সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর তিস্তা, ২৩ সেনা নিখোঁজ
৪ অক্টোবর ২০২৩সিকিম এখন সড়কপথে ভারতের অন্য রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন। কারণ, উত্তর সিকিমের লোনক হ্রদে ক্লাউড বার্স্ট বা মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। তারপর লোনকের জল গিয়ে পড়েছে তিস্তায়। তিস্তায় জল ভয়ংকরভাবে বেড়ে গেছে।
তিস্তা তারপর অনেকগুলি সেতু ভেঙেছে। জলে ভেসে গেছে বাড়ি, গাড়ি। অন্তত ২৩ জন সেনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিস্তার জলের তোড়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ ভেসে গেছে। তারপরই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিকিম।
সিকিম এবং উত্তরবঙ্গে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে। জলপাইগুড়িতে তিস্তার পাশ থেকে মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সেনা জওয়ান নিখোঁজ
সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ''লাচেন উপত্যকায় সেনা ছাউনি বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চুংথাম জলাধার থেকে হঠাৎ বিপুল পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে। ফলে জলস্তর ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচু হয়ে গেছে।''
আরো বলা হয়েছে, ''সিংথামের কাছে পার্ক করা সেনার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৩ জন জওয়ান নিখোঁজ। তাদের খোঁজ চলছে। সেনার কিছু গাড়িও ভেসে গেছে।''
মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং ঘটনাস্থলে গেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ''সিংথামে কিছু মানুষ নিখোঁজ। বাড়ি, রাস্তা, সেতুর বিপুল ক্ষতি হয়েছে।''
কী হয়েছিল?
সিকিমে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। এরমধ্যেই সিংথামে লোনক হ্রদে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। সেই জল চলে আসে তিস্তায়। এমনিতেই তিস্তায় বেশি জল ছিল। তার সঙ্গে ওই বিপুল জলরাশি মিলে তিস্তা ভয়ংকর হয়ে ওঠে।
সিকিমের বহু এলাকায় তিস্তা তার ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। প্রচুর সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিস্তার জলে দুইপাশের বাড়ি ভেসে গেছে। অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। রাস্তা ভেসে গেছে।
বৃষ্টির ফলে অনেক জায়গায় ধস নেমেছে।
প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশও
তিস্তার জল বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাব প্রথমে জলপাইগুড়ি ও তারপর বাংলাদেশের উপর পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের অনেক এলাকা ভেসে যেতে পারে।
তিস্তা ভারতের পর বাংলাদেশে ঢুকেছে। জল বেড়ে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশের এলাকাও ভাসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জিএইচ/এসিবি(পিটিআই, এএনআই, আনন্দবাজার)