1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ঢাকা

৩০ জানুয়ারি ২০২০

দুই সিটি নির্বাচন ঘিরে ঢাকায় এখন শেষ মুহূর্তের জমজমাট প্রচার চলছে৷ নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর সব ধরনের প্রচার বন্ধ করতে হবে৷ ভোটের নিরাপত্তায় এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী৷

Bangladesch vor der Wahl
ছবি: Imago/MD Mehedi Hasan

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হবে, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত৷ এবার সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে৷

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে ভোটের দুই দিন আগে অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দিন নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করবে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স৷

এরইমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামতে শুরু করেছেন বলে জানায় ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷

এবার নির্বাচনী প্রচারের সময় কয়েকটি জায়গায় হামলা এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচন ঘিরে ঢাকায় ‘বহিরাগত ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী' জড়ো করার অভিযোগও উঠেছে৷

কয়েকদিন আগে বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীর প্রচার দলের উপর হামলা ছাড়াও উভয় দলের কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে৷ সংঘর্ষে জড়িত কয়েকজনকে গ্রপ্তার করেছে পুলিশ৷ তাদের মধ্যে ছাত্রদলের এক সাবেক নেতা রয়েছেন৷

ভোট ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা:

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকার দুই সিটিতে মোট ৬৫ প্লাটুন বিজিবি নামানো হয়েছে৷ এর মধ্যে উত্তরে ২৭ প্লাটুন এবং দক্ষিণে ৩৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম৷

তিনি বলেন, ‘‘ভোটের দিনের জন্য আরও ১০ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ রাখা হয়েছে, প্রয়োজনে তাদেরকেও মোতায়েন করা হবে৷''

এ নির্বাচনের আইন শৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম৷

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অর্ধ লক্ষ সদস্য মাঠে থাকবেন৷

এছাড়া নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমদের নেতৃত্বে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন সদস্যদের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনী এলাকায় টহলে থাকবেন৷ কেন্দ্রে কেন্দ্রে থাকবেন আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা৷

দুই সিটির ২৪৬৮টি ভোট কেন্দ্রে অর্ধলক্ষের বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন৷

মেয়র প্রার্থী:

এবার দুই সিটিতে মেয়র পদের জন্য লড়ছেন বিভিন্ন দলের ১৩ জন  (দক্ষিণে ৭, উত্তরে ৬ জন) প্রার্থী৷ তবে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চার প্রার্থীর প্রচারের ডামাডোলে অনেকটাই ম্রিয়মান অন্যরা৷

উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবং বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল৷ দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস৷

প্রধান চার প্রতিদ্বন্দ্বীর ইশতেহার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে,রাজধানীর মূল সমস্যাগুলো সমাধানের অঙ্গীকার করেছেন সবাই৷ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আধুনিক সচল ঢাকা গড়ার৷

ভোটের তথ্য:

উত্তর সিটি করপোরেশন: সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি, সংরক্ষিত ১৮টি, মোট ভোট কেন্দ্র ১৩১৮টি৷ মোট ভোটার ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন৷ তাদের মধ্যে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ জন পুরুষ, ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন নারী৷

দক্ষিণ সিটি করপোরেশন: সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি, সংরক্ষিত ২৫টি, মোট ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ১৫০টি৷ মোট ভোটার ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন৷ তাদের মধ্যে ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪১ জন পুরুষ; ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৩ জন নারী৷

এসএনএল/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ