1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ার ওপরে তেল নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন নেই রাশিয়ার

৩ সেপ্টেম্বর ২০১১

সিরিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপানো নিষেধাজ্ঞায় ক্ষিপ্ত রাশিয়া৷ বিশেষ করে সেদেশ থেকে তেল আমদানির বিষয়ে আপত্তি ওঠায় এবার মুখ খুলেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ৷

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভছবি: Picture-alliance/dpa

সিরিয়ার একগুঁয়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত ক্রমশ আরও তীব্র হচ্ছে৷ এর মধ্যে সিরিয়াকে আরও চাপের মুখে ফেলতে, বিশেষ করে আসাদকে আন্তর্জাতিক দাবি মেনে পদত্যাগে বাধ্য করতে ইইউ জানিয়েছে, সিরিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি তেল আর আমদানি করতে চায় না তারা৷ যদিও ইউরোপের দেশগুলিতেই সিরিয়া তাদের উৎপন্ন তেলের শতকরা ৯৫ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে৷ এবং তার বিনিময়ে সিরিয়ার জাতীয় আয়ের শতকরা ২৫ শতাংশ উপার্জন হয়৷

কিন্তু সিরিয়াকে আরও চাপের মুখে রাখতেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই তেল আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বেশ ক্ষুব্ধ মস্কো৷ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এক বিবৃতি দিয়ে এ বিষয়ে অসন্তোষ জ্ঞাপন করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত কোন ভালো দিকে নিয়ে যাবে না অদূর ভবিষ্যতে৷ বরং পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে৷

প্রেসিডেন্ট আসাদকে সরে যেতে বলছে পশ্চিমা বিশ্বছবি: dapd

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়ার রয়েছে ভেটো প্রদানের অধিকার৷ সিরিয়ার আসাদকে জব্দ করতে সেদেশের ওপর অস্ত্র আমদানি রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার যে আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্তের প্রস্তাব আসতে চলেছে, রাশিয়া সম্ভবত তাতে সমর্থন জানাবে না৷ লাভরভ সেকথাই জানিয়ে দিয়ে তাজিকিস্তানের রাজধানী ডুশানবেতে চলতি প্রাক্তন সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলির একটি সম্মেলনে সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে আরও বলেছেন, সিরিয়ার কোনরকমের সর্বাঙ্গীন নিষেধাজ্ঞায় সম্মতি জানাবে না রাশিয়া৷ লাভরভের মতে, সিরিয়ার সঙ্গে মিত্রতার রাস্তা বন্ধ করে দিলে পরবর্তীতে তা অনেক বড় ধরণের সমস্যার জন্ম দিতেই পারে৷

এদিকে, শুক্রবার ইইউ জানিয়ে দিয়েছে, তারা সিরিয়ার কাছ থেকে আর তেল সরবরাহ নিতে রাজি নয়৷ একমাত্র ইটালি তাদের দেশজ প্রয়োজনে আগামী কিছুদিন সিরিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি চালু রাখবে বলে জানিয়েছে৷ তবে তাও বেশিদিনের জন্য নয়৷

এদিকে সিরিয়ার অভ্যন্তরে পরিস্থিতি এখনও বেশ সমস্যাসংকুল৷ শুক্রবারের জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ওপর সেনাবাহিনীর গুলিতে মোট ১৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে৷ রাজধানী দামাস্কাসের কাছে সাতজন, হোমস শহরে চারজন এবং দিয়ার এজোর শহরে আরও তিনজন নিহত হয়েছে শুক্রবার৷ এ খবর জানিয়েছে আন্দোলনকারীদের একটি সূত্র৷ এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি নিহতের সংখ্যা ২১ বলে জানিয়েছে৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা:    জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ