সিমন ধরাশায়ী, জমিয়ে জিতলেন ফেডারার
২০ জানুয়ারি ২০১১খেলাটা জমজমাট হয়েছে
প্রথম থেকে জমজমাট ছিল না৷ শুরুর দুটো সেট যে আগ্রাসী ক্ষুধায় ফেডারার ছিনিয়ে নিলেন সিমনের কাছ থেকে, সেদুটো ছিল যেন ম্যাচ নির্দ্ধারক৷ কিন্তু ম্যাচটা হঠাৎ করেই ঘুরিয়ে দিলেন দু'বছর আগেই বিশ্ব ব়্যাংকিং-এ ছয় নম্বরে থাকা ফরাসি গিলেস সিমন৷ প্রথম দুটো সেট শূন্য-তে হেরে পরের দুটো পরপর ফেডারারকে হারিয়ে দিলেন সিমন৷ ম্যাচ জমে গেল৷ আবার ঘুরে দাঁড়ালেন ফেডারার৷ পরপর পাঁচটা গেম জিতলেন তিনি৷ ভাঙলেন সিমনের সার্ভিস, একবার নয় দুইবার৷ কিন্তু সিমনের দম ছিল শেষ পর্যন্ত দেখবার মত৷ এই মুহূর্তে বিশ্বের চৌঁত্রিশতম বাছাইয়ের সামনে তাই একসময়ে ষোলটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা ফেডারারকেও অসহায় লেগেছে শেষের দিকে৷ তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বের করে নিয়েছেন ফেডারার৷ চলে গেলেন তিনি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তৃতীয় পর্বে৷ সিমনের কাছে আগের দুটো ম্যাচই হেরেছিলেন ফেডারার৷ এই লড়াইটা তাই কিছুটা স্নায়ুর লড়াইও ছিল বৈকি!
সিমনের ফর্ম পড়ে যাওয়ার কারণ তাঁর হাঁটু
২০০৯ সালের গ্রীষ্ম মরশুমে বিশ্ব ব়্যাংকিং-এ ছয় নম্বরে ছিলেন ফরাসি টেনিস তারকা গিলেস সিমন৷ কিন্তু, এরপরই ফরাসি ওপেনের খেলার সময় তাঁর হাঁটুতে চোট লাগে৷ সেই চোট তাঁকে ভোগাতে থাকে দীর্ঘদিন৷ পেশাদার সার্কিটের বাইরে এক বছরেরও বেশি সময় কাটিয়ে সিমন সবে কোর্টে নেমেছেন৷ তারপরেও বুধবারের এই লড়াইটা সত্যিই দেখবার মত৷
জকোভিচ, রডিক তৃতীয় রাউন্ডে উঠলেন
এদিক থেকে ফেডারার আর অন্য আর দুইদিক থেকে সার্বিয়ার নোভাক জকোভিচ আর আন্ডি রডিক উঠে পড়েছেন তৃতীয় রাউন্ডে৷ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবার শুরু হয়েছে জানুয়ারির ১৭ তারিখে৷ আর চলবে এ মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী