1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ার কড়া সমালোচনা করলেন মেদভেদেভ

৭ অক্টোবর ২০১১

টিউনিশিয়া, মিশর বা লিবিয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভে আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়া গেলেও সিরিয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনের আপত্তিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ সেই রাশিয়াই এবার সিরিয়ার সমালোচনা করলো৷

Dmitri Medwedew
রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ প্রকাশ্যে সিরিয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন...ছবি: AP

রাশিয়ার উভয় সংকট

আরব জগতে গণতন্ত্রকামী আন্দোলনের প্রতি কমবেশি আন্তর্জাতিক সমর্থন দেখা যাচ্ছে৷ লিবিয়ায় গাদ্দাফির বিরুদ্ধে ন্যাটোর সামরিক অভিযানের পক্ষে প্রস্তাব অনুমোদনের সময় ভোটদানে বিরত থেকে কার্যত সমর্থনই জানিয়েছিল রাশিয়া ও চীন৷ কিন্তু সিরিয়ার প্রশ্নে পশ্চিমা জোটের সক্রিয় এই ভূমিকায় ঘোর আপত্তি রাশিয়ার৷ প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাথ পার্টি বা সমাজতান্ত্রিক দলের সরকারের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক৷ গোটা অঞ্চলে সিরিয়ার কৌশলগত গুরুত্বও বিশাল৷ এই অবস্থায় সেখানে ন্যাটো বা পশ্চিমা বিশ্বের খবরদারি সহ্য করতে রাজি নয় মস্কো৷ অন্যদিকে আবার সিরিয়াকে ঘিরে কৌশলগত স্বার্থ ও অবস্থানের ফলে আরব বিশ্বে সমালোচনার মুখে পড়েছে রাশিয়া৷ বিক্ষোভকারীদের দমন-পীড়ন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যে বাশার আল আসাদের মতো স্বৈরাচারী শাসকের প্রতি রাশিয়ার জোরালো সমর্থন মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না৷ সিরিয়ায় বিক্ষোভকারীরা রাশিয়া ও চীনের পতাকা পুড়িয়েছে৷ তাই শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ প্রকাশ্যে সিরিয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন বলে মনে করা হচ্ছে৷

রাশিয়ার দুই নায়ক - দিমিত্রি মেদভেদেভ ও ভ্লাদিমির পুটিনছবি: picture-alliance/RIA Novosti

কৌশলগত স্বার্থ সত্ত্বেও আসাদের উপর চাপ

মেদভেদেভ যা বললেন, তার মূল অর্থ হলো, সিরিয়ার প্রশ্নে রাশিয়ার অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট৷ প্রথমত, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে সেদেশের মানুষ ও সরকার – ন্যাটো বা ইউরোপের কোনো দেশ এবিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত বাইরে থেকে চাপিয়ে দিলে চলবে না৷ তবে একইসঙ্গে বাশার আল আসাদের সরকারেরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি৷ সেইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, সিরিয়ার বর্তমান সংকট সত্ত্বেও রাশিয়া মোটেই হাত গুটিয়ে বসে নেই৷ বরং নিজস্ব প্রভাব কাজে লাগিয়ে মস্কো আসাদ প্রশাসনের উপর সংস্কারের জন্য চাপ দিয়ে চলেছে৷ তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংস্কার করতে ব্যর্থ হলে সেদেশের নেতৃত্বের ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত৷ মেদভেদেভের এমন হুমকির ফলে কতটা কাজ হবে, তা এখন অপেক্ষা করে দেখতে হবে৷

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদছবি: picture-alliance/ dpa

জুম্মার নামাজের পর বিক্ষোভ

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষোভ এবং বিক্ষোভকারীদের দমন করতে নিরাপত্তা বাহিনীর হিংসাত্মক পদক্ষেপের খবর আসছে৷ বিক্ষোভের আশঙ্কায় শুক্রবার তারা বিভিন্ন মসজিদ ঘিরে রেখেছিল৷ এমনকি আল রাস্তান শহরে সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল সামরিক বাহিনী৷ রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে দৌমা, হোমস শহরের কেন্দ্রস্থলে বাব শবা এলাকা, দেইর আল জর ও হামা শহরেও বিক্ষোভকারীদের দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে৷ কমপক্ষে ৯ জন নিহত ও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে বলে বিরোধীরা দাবি করছে৷ এর মধ্যে সিরিয়ায় বিরোধীরা ইতিমধ্যে এক ঐক্যবদ্ধ জোটও গঠন করেছে৷ 

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ