শুধু বর্তমানে নয়, জার্মানির ইতিহাসেরই সবচেয়ে বেশি ধনী হিসেবে তালিকায় আছেন লিডল সুপারমার্কেট চেইনের প্রতিষ্ঠাতা৷ বয়স ৭৭ বছর, তো কী হয়েছে! এই বয়সেও ঠিকই সম্প্রসারণ করছেন ব্যবসা৷ বিলানৎস ম্যাগাজিন বলছে, ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত লিডলের মূল্য এখন ৩৭ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩৬ লক্ষ কোটি টাকা)৷

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রেকিট বেনকিজার এবং চুলের প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রেতা ভেলার স্বত্বাধিকারী রাইমান পরিবারকে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রেখেছে বিলানৎস৷ তাদের সম্পত্তির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৩০ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩৯ লক্ষ কোটি টাকা)৷ বিশ শতকে রাসায়নিক সামগ্রী বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ শুরু করলেও এখন ক্লিয়ারাসিল, কোটি, জিমি চো, ক্রিসপি ক্রিম ডোনাটের মতো নানা ধরনের ব্র্যান্ডের মালিক এই পরিবার৷

শেফলার গ্লোবাল অটোমোটিভ এবং টায়ার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কন্টিনেন্টালের অন্যতম স্বত্বাধিকারী এলিজাবেথ শেফলার-ঠুমান এবং তাঁর ছেলে গিওর্গ আছেন তৃতীয় স্থানে৷ তাঁদের সম্পদের পরিমাণ ২৫.৫ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ২৫ লক্ষ কোটি টাকা) বলে জানিয়েছে বিলানৎস৷

জার্মানিতে ‘আলডি’ একটি সুপরিচিত নাম৷ আলডি জুড (আলডি দক্ষিণ)-এর প্রধান এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কার্ল আলব্রেশট ও তাঁর পরিবারের নাম আছে তালিকার চতুর্থ স্থানে৷ কার্ল ২০১৪ সালে মারা গেলেও ছেলে কার্ল জুনিয়রের পরিচালনায় তাঁর সাম্রাজ্য বিস্তৃত হচ্ছে জার্মানি ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে৷ এই পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৩ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ২২ লক্ষ কোটি টাকা)৷

কার্লের ভাই থিও আলব্রেশট আলডির আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা৷ উত্তর জার্মানি জুড়ে এখন আলডি পরিচিত আলডি নর্ড (আলডি উত্তর) নামে৷ ১৮.৫ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৮ লক্ষ কোটি টাকা) নিয়ে থিও আলব্রেশট জুনিয়রের পরিবার আছে তালিকার পঞ্চম স্থানে৷

বিলাসবহুল গাড়ি বিএমডব্লিউ এবং ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আলটানার উত্তরাধিকারী সুসানে ক্লাটেন আছেন তালিকার ষষ্ঠ স্থানে৷ বিশ্বের ধনীদের তালিকায় ৩৮ তম স্থানে আছেন সুসানে৷ জার্মানির সবচেয়ে ধনী নারীর মোট সম্পদের পরিমাণ ১৮.৫ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৮ লক্ষ কোটি টাকা)৷

ইংল্যান্ডের প্রোগ্রামার৷ লন্ডনে জন্ম ১৯৯৫ সালের ১ নভেম্বর, সুতরাং বয়স এখনো ২০ বছরও হয়নি৷ এ বয়সেই তাঁর রয়েছে মোট ৩০ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের সম্পত্তি৷ ঘরে বসে নিক তৈরি করেছিলেন ‘সামলি’ নামের এক ‘অ্যাপ’৷ তা চড়াদামে কিনে নেয় ইয়াহু৷ ২০১৪ সালে ‘অ্যাপল ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড’-ও জিতেছেন নিক ডি’আলোয়িসিয়ো৷

যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেত্রী৷ জন্ম নিউইয়র্কে, ১৯৯৬ সালের ১৪ এপ্রিল৷ অভিনয়ের সূত্রেই খুব কম বয়সে তারকাখ্যাতি অর্জন এবং অর্থ উপার্জন শুরু৷ মাত্র ৬ বছর বয়সে অভিনয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ব্রেসলিন৷ বয়স ১৯ হতে এখনো কয়েক দিন বাকি, কিন্তু এরই মাঝে ১২ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির মালিক হয়ে গেছেন ‘জম্বিল্যান্ড’ এবং ‘দ্য কল’ চলচ্চিত্রের জন্য তারকাখ্যাতি পাওয়া হলিউডের এই অভিনেত্রী৷

জেডেন স্মিথও যুক্তরাষ্টের নাগরিক৷ জন্ম ১৯৯৮ সালের ৮ জুলাই৷ একাধারে ব়্যাপার, অভিনেতা এবং ডান্সার হিসেবে খ্যাতি পেলেও অভিনয়ই তাঁর মূল পেশা৷ ‘দ্য পারস্যুট অফ হ্যাপিনেস’ এবং ‘দ্য কারাটে কিড’ খ্যাত অভিনেতা জেডেন স্মিথের নিজস্ব সম্পত্তির বাজার মূল্য এখন ৮ মিলিয়ন ডলার৷

ক্লোয়ি গ্রেস মরেৎস-এর জন্ম অ্যাটলান্টায়, ১৯৯৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি৷ ‘কিক অ্যাস’ ছবিতে মিন্ডি হয়ে এবং ‘ইফ আই স্টে’ ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করে খুব কম বয়সেই খ্যাতির আকাশে জায়গা করে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই কিশোরী৷ তাঁর সম্পত্তির দামও ৮ মিলিয়ন ডলার৷

তাঁর জন্ম ১৯৯৮ সালের ৯ এপ্রিল, যুক্তরাষ্টের জর্জিয়াতে৷ তিনিও অভিনেত্রী৷ অভিনয় সূত্রে ৫ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির মালিক হয়ে সবচেয়ে ধনী টিনএজারদের তালিকায় নিজের বোন ডাকোটা ফ্যানিংকে পেছনে ফেলেছেন তিনি৷ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অভিনীত ‘মেলফিসেন্ট’ আর কমেডি মুভি ‘ড্যাডি ডে’ দেখলেই বুঝতে পারবেন এলে ফ্যানিং অভিনেত্রী হিসেবে কেমন৷