1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিঙ্গাপুরে ভবিষ্যতমুখী বসতি

২৪ মে ২০১৯

ঢাকা-কলকাতাসহ বিশ্বের বড় শহরগুলিতে জনসংখ্যার চাপে মানুষের বাসস্থান সঙ্কুচিত হয়ে উঠছে৷ বড় বড় ফ্ল্যাটবাড়িতে হাজার হাজার মানুষ কম জায়গায় থাকতে বাধ্য হচ্ছেন৷ সিঙ্গাপুরে একটি ভবনে প্রায় আদর্শ পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে৷

ছবি: Ole Scheeren

সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা প্রায় ৬০ লক্ষ৷ কিন্তু তার আয়তন সুইজারল্যান্ডের গ্লারুস জেলার মতো৷ এই দ্বীপরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে অন্যতম৷ ফলে এই শহর বিশ্বের জনসংখ্যার ভবিষ্যৎ নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষার আদর্শ গবেষণাগার হয়ে উঠেছে৷ এখনই বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক শহরাঞ্চলেই বসবাস করে৷

সুইজারল্যান্ডের জুরিখ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দুই স্থাপত্যের প্রোফেসরের নেতৃত্বে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে ‘ফিউচার সিটিস ল্যাব’ নামের এক গবেষণাগার চালাচ্ছে৷ তাঁদেরই একজন সাখা মেনৎস৷ তিনি বলেন, ‘‘সুইজারল্যান্ডের তুলনায় এখানে নির্মাণের ঘনত্ব প্রায় ৩, ৫ বা ৬ গুণ বেশি৷ ফলে ভবিষ্যতে মানুষ এত কম জায়গায় কীভাবে বসবাস করবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে৷’’

সিঙ্গাপুরে নির্মাণের এমন ঘনত্ব সত্ত্বেও বিস্ময়কর মাত্রায় সবুজের সমারোহ দেখা যায়৷ দূরদর্শী নগর পরিকল্পনার কল্যাণেই এত গাছপালা রয়েছে৷ নিয়ম অনুযায়ী জমিতে নির্মাণকাজ চালালে কমপক্ষে তার প্রায় সমান এলাকা সবুজ করে তুলতে হবে৷

ঘনবসতির জবাব হিসেবে সিঙ্গাপুরে এমন সবুজ হাইরাইজ অট্টালিকা গড়ে তোলা হচ্ছে৷ জুরিখ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় এমন বসতিতে মানুষের আচরণ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে৷ তারা কি তাদের প্রতিবেশীদের চেনে? শহরের পরিবেশের উপর এমন সবুজ এলাকার প্রভাব কী? জীবনযাত্রার মানই বা কেমন?

‘ফিউচার সিটিস ল্যাব’-এর গবেষকদলের প্রধান টোমাস শ্র্যোপফার সপরিবারে এমনই এক ভবনে বসবাস করেন৷ ২০১৩ সালে ‘ইন্টারলেস’ নামের এই ভবনটি গড়ে তোলা হয়েছিল৷

এমন হাইরাইজ অট্টালিকা মোটেই আকাশ ছোঁয়ার চেষ্টা করছে না, বরং ধাপে ধাপে গড়ে তোলা হয়েছে৷ বিভিন্ন স্তরে বাসিন্দাদের সব প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে৷ কমিউনিটি হল, সুইমিং পুল, বড় বড় উঠান গোটা ভবন জুড়েই ছড়িয়ে রয়েছে৷ গবেষকদলের প্রধান হিসেবে টোমাস শ্র্যোপফার বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে স্থপতিদের একাধিক দায়িত্ব রয়েছে৷ ঘনবসতি সত্ত্বেও কীভাবে বাসযোগ্য স্পেস সৃষ্টি করা সম্ভব? এত ঘন নির্মাণের নেতিবাচক প্রভাব ছাড়াই উচ্চ মানের জীবনযাত্রা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, আমার মতে ‘ইন্টারলেস’ তার এক দারুণ দৃষ্টান্ত৷ এক বিশাল ভবনের কাঠামোকে কীভাবে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করা যায়, ‘ইন্টারলেস’ ভবন থেকে তা শেখা যায়৷ প্রায় ৩,০০০ মানুষ বসবাস করা সত্ত্বেও সেখানে মানবিক মানদণ্ড অনুযায়ী বেশ মনোরম পরিবেশ রয়েছে৷ সবাই সেখানে নিজেকে সমাজ ও পাড়ার অংশ মনে করে৷ ইন্টারলেসে এই সব বিষয়গুলি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা যায়৷’’

তবে সব ক্ষেত্রে যে এমন ভবনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান দেখা যায়, এমনটা দাবি করা যায় না৷ সিঙ্গাপুরেই এর অনেক ব্যতিক্রম রয়েছে৷

মাইলি জেন/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ