সিনিয়রদের ওপরই নির্ভর করবে ‘সেরা' দলের সাফল্য
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচক কমিটি মঙ্গলবার দল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছে। সেখানে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের বক্তব্য, বিশ্বকাপের মতো দীর্ঘ এবং প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ আসরে তারা তামিমকে দলে নেবার ঝুঁকি গ্রহণ করতে চাননি, ‘‘তামিম ইকবালের তো অনেকদিন ধরেই ইনজুরি নিয়ে চিন্তা আছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর...সব কিছু বিবেচনা করে, সবাই আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া। বিশ্বকাপ অনেকদিনের ব্যাপার। অনেক ম্যাচ আছে।''
গত প্রায় এক বছর ধরেই তামিম কুঁচকি, কোমরসহ দেহের বেশ কিছু অংশের সমস্যায় ভুগছেন এবং প্রায়ই জাতীয় দলের হয়ে খেলা থেকে বিরত থাকছিলেন। ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে ও ২ টেস্টের সিরিজে খেলেননি তামিম, বিপিএলে খেললেও তার দল খুলনা টাইগার্সের প্লে-অফের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবার পর শেষ দুই ম্যাচে খেলেননি। ঢাকা লিগেও প্রাইম ব্যাঙ্কের হয়ে খেলেছেন মাত্র দুটো ম্যাচ। ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজে খেললেও পিঠের ব্যথার কারণে খেলেননি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে। ওয়ানডে সিরিজে দলে ফিরলেও প্রথম ম্যাচের পরদিনই নাটকীয়ভাবে অবসরের ঘোষণাই দিয়ে বসেন সেসময়কার অধিনায়ক। তারপর প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ, বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বৈঠক, মাশরাফি বিন মর্তুজার মধ্যস্থতা...অনেক জলঘোলার পর তামিম গণভবন থেকে বেরিয়ে বলেছিলেন অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথা। তবে তারপর আর খেলেননি আফগানিস্তান সিরিজের বাকি দুই ওয়ানডে। এরপর বিসিবির চিকিৎসকের তত্বাবধানে ইংল্যান্ডে চিকিৎসা করিয়ে মেরুদণ্ডে বিশেষ ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। ৩ আগস্ট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের বাসায় তার সঙ্গে আলাপচারিতা শেষে তামিম সাংবাদিকদের জানান, দলের স্বার্থেই তিনি অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এবং এশিয়া কাপেও খেলবেন না, ‘‘আমি বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করছি।' আমি সব সময়ই একটা কথা বলি যে, সব কিছুর ঊর্ধ্বে আমি সব সময় দলের কথা চিন্তা করেছি। আমার মনে হয়, দলের কথা চিন্তা করে আমার পদত্যাগ করাটাই হবে সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো ব্যাপার'' সেদিন বলেছিলেন তিনি। পাশে থাকা বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির পরিচালক জালাল ইউনুসও বলেছিলেন, ‘‘তামিমের পক্ষে এশিয়া কাপে ফেরা সম্ভব হচ্ছে না চোটের কারণে। এর মধ্যে আমরা তামিমসহ বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ, ফিজিও বায়েজিদ ও মাননীয় বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও পরামর্শ দিয়েছে যে, তামিমকে এশিয়া কাপে ফেরানোটা সম্ভব হবে না।''
তামিমের প্রত্যাবর্তনের দিনক্ষণ ঠিক হলো ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ, বিশ্বকাপের ঠিক আগেভাগে। প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে চমৎকার। ব্ল্যাকক্যাপদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সবশেষ দুটো ওয়ানডে সিরিজই জিতেছে বাংলাদেশ, সিরিজের তিনটা ম্যাচই মিরপুরে, যেটা তামিমের হাতের তালুর মতোই চেনা। ওদিকে নিউজিল্যান্ডও তাদের বিশ্বকাপ দলের বেশ ক'জন তারকাকে বিশ্রাম দিয়ে তারুণ্যনির্ভর একটা দল পাঠাচ্ছে। সব মিলিয়ে তামিমের জন্য সুযোগটা ছিল দারুণ, প্রত্যাবর্তনের চমৎকার গল্প লিখে বিশ্বকাপের বোর্ডিং পাসটা নিজের করে নেবার।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ করলো স্রেফ বোলিং, তা-ও বোধহয় ত্রিশ ওভারের মতো। বাকি ম্যাচ বৃষ্টির পেটে। পরের ম্যাচে বাংলাদেশ ব্যাটিং করলো পরে। নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৫৫ রানের লক্ষ্যে তামিমের দেড় ঘণ্টা স্থায়ী ৫৮ বলে ৪৪ রানের সংগ্রামী ইনিংসের সমাপ্তি ঈশ সোধির লেগস্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। তাতে বাংলাদেশের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৯২/৫ এবং অবধারিত নিয়তির মতোই ১৬৮ রানে অলআউট হয়ে মানতে হয় ৮৬ রানের হার। সেই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে তামিম বলেছিলেন, ‘‘সব মিলিয়ে অস্বস্তি আছে। আমাদের চিকিৎসক দল সিদ্ধান্ত নেবে যে, আমাকে কীভাবে সামলাবে। আমাকে মেনে নিতে হবে যে, এটা পুরোপুরি সেরে যাবে না।খুবই স্বাভাবিক যে, এতদিন পর চোট থেকে খেলায় ফিরলে আমি শতভাগ ফিট থাকবো না।'' তারপর সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে তামিম বিশ্রাম চাওয়াতেই তার সুস্থ্যতা, ফিটনেস সবকিছু নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
সোমবার বিকেল থেকেই গুঞ্জন, তামিম নাকি বিশ্বকাপে পাঁচটির বেশি ম্যাচ খেলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন এবং সেটা শুনে সাকিব বলেছেন বিসিবি এই শর্ত মানলে তিনি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। মঙ্গলবার এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল প্রধান নির্বাচকের কাছেও, তিনি জানেন না বলে উড়িয়ে দিলেও একেবারে বাতিল করে দেননি, ‘‘আমরা এ ধরনের কিছু জানি না। মিডিয়ায় অনেক কিছু দেখেছি, কিন্তু এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে ছিল না। তামিম ৫টা ম্যাচ খেলবে বা অন্য কিছু- এমন তথ্য ছিল না। তামিমের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে সব তো আর জানানো যায় না।''
জনসমক্ষে সবকিছু না আনলেও মধ্যরাতে নাজমুল হাসানের বাসভবনে সাকিব এবং সিডনি থেকে বাংলাদেশে ফিরে বিমান বন্দর থেকেই হাথুরুসিংহের সরাসরি গুলশানে বিসিবি সভাপতির বাসায় চলে যাওয়া থেকেই বোঝা যায়, ‘আগুন' লেগেছে কোথাও। দল নির্বাচনে পরিস্থিতি চলে গেছে নাগালের বাইরে, যা বিসিবি প্রধানের হস্তক্ষেপ ছাড়া সম্ভব নয়, অবশ্য এই কাজটা তিনি অতি আগ্রহের সঙ্গে নিয়মিতই করে থাকেন। ক্যালেন্ডারের পাতায় সোমবার থেকে হয়েছে মঙ্গলবার, পৌনে এগারটায় দিকে সাকিব ও হাথুরুসিংহে ঢুকেছিলেন নাজমুল হাসানের বাড়িতে, মিনিট দশেকের এদিক ওদিকে। বেরিয়েছেন প্রায় মিনিট চল্লিশেক পর। তখনই বোঝা গেছে চিত্রনাট্যে শেষ মুহূর্তে কোনো টুইস্ট আসতে চলেছে।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল, শুরুতে জানানো হয়েছিল তৃতীয় ওয়ানডের দুই ইনিংসের মাঝ-বিরতিতে জানানো হবে বিশ্বকাপ দল।এরপর বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয় ম্যাচের শেষেই হবে দল ঘোষণা। ভিডিও চিত্রে, বিশ্বকাপগামী প্রত্যেক ক্রিকেটারের হাতে ২০২৩ বিশ্বকাপের জার্সি তুলে দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ যখন ১৫ জন ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করলো, তখন ভারতের বিমানে চড়তে ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই।
এত নাটকীয়তা, নানান উৎকন্ঠার প্রহর পেরিয়ে যে দলটা ঘোষণা করা হলো, কেমন হলো সেটা? ফিটনেসের পরীক্ষায় ৪৪ রান করে তামিম ‘ফেল', মাসছয়েক পর জাতীয় দলে ফিরে ৪৯ আর ২১ করা মাহমুদউল্লাহ কি ‘পাস'? বেশিরভাগ দল যেখানে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দীর্ঘ প্রস্তুতি নেয়, সেখানে মাত্র দুই-চারটা ম্যাচ খেলে কেউ কেউ বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যাচ্ছেন কিভাবে? তামিমকে ছাড়া কেমন করতে পারে বাংলাদেশ? ডয়েচে ভেলের পক্ষ থেকে এই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ক্রিকেট সাংবাদিক মোহাম্মদ ইসাম ও বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের কাছে।
নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতে, এটাই বাংলাদেশের সম্ভাব্য সেরা দল, তবে প্রস্তুতিটা আরো ভালোভাবে নেয়া যেতে পারতো, ‘‘এই মুহূর্তে আমাদের হাতে রিসোর্সে যা আছে তাতে এটাই সবচেয়ে ভালো দল। খুবই ভালো হতো তামিম দলের সঙ্গে থাকলে, কারণ, সে না থাকায় আমাদের উদ্বোধনী জুটিটা চাপের মুখে পড়ে গেল। দলটা ভারসাম্যপূর্ণ। আমরা নাঈম শেখ এবং সৌম্য সরকারের পেছনে সময় নষ্ট করেছি। তানজিদ তামিমের প্রতি খুব একটা সময় দেইনি, দিলে ভালো হতো। এই মুহূর্তে আমার মনে হয় এটাই ভারসাম্যপূর্ণ একটা দল।''
মাহমুদউল্লাহ'র ফেরাটা অবাক করেছে ফাহিমকে, ‘‘এই দল নির্বাচন নিয়ে একটা বড় কথা বলা যায় যে, আমরা শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়েছি, কিন্তু গত অনেকগুলো ম্যাচে আমরা তাকে কিন্তু খেলার সুযোগ দেইনি। তাকে যে প্রস্তুতির সুযোগ দেয়া হয়েছে তা মোটেও পর্যাপ্ত না।'' বাংলাদেশের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাফল্য হচ্ছে এক আসরে ৩টা ম্যাচ জেতা। এবার প্রত্যাশা তার চেয়ে বেশি হলেও বাস্তবভিত্তিক সম্ভাবনা খুব বেশি দেখছেন না ফাহিম, ‘‘প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচ জিতলে সেই ছন্দটা কাজে লাগিয়ে আমরা বেশ কিছু ম্যাচ জিততে পারি। তবে কোনো ম্যাচ জেতাই সহজ হবে না। জিততে না পারলে খুব বড় একটা ধাক্কা হতে পারে, যেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো হবে কঠিন। আমরা খুব ভালোভাবে প্রস্তুত হয়ে যাচ্ছি না, তাই আমাদের চ্যালেঞ্জটা আরও বেশি। আমাদের চেয়ে সবল দল আছে, দূর্বল দল আছে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আমরা জেতার কথা বলছি, নেদারল্যান্ডসও কিন্তু সহজ প্রতিপক্ষ হবে না। সব কিছু নির্ভর করবে আমরা জয়ের জন্য কতটা মরিয়া, কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমাদের দলের বোলিংটা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে, বোধহয় ফিল্ডিংটাও...। দেখতে হবে দলের সবাই জেতার জন্য কতটা উন্মুখ।''
মোহাম্মদ ইসাম বাংলাদেশে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। তার কাছে মনে হয়েছে, এই দলটাই চেয়েছেন কোচ এবং অধিনায়ক, ‘‘তামিম দলে নেই, এই নিয়ে আর কথা বলার কিছু নেই। এটা একটা বিগ মিস, কিন্তু এই তামিম ছাড়া দলটাই আমাদের ক্যাপটেন সাকিব আল হাসান ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চেয়েছিল এবং তারা তাদের দলটা পেয়েছে। যেহেতু তারা তাদের পছন্দের দলটা পেয়েছে, তারা খুব ইম্পর্ট্যান্ট, তাদের মুড খুব ইম্পর্ট্যান্ট, তাদের অ্যাটিটিউড খুব ইম্পর্ট্যান্ট; এটা দলের উপর একটা বিশাল প্রভাব ফেলবে। সব কিছু যখন তাদের মনমতো হচ্ছে, এসবের বিনিময়ে এখন তাদের ফলাফল দেবার পালা। এখন তামিম কেন নেই এই নিয়ে তাদেরকে দোষী বানাবারও কিছু নেই। তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিয়েছে, এই বিশ্বকাপেও হয়তো অনেক কিছু দিতে পারতো। কিন্তু যেভাবে সে গ্রেসফুলি সরে দাঁড়ালো, সেটা যে কোনো সিনিয়র প্লেয়ারের জন্য পারফেক্ট। যেহেতু দলের ক্যাপটেন এবং কোচ তাদের দল পেয়েছে, লেট দেম গেট আস আ বিগ রেজাল্ট।''
সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল জানালেন, তার প্রত্যাশার সঙ্গে ১৫ জনের দলের ১৪ জনই মিলে গেছে। তিনিও মনে করেন বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই সম্ভাব্য সেরা দল। তবে সেই সঙ্গে আশরাফুল পেসারদের সতর্ক করে দিলেন যে, আসরে অনেক রান হবে, বোলিংয়ে বাজে দিন যাবে, সেসব থেকে ঘুরে দাঁড়াবার প্রত্যয়টাও থাকতে হবে, ‘‘খুবই ভাল করছে ওরা, লাস্ট এক-দেড় বছর ধরে যে কোনো কন্ডিশনেই ওরা ভালো করছে। কিন্তু যেহেতু ভারতের মাটিতে খেলা এবং রিসেন্টলি আমরা দেখছি অস্ট্রেলিয়ার বোলাররাও এখানে ৪০০ রান দিচ্ছে, এই বছরের শুরুর দিকে আসা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ৪০০ রান হয়েছে। আমাদের বোলারদের মেন্টালি রেডি থাকতে হবে, খারাপ দিন আসতেই পারে, প্রতিপক্ষ সাড়ে তিনশ রান করতেই পারে। ৯টা ম্যাচ খেললে ৪টা ৫টা ম্যাচে এরকম হয়ে যেতেই পারে।''
তামিম ইকবালের বদলে তানজিদ তামিম- অভিজ্ঞতা আর রানে বিস্তর ফারাক। বড় আসরে এই নবীন ক্রিকেটার যদি ভালো করতে না পারেন, তাহলে বিকল্প কে? আশরাফুল মনে করেন নাজমুল হোসেন শান্ত হতে পারেন ইনিংসের সূচনায় লিটন দাসের সঙ্গী, ‘‘শান্ত এই বছরটায় তিনে ভালো খেলেছে, তবে চাইলে সে ওপেনও করতে পারে। সে আগেও ওপেন করেছে।''
বাংলাদেশ দলে সবসময় সিনিয়র-জুনিয়র চর্চাটা রয়েছে। সিনিয়র বলতে মূলত ২০০৭ বা তার আগে থেকে খেলে আসা ক্রিকেটাররা, বিশেষ করে মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদেরই মনে করা হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বছর আট-নয় কাটিয়েও অনেকে 'জুনিয়র'ই থেকে যান! তামিম শেষ মুহূর্তে বাদ পড়লেন বা নিজেই সরে দাঁড়ালেন, তার বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না। আশরাফুল মনে করেন, বাকি যে ৩ সিনিয়র আছেন বিশ্বকাপে, তারাই বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে ভালো করবেন, ‘‘মুশফিক আইসিসি ইভেন্টে সবসময় ভালো করে। সাকিব ভালো করবে, মাহমুদউল্লাহও ভালো করবে। সিনিয়ররাই ভালো করবে, জুনিয়রদের খুব একটা চান্স দেখি না।''