সিরিয়ার বিরুদ্ধে সব নিষেধাজ্ঞা উঠবে, জানালেন ট্রাম্প
১৪ মে ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ''আমি সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেব। আমি ওদের একটা সুযোগ দিতে চাই।''
রিয়াধে বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ''সিরিয়ার এখন আগে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।''
বুধবার সিরিয়ার কার্যকরী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-সারা ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ''সৌদি আরবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে হ্যালো বলতে রাজি হয়েছেন ট্রাম্প।''
তিন দেশের মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন ট্রাম্প। তিনি প্রথম গেছেন সৌদি আরবে। বুধবার তিনি দোহা যাবেন।
'ইতিবাচক পদক্ষেপ'
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের নাতাশা হল ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''এটা একটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। আমরা এই ঐতিহাসিক বিবৃতির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তবে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য দরকার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি এখন সিরিয়ায় বিনিয়োগ করতে পারবে। লেবানন, জর্ডান ও অন্যরা সিরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারবে। তাদেরও সুবিধা হবে।''
বিশাল অংকের বিনিয়োগ করবে সৌদি আরব
সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জানিয়েছেন, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ করবে। তার মধ্য়ে ১৪ হাজার দুইশ কোটি ডলারের অস্ত্র কেনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে কৃত্রিম মেধা সংক্রান্ত প্রকল্পে ২০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে সৌদি আরবের সংস্থা ডেটাভল্ট।
ট্রাম্প অবশ্য জানিয়েছেন, সৌদি বিনিয়োগের পরিমাণ এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এক ট্রিলিয়ন মানে একের পর ১২টা শূন্য। তবে তিনি বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি।
ট্রাম্প বলেছেন, ''আমাদের সঙ্গে বিশ্বের অন্যতম বড় শিল্পপতি ও বাণিজ্যিক নেতা আছেন। তারাও প্রচুর কিছু নিয়ে রিয়াধ থেকে ফিরবেন।''
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করার চেষ্টা করছেন। তিনি চান, সৌদি আরব আব্রাহাম চুক্তিতে সই করুক এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করুক।
ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইহুদ ওলমার্ট ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ''প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় ইসরায়েলে যাচ্ছেন না। এটা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে বড় বার্তা এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতবিরোধের ইঙ্গিত।''
তিনি বলেছেন, ''ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত চাইছেন না। কিন্তু তার পরিকল্পনার সঙ্গে নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা মিলছে না।''
সৌদি আরব জানিয়েছে, তারা আব্রাহাম চুক্তিতে সই করতে পারে যদি ফিলিস্তিন প্রশ্নে কোনো অগ্রগতি হয় তাহলেই। কিন্তু নেতানিয়াহু সেটা চান না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ''ট্রাম্প যে সৌদি আরবের সঙ্গে এত বড় অস্ত্রচুক্তি করছেন, তার মধ্যে দিয়ে নেতানিয়াহুকে একটা স্পষ্ট বার্তাও দিয়েছেন।''
জিএইচ/এসসি(রয়টার্স, এপি, এএফপি)