1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন নিষেধাজ্ঞা

১৪ মে ২০১২

সিরিয়ার সরকারের উপর চাপ বাড়াতে আবারও নিষেধাজ্ঞার আশ্রয় নিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ এদিকে হোমসে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ সোমবার ২৩ জন সিরীয় সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷

ছবি: public domain

হোমসে সংঘর্ষ

হোমস প্রদেশের রাস্তানে এই সংঘর্ষ হয়েছে৷ এলাকাটি বর্তমানে বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ করছে৷ সরকারি বাহিনী সেটা ছিনিয়ে নিতে সপ্তাহান্তে অভিযান শুরু করে৷ এরই এক পর্যায়ে সোমবার ভোরে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়৷ এতে সরকারি বাহিনীর ২৩ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বা এসওএইচআর৷ যদি তাদের এই তথ্যটি ঠিক হয়, তাহলে এটাই হবে গত ১৪ মাসে সরকারি বাহিনীর উপর অন্যতম বড় হামলা৷ এই সংঘর্ষে শুধুমাত্র একজন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটেন ভিত্তিক ঐ সংস্থাটি৷ এছাড়া দিয়ের এজর শহরে সরকারি বাহিনীর অভিযানে ১৫ বছরের এক কিশোরের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ এদিকে, রবিবার সিরিয়া জুড়ে বিভিন্ন ঘটনায় ২৫ জন সাধারণ নাগরিক, ১৫ জন সৈন্য ও পাঁচজন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে এসওএইচআর৷

নিষেধাজ্ঞা

আবারও বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানির সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং তাদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিল ইইউ৷ ব্রাসেলসে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ এর ফলে এখন পর্যন্ত মোট ১২৯ ব্যক্তি ও ৪৩টি কোম্পানির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হল৷ নিষেধাজ্ঞার আওতায় সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকও রয়েছে৷ এছাড়া অস্ত্র ও তেল নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে৷ ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশ্টন বলেন, অস্ত্রবিরতি সত্ত্বেও সিরিয়ায় যা হচ্ছে তা আশঙ্কাজনক৷ সেজন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে৷ অ্যাশ্টন বলেন, বিশেষ দূত কোফি আনান'এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা হিসেবে কারিগরী ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ইইউ৷ এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেছেন, অস্ত্রবিরতি কার্যকর হচ্ছে না৷ এখনো হত্যা, নির্যাতন চলছে৷ ইইউ মন্ত্রীরা কোফি আনান'এর পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনশো পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিরিয়ার পরিস্থিতির আরও অবনতি ঠেকাতে কোফি আনান'এর পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে৷

ছবি: AP

হতাহত

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের হিসেবে গত ১৪ মাসে আন্দোলনের কারণে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে৷ এর বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক৷ আর একমাস আগে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পর নিহত হয়েছে প্রায় ৯০০ জন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক (এএফপি, এপি)

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ