ন সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে একটি সঠিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে৷ সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় রিপোর্ট গোপন রাখাটা ভুল কাজ হতো, বলে মিশায়েল ক্নিগে মনে করেন৷

CIA Folter Report Senatorin Dianne Feinstein
ছবি: picture-alliance/dpa/Jim Lo Scalzo

ব্যাপারটা শুরু হয়েছিল কয়েক বছর আগে, একটি সর্বর্দলীয় উদ্যোগ হিসেবে৷ কিন্তু জর্জ ডাব্লিউ বুশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সিআইএ-র নিপীড়ন পদ্ধতি সেনেট পর্যায়ে অনুসন্ধান করার প্রচেষ্টাকালে একটি তিক্ত, দলগত বিরোধে পর্যবসিত হয়েছে – যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত যেমন হয়ে থাকে৷ তার ফল হয়েছে এই যে, সেই অনুসন্ধানের রিপোর্ট প্রকাশিত হবার পর দু'পক্ষকেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে৷

মার্কিন প্রশাসন যদি দেশের নাগরিক তথা বিশ্ববাসীকে একটি যৌথ লক্ষ্য পরিবেশন করতে পারতো, তাহলে তো কথা ছিল না৷ সেই লক্ষ্য হতে পারতো: সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নাইন-ইলেভেন যাবৎ যে সব ভুলভ্রান্তি করেছে, তার বিশ্লেষণ করে সেই সব ভুলভ্রান্তির পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়া৷ তার পরিবর্তে ওয়াশিংটন থেকে শোনা যাচ্ছে শুধু দলীয় রাজনীতির কচকচি ও মারপ্যাঁচ৷ যার ফলস্বরূপ রিপাবলিকানরা এই রিপোর্ট প্রকাশের তীব্র বিরোধিতা করেছে এবং আগামীতে মিডিয়ায় আন্দোলন করার অভিপ্রায় রাখে৷ ওদিকে সিআইএ নিজেও তার নিজস্ব ব্যাখ্যা দেবে, বলে ধরে নেওয়া যায়৷ এ সবের ফলে সেনেটের গুপ্তচর বিভাগীয় তদন্ত পরিষদের সভাপতি ডায়ানে ফাইনস্টাইন – এবং সেই সঙ্গে হোয়াইট হাউস সব সমালোচনা সত্ত্বেও রিপোর্টের প্রকাশনা সমর্থন করতে বাধ্য হবেন৷

বিতর্ক হওয়া উচিত ছিল রিপোর্টের বিষয়বস্তু নিয়ে

প্রকাশনা নিয়ে বিতর্কটা দুঃখজনক, কেননা তার ফলে আসল বিষয়টি উপেক্ষিত হচ্ছে৷ প্রকাশ করা উচিত হবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা না করে, রিপোর্টের ফলাফল নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত ছিল৷ সিআইএ-র বন্দি নিপীড়ন পদ্ধতি থেকে আমরা সে আমলের কার্যকলাপ, রীতিনীতি সম্পর্কে কি জানতে পারি – এবং আজ কি বদলাতে পারি – সেটাই হলো আসল কথা৷

মিশায়েল ক্নিগেছবি: DW/P. Henriksen

প্রকাশনার বহু সমালোচকের মূল যুক্তি হলো: বিদেশে মার্কিন নাগরিকদের উপর – এবং মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির উপর এই প্রকাশনার সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া৷ কিন্তু এ যুক্তি খাটে না৷ রিপোর্টের প্রকাশনা নয়, বরং রিপোর্টে যে ধরনের আচরণ, জেরার প্রক্রিয়া ইত্যাদি বর্ণনা করা হয়েছে, তা থেকেই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে৷ আরো গুরুত্বপূর্ণ সম্ভবত এই যে, প্রকাশনার ফলে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ক্ষতিসাধন তো দূরের কথা, বরং এই প্রকাশনাই সম্ভবত সে নীতির বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি গ্লোবাল সুপারপাওয়ার, এমন একটি দেশ, যা নিজেকে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, স্বাধীনতার আলোকবর্তিকা বলে মনে করে থাকে৷ সেই ইউএসএ কিভাবে অপরাপর দেশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনবে, যদি ওয়াশিংটন নিজে তার ভুলভ্রান্তি স্বীকার না করে? এক কথায়: অসম্ভব৷

আইনের শাসনে নিপীড়নের কোনো স্থান নেই

বুশ প্রশাসনের আমলে সিআইএ এবং অপরাপর সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষতি হয়েছে: তা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি যে, ওয়াশিংটন তার নিজের ভুলভ্রান্তি স্বীকার করবে৷ তবে এই রিপোর্ট প্রকাশের একমাত্র কারণ হিসেবে শুধু পররাষ্ট্রনীতির কথা ভাবলে অন্যায় হবে, কেননা বিষয়টি তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ একটি গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে আইনের শাসন বিরাজ করছে, সেখানে শারীরিক অত্যাচার কিংবা নিপীড়নের কোনো স্থান নেই৷ কাজেই সেনেট যে এই নিপীড়ন সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেটা একটা লক্ষণীয় পদক্ষেপ – আদতে যার প্রয়োজন পড়ারই কোনো প্রয়োজন ছিল না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ