1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে তুরস্কের দুশ্চিন্তা

২৩ নভেম্বর ২০১১

সিরিয়ার সংকট সীমান্ত পেরিয়ে গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিপন্ন করতে পারে – এমন আশঙ্কা করছে তুরস্ক৷ সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ভিত্তিতে পুরোদমে গৃহযুদ্ধও বেঁধে যেতে পারে৷

Abdullah Gul & Recep Tayyip Erdogan
এর্দোয়ান ও গ্যুল সিরিয়ার ঘটনায় অত্যন্ত বিচলিতছবি: AP

সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের শুরু থেকেই তুরস্ক দক্ষিণ সীমান্তের এই দেশটির প্রশাসনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়ে আসছে৷ একাধিক কারণে তুরস্কের নেতৃত্ব সিরিয়ার ঘটনাপ্রবাহের ফলে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করছে৷ মনে রাখতে হবে, সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলি হলো লেবানন, ইসরায়েল, জর্ডান, ইরাক ও তুরস্ক৷ একাধিক কারণে এসব দেশের নিজস্ব পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক৷

বাশার আল আসাদকে ‘কাপুরুষ’ বললেন গ্যুলছবি: AP/Montage:DW

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ গ্যুল মনে করেন, বর্তমান সংকটের জের ধরে সুন্নি ও শিয়াদের মধ্যে বিভাজন আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে, যার ফলে গোটা মুসলিম সমাজ মধ্যযুগের অন্ধকারে ফিরে যেতে পারে৷ সিরিয়ার সমাজে ধর্মীয়, সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত ভিত্তিতে উত্তেজনা আরও বাড়লে আশেপাশের দেশগুলিও সেই জটিল সমীকরণের কুপ্রভাব জড়িয়ে পড়বে বলে মনে করেন গ্যুল৷ তিনি এ প্রসঙ্গে সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলির উদ্দেশ্যে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন৷ এছাড়া, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান মঙ্গলবার বলেন, তিনি বাশার আল আসাদের দমন নীতির মধ্যে নাৎসি জার্মানির রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অনুকরণ দেখতে পাচ্ছেন৷ তিনি আসাদকে কাপুরুষ আখ্যা দিয়ে সরাসরি তার পদত্যাগের দাবি করেন৷

‘সিরিয়ার জটিল সাম্প্রদায়িক সমীকরণ ভারসাম্য হারাতে পারে’ছবি: picture-alliance/dpa

প্রসঙ্গত লিবিয়ার মতো দেশে যখন বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল, তখন জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহল সরাসরি ও দ্রুত হস্তক্ষেপ করতে পেরেছিল৷ মূলত রাশিয়া ও চীনের আপত্তির ফলে সিরিয়ায় এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ৷ এই অবস্থায় বিদ্রোহীরা লেবানন ও জর্ডান থেকে অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করছে৷ সুন্নি-প্রধান এই বিরোধী আন্দোলনের লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট আসাদের সংখ্যালঘু আলোউইট সম্প্রদায়ের আধিপত্য৷ সংখ্যালঘু খ্রীস্টান, দ্রুজ ও শিয়া সম্প্রদায়ও আসাদের শাসনের ফলে এতকাল মোটামুটি সন্তুষ্ট ছিল৷ সরকার বিরোধী আন্দোলনের জের ধরে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের যে আশঙ্কা তুরস্ক করছে, তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ এমনকি পুরোদমে গৃহযুদ্ধও বেঁধে যেতে পারে বলে কিছু মহল আশঙ্কা করছে৷

আরব লিগের পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদও সিরিয়ায় সরকারের দমন নীতির নিন্দা করার ফলে আসাদ প্রশাসনের উপর চাপ আরও বেড়ে গেছে৷ মোট ১২২টি দেশ সিরিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে৷ ফ্রান্স সিরিয়ার বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ও আরও শক্তিশালী করে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ