অনুব্রতর হাত থেকে বর্ধমানের তিনটি এলাকার দায়িত্ব নিয়ে নিল তৃণমূল। বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের নিরাপত্তাও তুলে নেয়া হলো।
বিজ্ঞাপন
সিবিআই, ইডির জালে একের পর এক নেতা জড়িয়ে পড়ায় তৃণমূল এখন কিছুটা পিছু হঠেছে। বৃহস্পতিবার দল ও সরকারের তরফে এমন একাধিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল চাপের মুখে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
প্রথম সিদ্ধান্ত, অনুব্রত মন্ডলের কাছ থেকে পূর্ব বর্ধমানের আউষগ্রাম, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোট বিধানসভা দেখভালের দায়িত্ব নিয়ে নেয়া। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে পূর্ব বর্ধমানের জেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়। জেলা নেতৃত্বকে বলে দেয়া হয়েছে, তারাই তিন বিধানসভার দেখভাল করবেন।
এমনকি, বীরভূমে তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যায় প্রতি বছর অনুব্রতের ছবি দিয়ে পোস্টার, ব্যানার লাগানো হতো। এবার পোস্টার, ব্যানারে কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আছে। অনুব্রতের নেই। এভাবে নিজের জেলাতেও আপাতত অনুব্রতের ছবি ছেঁটে ফেলা হয়েছে, যা কিছুদিন আগে পর্যন্ত অভাবনীয় ছিল।
তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত গ্রেপ্তার
গরুপাচার কাণ্ডে বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বোলপুর থেকে গ্রেপ্তার
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিবিআইয়ের বিশাল দল তার বাড়িতে গিয়ে অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
সিবিআইয়ের কৌশল
বুধবার মাঝরাতে পাঁচটি গাড়ি নিয়ে বোলপুরে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। বৃহস্পতিবার সকালে তার বাড়ি ঘিরে ফেলে সিআরপিএফ জওয়ানরা। দেড়ঘণ্টা বাড়িতে কথা বলার পর অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার
অনুব্রতের বিরুদ্ধে গরুপাচার কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ। আগেই তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতার দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বিতর্কিত নেতা
বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন অনুব্রত। এর আগে পুলিশকে বোমা মারার কথা বলেছিলেন অনুব্রত। ভোটের সময় চড়াম চড়াম ঢাক বাজানোর কথা বলেছেন। গাঁজা কেসে বিরোধীদের গ্রেপ্তার করানোর কথা বলেছেন।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
অনুব্রতের লুকোচুরি
এর আগে ১০ বার অনুব্রতকে তলব করেছিল সিবিআই। একবার মাত্র সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসে গেছেন তিনি। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বার বার জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে গেছেন অনুব্রত।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
অসুখ বিতর্ক
এসএসকেএম হাসপাতালে গত সোমবার চিকিৎসার জন্য গেছিলেন অনুব্রত। সেখানে তাকে দেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, বার্ধক্যজনিত কিছু রোগে ভুগছেন তিনি। তবে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বোলপুরের চিকিৎসকরা তাকে বেডরেস্টের নির্দেশ দেন।
ছবি: Subrata Goswami
আসানসোলের পথে
আসানসোল আদালতে তোলা হতে পারে অনুব্রতকে। তার আগে সিবিআই তাকে আরো জেরা করতে পারে মনে করা হচ্ছে। অনুব্রতকে সরাসরি গরুপাচার মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গেছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
7 ছবি1 | 7
এর পাশাপাশি সিবিআই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সাবেক সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে। মানিক যাতে রাজ্য ছেড়ে বিদেশে চলে না যান, সেজন্যই এই নোটিস। এরপরই মানিকের সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিত। তারা আর নিরাপত্তা দেবে না বলে জানিয়েছে। মানিক অবশ্য বলেছেন, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন। যখনই ডাকা হচ্ছে তিনি হাজিরা দিচ্ছেন।
প্রবীণ সাংবাদিক আশিস গুপ্ত ডিডাব্লিউকে বলেছেন, কিছুদিন আগেও তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করতেন, সিবিআই, ইডি-কে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী দলের নেতাদের সমস্যায় ফেলছে। এটা রাজনৈতিক শত্রুতা ছাড়া কিছু নয়। কিন্তু এখন সিবিআই, ইডি তৃণমূলের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পর দেখা যাচ্ছে দল কতটা চাপে পড়েছে। এই সব সিদ্ধান্ত সেই চাপেরই ফল।
সিবিআই তল্লাশি
এসএসসির সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কলকাতার বাড়িতে আট ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালালো সিবিআই। বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায় সিবিআই কর্মকর্তারা সুবীরেশের বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে ঢোকেন। তারা সেখান থেকে বের হন রাত একটায়। এক সিবিআই অফিসার ওই রাতেই সাংবাদিকদের বলেন, 'বহুত কুছ মিলা', অর্থাৎ, অনেক কিছু পাওয়া গেছে। তবে কী পাওয়া গেছে, সেবিষয়ে তারা কিছুই বলেননি।
পার্থ-কাণ্ডে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পথে বিরোধীরা
প্রতিদিনই কলকাতার রাস্তা দেখছে একের পর এক মিছিল। বুধবার তিনটি মিছিল করেছিল বামেরা। বৃহস্পতিবার ছিল বিজেপির মিছিল।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বিজেপির মিছিল
বৃহস্পতিবার মিছিল করে বিজেপি। বিরাট মিছিল কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত যায়। হাজার হাজার বিজেপি কর্মী যোগ দিয়েছিলেন মিছিলে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
গেরিলা মিছিল
বুধবার শহরের তিন প্রান্ত থেকে মিছিল করে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পৌঁছায় বাম রাজনৈতিক দলগুলির মিছিল। একটি মিছিল আসে হাওড়া থেকে, একটি পার্ক সার্কাস এবং একটি শিয়ালদহ থেকে।
ছবি: Payel Samanta/DW
মিছিলের মুখ
শাসকদল এবং পার্থের বিরুদ্ধে পোস্টার নিয়ে পথে নেমেছিলেন বামপন্থি নেতৃত্ব।
ছবি: Sukhomoy Sen/NurPhoto/picture alliance
অধীরের নিন্দা
পার্থ-কাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। কলকাতার রাস্তায় তারাও মিছিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
মিছিলে পার্থ-অর্পিতা
পার্থ-অর্পিতাদের মুখোশ পরে মিছিলে যোগ দেন বিজেপি কর্মীরা। তাদের গায়ে লেখা 'চোর'।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যোগ দিয়েছেন মিছিলে। মিছিল শেষে বক্তৃতাও করেন তিনি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
শহরে জ্যামজট
মিছিলের জেরে চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউয়ের মতো ব্যস্ত রাস্তাতেও গাড়ি আটকে পড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে নিত্য যাত্রীদের।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
পুলিশের তৎপরতা
অন্যবারের মতো মিছিল আটকায়নি পুলিশ। তবে শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা খোলার ব্যবস্থা করেছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
মিছিলে স্লোগান
মিছিল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও স্লোগান ওঠে। তার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
মন্ত্রী নন পার্থ
বৃহস্পতিবারই পার্থকে মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে দল থেকেও তাকে সাসপেন্ড করা হয়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
11 ছবি1 | 11
২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সুবীরেশ এসএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। সেসময় নিয়ম ভেঙে পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়া চাকুরীপ্রার্থীদের শিক্ষকতার চাকরি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। হাইকোর্টে সাবেক বিচারপতি বাগ যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে ৩৮১টি ভুয়া নিয়োগের উল্লেখ আছে বলে টিভি৯ বাংলা জানাচ্ছে। সুবীরেশ অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি যতদিন চেয়ারম্যান ছিলেন, ততদিন কোনো অবৈধ কাজ হয়নি।
নিয়োগে দুর্নীতির আরো অভিযোগ
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। এর আগে দমকল বিভাগে এক হাজার ৫০০ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কলকাতা হাইকোর্ট ওই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেয়।
পার্থ গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিক্ষোভকারীদের দাবি, চাকরি চাই
প্রায় পাঁচশ দিন ধরে তারা প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর খুশি হয়েও তাদের দাবি, এবার চাকরি দিতে হবে।
ছবি: Subrata Goswami /DW
গান্ধী মূর্তির নীচে
রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে এই শামিয়ানার নীচে আন্দোলনরত কয়েকশ চাকরিপ্রার্থী নারী পুরুষ আজও একটাই আশায় এখানে প্রতিদিন অবস্থান করেন, “একদিন সুবিচার অবশ্যই পাওয়া যাবে। তারা চাকরি পাবেন।
ছবি: Subrata Goswami /DW
পার্থর বিরুদ্ধে
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের এই আন্দোলন, সেই দফতরেরই সাবেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গত শুক্রবার ইডির আধিকারিকরা ২৭ ঘণ্টা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার করেন। এতে খুশি বিক্ষোভকারীরা। এসএসসি-কেলেঙ্কারি যখন হয়, তখন পার্থ শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তখন থেকেই পার্থর বিরুদ্ধে সোচ্চার বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু তারা এখন অবিলম্বে চাকরি চান।
ছবি: Subrata Goswami /DW
ববিতার দাবি
২০২১ সালে ব্যক্তিগত ভাবে মামলা করেন ববিতা সরকার। পরবর্তীকালে তিনি জয়ী হন এবং সরকার তাকে চাকরি দিতে বাধ্য হয়। ববিতার মামলার জেরেই ব্যাপারটা ইডি ও সিবিআই পর্যন্ত গড়ায়। পার্থর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে ববিতা বলেছেন, ''এখন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে আমরা কী কারণে বঞ্চিত হয়েছি। তবে এটা সফল্য কি না জানি না, এটুকু বলতে পারি, কেউই আইনের ঊর্ধে নয়।''
ছবি: Subrata Goswami /DW
ক্যানসার আক্রান্ত সোমার কথা
এসএসসি দুর্নীতির পাশাপাশি ক্যানসারের মত মারণরোগের বিরুদ্ধেও লড়াই চালাতে হয়েছে সোমাকে। সোমার অবশ্য চাকরি হয়েছে, তবু আন্দোলনের মঞ্চকে ভুলে যাননি সোমা। সোমা আজও সুযোগ পেলে অবস্থান মঞ্চে আসেন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ''জানতাম দুর্নীতি হয়েছে, তবে তার শিকড় যে এত দূর বিস্তৃত তা জানতাম না। তবে যদি উনি দোষী সাব্যস্ত হন, কঠিন শাস্তি চাইব।''
ছবি: Subrata Goswami/DW
চাকরি চান মইদুল
যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের প্রেসিডেণ্ট মইদুল ইসলাম। আন্দোলন চলাকালীন আট দিনের সন্তানের মৃত্যুও দেখতে হয়েছে তাকে। তিনি জানালেন, তারা এই গ্রেপ্তারিতে দুঃখিত নন আবার খুশিও নন। কারণ তারা যে তিমিরে ছিলেন সেই তিমিরেই আছেন। তারা চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেলে খুশি হবেন।
ছবি: Subrata Goswami /DW
রাসমণির বক্তব্য
পূর্ব মেদিনীপুরের রাসমণি মাইতির গলায় কান্নার সুর। ''প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক কটাক্ষ সবকিছু উপেক্ষা করে দিনের পর দিন এই আন্দোলনে অবস্থান করছি। এমন একটা রাজ্যে বাস করি যে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী দুর্নীতির দায়ে ইডির হেফাজতে, এর থেকে লজ্জার কী হতে পারে?''
ছবি: Subrata Goswami /DW
রুকসানার কাছে আশার আলো
পার্থ চট্টোপধ্যায়ের গ্রেপ্তারিতে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন মালদার রুকসানা খাতুন। বললেন, ''সব দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসুক তবে এর সঙ্গে আমাদের নিয়োগটাও প্রয়োজন।''
ছবি: Subrata Goswami /DW
কেলেঙ্কারির অংশ, বলছেন মনোজ
মনোজ ঘোষ বললেন, ''সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এই গ্রেপ্তারিটাও কেলেঙ্কারির একটা অংশ, এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।''
ছবি: Subrata Goswami /DW
যারা ঘুষ দিয়েছেন তাদের শাস্তি চান সুদীপ
যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের স্টেট কো-অর্ডিনেটর সুদীপ মণ্ডল বললেন, ''যারা ঘুষ খেয়েছে তারা যেমন অপরাধী, যারা দিয়েছেন তারাও দোষী। তাদের বিচারও আদালতের মাধ্যমেই হোক।''
ছবি: Subrata Goswami/DW
এবার চাকরি চান তনয়া
নদিয়ার তনয়া বিশ্বাস বললেন, ''দুর্নীতির আর কত প্রমাণ প্রয়োজন? যেখানে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং স্বীকার করে নিয়েছেন যে দুর্নীতি হয়েছে। ২০১৯ সালে উনি নিজে এসে আমাদের বলে গিয়েছিলেন যে প্রয়োজন হলে আইন বদল করেও আমাদের নিয়োগ করা হবে, কোথায় গেল সেই সব কথা? কাজেই এই গ্রেপ্তারি নিয়ে আমাদের আলাদা কোনও উচ্ছ্বাস নেই। যতক্ষণ না আমাদের চাকরি হচ্ছে আমাদের মুখে হাসি ফিরবে না।''
ছবি: Subrata Goswami/DW
নিয়োগপত্র চান সুদীপ
মুর্শিদাবাদের সুদীপ সাহার বক্তব্য তার হাতের পোস্টারেই লেখা রয়েছে। জানালেন, ''গ্রেপ্তার, বিচার, জিজ্ঞাসাবাদ সব চলুক, কিন্তু আগে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্রটা দিক''
ছবি: Subrata Goswami/DW
11 ছবি1 | 11
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, টেট পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত ও মামলা চলছে, সরকারি কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০২৮ সালে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় উচ্চশিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন।
এছাড়া পুলিশের কনস্টেবল ও হোমগার্ড নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নার্সি নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। পুরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগও একইরকমভাবে উঠেছে। কিছুদিন আগেই পাঁশকুড়া পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে লিফলেট পর্যন্ত বিলি করা হয়েছে। অভিযোগ, রাজ্য সরকারের প্রায় ৫০টির মতো বিভাগ নিয়োগ-দুর্নীতির শিকার।