1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সংঘাতময় রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ আওয়ামী লীগতো বটেই, বিএনপিও এখন সিটি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত৷ তবে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিএনপির প্রার্থীদের বেকায়দায় ফেলছে৷

Narayanganj City Corporation Wahlen Flash-Galerie
(ফাইল ফটো)ছবি: DW/S. Kumar Day

এরই মধ্যে ঢাকার দুইটি এবং চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে গেছে৷ নির্বাচন কমিশনের বাছাইও শেষ৷ একদিন সময় আছে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের৷ তারপর শুরু হবে পুরোদমে নির্বাচনি প্রচারণা৷ তবে বিএনপি একটু বেকায়দায় আছে তাদের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রার্থী নিয়ে৷ কারণ এখানে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে৷ তবে তাঁর আপিল করার কথা৷ আপিল না টিকলে মনোয়নপত্র বৈধ হওয়া বিকল্প ধারার মাহি বি চৌধুরীকে সমর্থন দিতে পারে বিএনপি৷

তবে বিএনপির সমস্যা হল, তাদের মেয়র এবং কাউন্সিলর পদে অধিকাংশ প্রার্থীই হয় কারাগারে নয় আত্মগোপনে৷ যারা জামিন না নিয়ে আত্মগোপনে আছেন, তাদের জন্য নির্বাচনের সময় প্রকাশ্যে আসা কঠিন হবে৷ পুলিশের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে এ ধরনের একটি তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনর মনিরুল ইসলাম৷ আর এই তালিকা ধরে জামিনে না থাকা প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যাবে৷

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কেউ প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তাকে গ্রেপ্তারে বাধা নেই৷ নির্বাচন কমিশনের অনুমতিও নিতে হবে না গ্রেপ্তারের আগে৷

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘সরকার বিএনপির নেতা-কমীদের বিরুদ্ধে গণহারে মিথ্যা মামলা দিয়েছে৷ একেক জনের বিরুদ্ধে ১০ থেকে ৫০টি মামলা রয়েছে৷ এই মিথ্যা মামলায় কখন জামিন নেবে আর কখন নির্বাচন করবে? নির্বাচন কমিশনের এটা বোঝা উচিত৷''

এদিকে পুলিশ এরই মধ্যে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে৷ ঢাকার ২৮ নং ওয়ার্ডের বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী সাইদুর রহমানকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে করেছে পুলিশ৷ তাঁকে গ্রেপ্তারের পর রিটার্নিং অফিসারকে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা থাকার কথা জানায়৷ তবে গ্রেপ্তারের সময় সাইদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তিনি তাঁর বিরুদ্ধে মামলার কথা জানতেন না৷

বিএনপির প্রার্থীরা আশঙ্কা করছেন, তাঁদের এখন পুরনো মামলায়ও গ্রেপ্তার করা হতে পারে৷ অবরোধ হরতালে যে সব মামলা হয়েছে তাতে অনেক আসামি করা হয়েছে, সবাই জানেনও না যে তাঁরা আসামি৷ আর প্রতি মামলায়ই অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীদের কথা বলা আছে৷ তাই সেই সব মামলায় গ্রেপ্তার হতে পারেন কেউ কেউ৷

আহমেদ আযম খান বলেন, ‘‘আমরা আশঙ্কা করছি, অনেক মামলা আছে যার খবর আমাদের জানা নেই৷ পুলিশ গোপনে করে রেখেছে৷ সেই সব মামলা এখন কাজে লাগানো হবে৷ আর নেতা-কর্মীদেরও প্রচার প্রচারণায় অংশ নিতে দেবে না পুলিশ৷ গ্রেপ্তারের ভয়ে তারা বাইরেই বের হবে না৷''

বিএনপি এরই মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামকে হরতালের বাইরে রাখছে৷ আর অবরোধ নামে থাকলেও তা কার্যকরে তারা সক্রিয় না৷ তারা নির্বাচনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে৷ বিএনপি নেতারা বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উচিত বিএনপির সমান সুযোগ নিশ্চিত করা৷

পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘নির্বাচনের জন্যতো আমরা মামলার আসামিদের ছেড়ে দিতে পারি না৷ অপরাধী যারা, যাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকার পরও জাসিন নেননি তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব৷''

আর নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘পুলিশের কাজে আমরা বাধা দিতে পারি না৷ আমরা নির্বাচনের দিকটা দেখছি৷''

(ফাইল ফটো)ছবি: DW/S. Kumar Day
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ