‘মিষ্টি’ যে কোনো পোকামকড়কে কাছে টানে৷ বিশেষ করে মৌমাছিকে৷ তাই খাবার টেবিল থেকে মৌমাছিসহ অন্যান্য পোকাকে দূরে রাখতে এক গ্লাস মিষ্টি কোকাকোলা, ফান্টা বা মিষ্টি পানীয় দূরে কোথাও রেখে দিন৷ দেখবেন, পোকামাকড়ের অত্যাচার বা ঝামেলা ছাড়াই নিশ্চিন্তে খেতে পারছেন৷

মৌমাছি বা ভিমরুল আপনার কাছাকাছি ঘুরলে বা আপনাকে বিরক্ত করলে একদম চুপ বা শান্ত থাকুন৷ ওদের মারতে গেলে ওরা তখন আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে৷ কাজেই সাবধান!

মশার পছন্দ কালো বা গাঢ় রঙের পোশাক৷ তাই যেখানে মশা আছে, সেখানে হালকা রঙের পোশাক পরাই শ্রেয়৷ বিশেষ করে রাতের বেলায়৷ বাগানে বা বাইরে গরম হলেও ফুলপ্যান্ট এবং লম্বা হাতের জামা পরা উচিত৷ আর খোলা মাঠে ঘাসের ওপর বড় ছোট কেউ-ই খালি পায়ে একদম হাঁটবেন না৷

পারফিউম, হেয়ার স্প্রে বা সুগন্ধী প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো৷ কারণ, মানুষের মতো সুগন্ধী যে মশারও প্রিয়!

দরজা-জানালায় নেট লাগিয়ে নিন৷ বিশেষকরে যেগুলো প্রায়ই খোলা থাকে সেসব দরজা-জানালায় নেট লাগাতে আর দেরি না করাই ভালো৷

দরজা বা জানালার কাছে সম্ভব হলে টমেটো গাছ ও লেবু গাছ লাগাতে পারেন, কারণ, এই গাছগুলো পোকামাকড়কে দূরে রাখে৷

লবঙ্গ, ল্যাভেন্ডার বা লেবুযুক্ত তেল গায়ে মাখতে পারেন৷ যদিও এসবের স্থায়ীত্ব বেশিক্ষণ নয়, তারপরও কিছুটা কাজে লাগে৷

যদি মশা, মৌমাছি বা পোকামাকড় কামড় দেয় তাহলে সাথেসাথেই ভেজাকাপড় দিয়ে কামড়ের জায়গাটি মুছে নিয়ে সেখানে আয়োডিন লাগিয়ে নিন৷ ভালো হয় যদি একটি পেঁয়াজকে অর্ধেক করে তার একটি অংশ কামড়ের জায়গায় ভালো করে ঘষে দেন৷

মশা বা পোকা যদি মুখের ভেতর বা ঠোঁটে কামড় দেয়, তাহলে তা ভয়ংকর আকার নিতে পারে৷ তাই এ সব জায়গায় কামড় দিলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে৷ তবে তার আগে বরফ শীতল পানি দিয়ে গার্গল করা এবং এক টুকরো বরফ মুখে পুরে লজেন্সের মতো চোষার পরামর্শও দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞ৷

ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ এড়াতে কোনোভাবেই ক্ষতে চুলকাবেন না৷ কারণ, শুধুমাত্র চুলকানোর কারণেই হয়ত ক্ষতস্থান আরো ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে৷