1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আশ্রয় সংগীত আর খেলায়

১৭ নভেম্বর ২০১২

মায়ের কোলও আর নিরাপদ আশ্রয় নয়৷ কখন যে বোমা পড়বে আর কোলেই ঢলে পড়বে শিশু! সিরিয়ার শিশুরা খুঁজছে যুদ্ধের আতঙ্ক এড়ানোর উপায়৷ অনেকেরই আশ্রয় এখন সংগীত আর খেলা৷

Children sit in front of a shuttered shop in the northern city of Aleppo, on October 23, 2012, the scene of heavy fighting between Syrian government troops and rebel forces. The UN's World Food Programme (WFP) said it had sent food aid to some 1.5 million people inside Syria in September, up from 850,000 a month earlier, as the crisis pitting President Bashar al-Assad's regime against rebel fighters deepens. AFP PHOTO/PHILIPPE DESMAZES (Photo credit should read PHILIPPE DESMAZES/AFP/Getty Images)
ছবি: PHILIPPE DESMAZES/AFP/Getty Images

মায়ের কাছে চাঁদের বুড়ির গল্প শুনতে শুনতে ঘুমানোর দিনগুলো তাদের জন্য এখন অনেক দূরের অতীত৷ সিরিয়ার শিশুদের সকালে ঘুম ভাঙে যুদ্ধ বিমান কিংবা গোলাগুলির আওয়াজে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময়ও একই অবস্থা৷ যাঁদের জন্য পৃথিবী হওয়ার কথা উন্মুক্ত আনন্দ-উদ্যান, ছোট ছোট সেই শিশুদের দিনমান কাটে আতঙ্কে৷ জীবনের শুরুতেই মৃত্যু আতঙ্ক!

স্কুলগামী শিশুদের এ আতঙ্ক থেকে দূরে রাখার উপায় খুঁজে পাওয়া গেছে৷ স্কুল এখন আর তাই শুধু লেখাপড়ার জায়গা নয়, লেখাপড়ার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে খেলাধুলা আর গানবাজনা৷ দামেস্কে কয়েক বছর আগে একটা স্কুল খুলেছেন বাসেম আল হাজি৷ সেখানে ক্রীড়া শিক্ষক মামুন আল আলীর ব্যস্ততা বেড়ে গেছে খু্ব৷ আগে যেখানে সপ্তাহে একদিন কি  দুদিন মাঠে নামতে হতো বাচ্চাদের নিয়ে, সেখানে এখন সারাদিনই চলে খেলাধুলা৷ ব্যাডমিন্টন শেখাও, বাস্কেটবল শেখাও, ফুটবল খেলো পুঁচকেদের সঙ্গে- চলছে তো চলছেই৷ ব্যস্ততা বাড়লেও মামুন কিন্তু খুশি, তাঁর একটু পরিশ্রমে বাচ্চাগুলো যে মৃত্যুভয়কে দূরে রাখতে পারছে!

ছবি: Moritz Wohlrab, Aktion Deutschland hilft

লিয়াস মাদালি খেলার মাঠে নামেই না৷ ১১ বছর বয়সি মেয়েটি ধরেছে পিয়ানো৷ পিয়ানোয় ডুবে থাকার কারণ জানাতে গিয়ে বলল, ‘‘গোলাগুলির শব্দ ভুলে থাকতে আমি পিয়ানোর ক্লাসে যাই৷ আমি তো খুব ভীত হয়ে পড়েছিলাম, এখন বেশ আছি৷''

২০ মাস ধরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের যে যুদ্ধ চলছে শিশুদের জীবনে তার প্রভাব কতটা ভয়াবহ তা খানিকটা বোঝা যাবে কয়েকটা পরিসংখ্যানে৷ ইউনিসেফের হিসেব অনুযায়ী সিরিয়ায় মোট ২২ হাজার স্কুল আছে৷ বোমায় বিধ্বস্ত হয়েছে কমপক্ষে ২ হাজার৷ বাকি ২০ হাজারের মধ্যে আটশটি এখন শরণার্থী শিবির৷ যুদ্ধে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩৭ হাজার মানুষ৷ দেশ জুড়েই আতঙ্ক৷ তবে সীমান্ত এলাকাগুলোতে পরিস্থিতি বেশি ভয়াবহ৷ থাকা সম্ভবই নয় মনে হলে মানুষ হয় ছোটে রাজধানী দামেস্কের দিকে, না হলে দেশের অন্য কোনো শহর কিংবা সীমান্ত পেরিয়ে অন্য কোনো দেশ৷

আতঙ্কের দেশ ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ কজনেরই বা হয়! যাঁরা থেকে যান, এখনো আছেন, তাঁদের পরিবারের সন্তানরা বড় অসহায়৷ পৃথিবীতে সঙ্গীত বা খেলাধুলার মতো বিনোদন আছে বলে তবু খানিকটা রক্ষা!

এসিবি/এসবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ