1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভিডিও গেম লাভজনক

রোব্যারট রিশটার/এআই১৬ আগস্ট ২০১৪

বর্তমানে একেকটি কম্পিউটার গেম তৈরির পেছনে খরচ করা হচ্ছে শত কোটি টাকা৷ আর এই খরচ উঠেও আসছে দ্রুত৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম্পিউটার গেম শিল্প ক্রমশ সিনেমা শিল্পকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে৷

Gamescom 2014
ছবি: Reuters

‘ওয়াচ ডগ' গেমের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম এইডেন পিয়ার্স৷ স্মার্টফোন ব্যবহার করে তিনি শিকাগোর নজরদারি ক্যামেরা, ট্রাফিক লাইট এমনকি বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন৷ গেমটি তৈরিতে লেগেছে ৫০ মিলিয়ন ইউরো৷ আর ‘স্টার ওয়ার্স: দ্য ওল্ড রিপাবলিক' গেমের পেছনে খরচ হয়েছে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো৷

‘জিটিএ ফাইভ' গেমটি তৈরি এবং বিপণনে খরচ হয়েছে দু'শো মিলিয়ন ইউরো৷ তবে গেমটি বাজারে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নির্মাতাদের খরচ উঠে গেছে৷ কম্পিউটার গেম তৈরিতে এখন শত কোটি টাকা খরচ হয়৷ লিন্ডা এই খরচকে স্বাভাবিকই মনে করেন৷

গেম ডিজাইনের অধ্যাপক লিন্ডা ব্রাইটলাউখ এই বিষয়ে বলেন, ‘‘কম্পিউটার গেম তৈরি ফিচার ফিল্মের সেট তৈরির মতো ব্যাপার নয়, যেখানে একজন ক্যামেরা নিয়ে ইচ্ছামতো ঘুরতে পারেন৷ গেমে যা কিছু দেখা যায়, তার সবকিছু কম্পিউটারে তৈরি করতে হয়৷ ফলে কর্মীদের পেছনে খরচ বেশি হয়৷ আর এটাই সবচেয়ে বড় ব্যয়৷''

জার্মানির অন্যতম বড় কম্পিউটার গেমস প্রোগ্রামিং ট্রেনিং সেন্টারগুলোর একটির অবস্থান ট্রিয়ারে৷ এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা নতুন ধরনের এক গেম প্যাড সিস্টেম নিয়ে কাজ করছেন৷ এই খাত বড় হচ্ছে৷ ফিচার ফিল্মের চেয়ে কম্পিউটার গেম থেকে আয় এখন বেশি হয়৷

কম্পিউটার গেমের ইমেজও বদলে যাচ্ছে৷ প্রতি দু'জনের একজন জার্মান নিয়মিত গেম খেলেন৷ বর্তমানে এটিকে সংস্কৃতির অংশও মনে করা হয়৷ লিন্ডা ব্রাইটলাউখ এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমাদের প্রজন্মের সময় কম্পিউটার গেম নতুন মিডিয়া হিসেবে বিবেচিত ছিল৷ কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের কাছে এটা নতুন কিছু নয়৷ আমাদের সময় টিভি ছিল মূল মিডিয়া৷ আর এখন কম্পিউটার গেম যুবক-যুবতীদের কাছে মূল মিডিয়ার হিসেবে গণ্য হচ্ছে৷''

খদ্দেরদের বর্তমান চাহিদার কথা বিবেচনা করে আরো ভালো এবং বৈচিত্র্যময় কৌশলের কথা ভাবতে হচ্ছে গেম ডেভেলপারদের৷ গেমের চরিত্রগুলো আরো জীবন্ত করে তুলতে ডেভেলপররা ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ মোশন ক্যাপচার টেকনোলজি ব্যবহার করছেন৷ অভিনেতারা সেন্সর লাগানো বিশেষ পোশাক পরে অভিনয় করেন এবং একাধিক ক্যামেরা ব্যবহার করে তাদের গতিবিধি রেকর্ড করা হয়৷

তবে মোশন ক্যাপচার কিংবা হলিউড অভিনেতাদের ছাড়াও গেম তৈরি সম্ভব৷ সুইডিশ গেম ‘পেপার, প্লিজ' এক্ষেত্রে এক মোক্ষম উদাহরণ৷ এতে একজন সীমান্তরক্ষী অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণ করেন৷ ডিজাইন কিছুটা সেকেলে হলেও আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড জয় করেছে গেমটি৷

‘ওয়াচ ডগ' গেমে সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হয়েছে৷ প্রায় সিনেমার আদলে তৈরি করা হয়েছে এটি৷ বর্তমানে গেমটির প্রকৃত সিনেমা সংস্করণ তৈরির কাজ চলছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ