1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হামলা নিয়ে বিভ্রান্তি

৩১ জানুয়ারি ২০১৩

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের মাঝেই ইসরায়েল সে দেশের উপর হামলা চালিয়েছে৷ তবে হামলার লক্ষ্যবস্তু নিয়ে এখনো বিভ্রান্তি কাটছে না৷ ইরান, রাশিয়া সহ কিছু দেশ এর নিন্দা করেছে৷

(FILE) A file photograph dated 28 June 2007 showing an Israel F-15 jet fighter firing flares in order to provide alternate targets for heat-seeking ground-to-air missiles, during an exercise over an air force base in southern Israel. The Syrian Army said that Israeli aircraft struck "centres for scientific research" Wednesday, January 30, 2013 north-west of Damascus, near the Lebanese border, killing two people and wounding five. EPA/JIM HOLLANDER +++(c) dpa - Bildfunk+++
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa

বুধবার লেবাননের আকাশসীমার উপর দিয়ে ইসরায়েলি জঙ্গি বিমান ধেয়ে যায় সিরিয়ার দিকে৷ রাডারের আওতা ফাঁকি দিয়ে খুব নীচু দিয়ে উড়ছিল বিমানগুলি৷ সিরিয়ার সরকারের সূত্র অনুযায়ী রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে এক গবেষণা কেন্দ্রের উপর হামলায় দু'জন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে৷ কিন্তু মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, ট্রাকের এক বহরের উপর হামলা ঘটেছে৷ তাতে করে নাকি প্রতিবেশী লেবাননে হেজবোল্লাহর জন্য বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ সিরিয়া এই দাবি অস্বীকার করেছে৷ উল্লেখ্য, ২০০৭ সালেও সিরিয়ার এক গোপন পরমাণু স্থাপনার উপর হামলা চালিয়েছিল সে দেশ৷ সে সময় সিরিয়া বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলে নি৷

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের মাঝেই ইসরায়েল সে দেশের উপর হামলা চালিয়েছে (ফাইল ফটো)ছবি: Reuters

ইসরায়েল এখন বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছে না৷ সে দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন৷ তবে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার বিদ্রোহীদের নাগালে চলে যেতে পারে, ইসরায়েল আগেই এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল৷ অথবা আসাদ নিজে সেই অস্ত্র হেজবোল্লাহর হাতে তুলে দিলেও মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে সে দেশ মনে করে৷ তাছাড়া চরম অরাজকতার মধ্যে সিরিয়ার সামরিক অস্ত্রভাণ্ডারের ভবিষ্যৎ নিয়েও ইসরায়েলের দুশ্চিন্তা রয়েছে৷

ইসরায়েলের হামলা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা রকম প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে৷ হেজবোল্লাহ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে৷ সিরিয়ার নেতৃত্ব, সেনাবাহিনী ও জনগণের প্রতি সম্পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছে তারা৷ ইরান ও সিরিয়ার ঘনিষ্ঠ লেবানন ভিত্তিক এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েলের সরাসরি সংঘাতের ঘটনাও কম নয়৷ ২০০৬ সালে দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ হয়েছে৷ ইরানও সিরিয়ার উপর হামলার সমালোচনা করেছে৷ সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি আকবর সালেহি বলেন, সিরিয়ার জনগণ ও সরকার স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার পথে ফেরার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তা বানচাল করে দিতেই এটা পশ্চিমা জগত ও ইসরায়েলের ষড়যন্ত্র৷ রাশিয়াও সিরিয়ার উপর ইসরায়েলের হামলার নিন্দা করেছে৷ সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷

এদিকে সিরিয়ার বিরোধী জোট বৃহস্পতিবার কায়রোয় মিলিত হয়েছে৷ এই প্রথম তারা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সংলাপের ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ সিরীয় জাতীয় জোটের নেতা মোয়াজ আল খাতিব ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁর জোট সিরিয়ার সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি সংলাপের জন্য প্রস্তুত৷ কায়রো, টিউনিস বা ইস্তানবুলে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে৷ তবে এর দুটি পূর্বশর্ত স্থির করেছেন তিনি৷ প্রথমত সিরিয়ায় আটক ১ লক্ষ ৬০ হাজার রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে৷ দ্বিতীয়ত বিদেশে সিরিয়ার দূতাবাসগুলির মাধ্যমে নির্বাসিত নাগরিকদের পাসপোর্ট নবায়ন করতে দিতে হবে৷ তবে জোটের সব নেতা এই প্রস্তাবে সম্মতি দেন নি৷

এসবি/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ