অনেক টেলিভিশন সিরিয়াল দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও জনপ্রিয় হয়ে পড়ে৷ গেম অফ থ্রোনস তার অন্যতম দৃষ্টান্ত৷ সিরিয়ালের অনেক দৃশ্যের প্রেক্ষাপট হিসেবে উত্তর আয়ারল্যান্ড পর্যটকদের কাছে বিশেষ কদর পাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/Faye Sadou/MediaPunch
বিজ্ঞাপন
‘গেম অফ থ্রোনস' সিরিয়ালের জগত ওয়েস্টারস-এ স্বাগতম৷ উত্তর আয়ারল্যান্ড নামেই জায়গাটি বেশি পরিচিত৷ সেখানে গত ১০ বছর ধরে গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় এই সিরিয়ালের অনেক দৃশ্যের শুটিং করা হয়েছে৷ টুরিস্ট গাইড রিচার্ড হজেন এ বিষয়ে বলেন, ‘‘এইচবিও চ্যানেল ও গেম অফ থ্রোনসের উত্তর আয়ারল্যান্ডে আসার অন্যতম প্রধান কারণ আমাদের অসাধারণ নিসর্গ৷ এই প্রদেশের ছয়টি জেলার প্রত্যেকটির মধ্যে ভূতাত্ত্বিক ও নিসর্গের বিচারে পার্থক্য রয়েছে৷''
রিচার্ড হজেন নিজে গেম অফ থ্রোনসের দুটি সিজনে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন৷ এখন তিনি পর্যটকদের শুটিং-এর জায়গাগুলি ঘুরিয়ে দেখান৷ সিরিয়ালের অনুরাগীরা মূল পটভূমি দেখার সুযোগ পান৷ যেমন বেলফাস্ট শহরের দক্ষিণে দ্বাদশ শতাব্দীর ইঞ্চ অ্যাবি মনাস্ট্রি৷ চাইলে এক মুহূর্তের জন্য ওয়েস্টারস-এর নাইট হওয়া যায়৷
গেম অফ থ্রোনস-এর প্রেক্ষাপট এক কাল্পনিক জগত৷ সেখানে একাধিক পরিবার ওয়েস্টারস মহাদেশের নিয়ন্ত্রণ পেতে সংগ্রাম চালাচ্ছে৷ একই সঙ্গে সব জাতিকে বাইরের শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হচ্ছে৷
শুটিং-এর জন্য উত্তর আয়ারল্যান্ডের অসংখ্য দুর্গ ও ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কয়েকটি বেছে নেওয়া হয়েছিল৷ যেমন পঞ্চদশ শতাব্দীর অডলিস কাসলের টাওয়ার৷ কাসল ওয়ার্ড ম্যানর হাউসকে সিরিয়ালে উইন্টারফেল দুর্গ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে৷ গেম অফ থ্রোনসের অন্যতম প্রধান প্রেক্ষাপট এই স্থান৷ বাস্তবের সঙ্গে কল্পনার তেমন মিল নেই৷ কারণ সিরিয়ালের জন্য অষ্টাদশ শতাব্দীর ভবনটি বড় ছোট মনে হয়েছিল৷ তাই ডিজিটাল পদ্ধতিতে তার আকার-আয়তন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷
চক্রান্ত, যৌনতা আর ড্রাগনের ‘গেম অব থ্রোনস’
স্টার্ক বনাম ল্যানিস্টার, বারাথিওন বনাম টারগারিয়ান৷ এই নামগুলো কখনোই শুনেননি বলে মনে হচ্ছে? বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজের শেষ সিজন শুরু হয়েছে৷ এক নজরে স্পয়লারে ভরা হাই-স্পিড এই রিভিউটি দেখে নিতে পারেন৷
ছবি: Helen Sloan/HBO
উত্তরের যোদ্ধা
পঞ্চম সিজনের শেষের দিকে নাইট ওয়াচের লর্ড কমান্ডার জন স্নো নিজের দলের লোকদের হাতেই নিহত হন৷ পরে অবশ্য তাঁকে আবার বাঁচিয়ে তোলা হয়৷ ওয়েস্টেরস-এর সেভেন কিংডমকে অতিপ্রাকৃতিক প্রাণীদের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে সুউচ্চ দেয়ালে পাহারা দেয় নাইট ওয়াচের যোদ্ধারা৷ সিজন সাত-এ এসে জানা যায়, জন স্নো আসলে জন্ম নিয়েছিলেন এইগন টারগারিয়ান নামে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/HBO Enterprises
অদম্য রাজকন্যা
সানসা স্টার্ককে জন স্নো’র সৎ বোন মনে করা হতো৷ অল্প বয়সেই নানা তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে৷ বাগদত্তার হাতে বাবার হত্যা দেখতে বাধ্য করা হয় তাঁকে৷ এরপর বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর ল্যানিস্টার রাজপরিবারেরই আরেক সদস্যকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় সানসাকে৷ ওয়েস্টেরসের রাজকন্যা হওয়া মুখের কথা নয়৷
ছবি: Helen Sloan/HBO
রাগী মেয়ে
আরিয়া স্টার্ক সানসার ছোট বোন৷ বাবার মৃত্যুর পর ছেলের ছদ্মবেশে রাজসভা থেকে পালায় আরিয়া৷ এরপর থেকে ওয়েস্টেরসের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছে আরিয়া একটাই সংকল্প নিয়ে– বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ৷ এর মধ্যে এক ‘মেনি ফেস গড’-এর উপাসকদের সাথে ভিড়ে দৃষ্টিশক্তি হারায় সে৷
ছবি: Macall B. Polay/HBO
দুষ্টু রাণিমা
রাজরাজড়াদের গল্পে একজন দুষ্টু সৎমা না থাকলে কি জমে? এক্ষেত্রে অবশ্য সৎমা না, খলনায়িকার চরিত্র নিয়েছেন রাণিমাতা সারসেই ল্যানিস্টার৷ চক্রান্তের শিরোমণি সারসেই ধীরে ধীরে পুরো ল্যানিস্টার পরিবার ও আয়রন থ্রোনের ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নেয়৷ অনাচারের অপরাধে তাঁকে শাস্তি দেয় রাজার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া ধর্মীয় সংগঠন৷ তবে তার চরম প্রতিশোধও নেন সারসেই৷
ছবি: Helen Sloan/HBO
অবৈধ যৌন সম্পর্ক
সারসেইয়ের অনেক কুৎসিত দিকের মধ্যে একটি হলো আপন ভাই জেমির সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া৷ সারসেইয়ের তিন সন্তানের বাবা জেমি৷ তবে রাজ পরিবার বরাবরই তা অস্বীকার করে এসেছে৷ রাজসেনার কমান্ডার জেমি বরাবরই চক্রান্ত থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন৷ ‘গেম অব থ্রোনস’-এ তার চরিত্র খলনায়কের হলেও অন্যদের চেয়ে তিনি একটু আলাদাই৷
ছবি: Helen Sloan/HBO
ঘরের শত্রু বিভীষণ
টিরিয়ান ল্যানিস্টার সারসেই ও জেমির ছোট ভাই৷ ওয়াইনে আসক্ত এই বামন চরিত্রকে অনেকেই সিরিজের সিক্রেট হিরো হিসেবে দেখতে ভালোবাসেন৷ শারীরিক দুর্বলতাকে টাইরিওন তাঁর অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তি দিয়ে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন৷ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাঁর করা মন্তব্য ‘গেম অব থ্রোনস’ ভক্তরা প্রায়ই উদ্ধৃত করেন৷
ছবি: picture-alliance/AP/HBO/H. Sloan
মাদার অব ড্রাগন
‘গেম অব থ্রোনস’ না দেখলেও সুন্দরী ড্যানেরিস টারগারিয়ানকে তো চেনারই কথা৷ ওয়েস্টেরসের ইতিহাসে কয়েক শতকের মধ্যে তিনিই প্রথম তিনটি ড্রাগনের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটাতে সমর্থ হন৷ আয়রন থ্রোন বা লৌহ সিংহাসনে নিজের পরিবারের দাবি প্রতিষ্টায় তাঁর মূল অস্ত্র এই তিন ড্রাগন৷ সিজন সেভেনের শেষে জন স্নো’র সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ড্যানিয়ারিস৷ কিন্তু তাঁদের কেউই জানেন না, জন আসলে ড্যানিয়ারিসের ভাগ্নে৷
ছবি: Macall B. Polay/HBO
7 ছবি1 | 7
রিচার্ড হজেন শুটিং-এর কিছু রহস্য উন্মোচন করে বলেন, ‘‘পেছনে আপনারা টেলিভিশন শিল্পের দুটি জাদুময় শব্দ দেখতে পাচ্ছেন, আর তা হলো ‘গ্রিন স্ক্রিন'৷ সেই পর্দার উপরই ম্যাজিক ঘটে৷ সবুজ পর্দা ব্যবহার করে টেলিভিশন শিল্প প্রয়োজনমতো যে কোনো প্রেক্ষাপট ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে৷ এ ক্ষেত্রে তারা টাওয়ারটি বেছে নিয়ে সামান্য রদবদল করে এভাবে শট বদলে দিয়েছে৷''
টলিমোর ফরেস্ট নামের জঙ্গলকে উইন্টারফেল দুর্গের সংলগ্ন এলাকায় রূপান্তরিত করা হয়েছে৷ আশেপাশের দুর্গের তুলনায় সেখানকার কিছু জায়গা সহজে চেনা যায়৷ যেমন শিমনা নদীর উপর আল্টাভেডি সেতু৷ সিরিয়ালে এই জায়গায় ‘ডায়ারউল্ফ' ছানাদের পাওয়া গিয়েছিল৷ কাহিনির পরের পর্যায়ে এই প্রাণীর একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷
আটটি সিজন বা মরসুমের পর কাল্পনিক এই সিরিয়াল শেষ হচ্ছে৷ তবে গেম অফ থ্রোনসের স্মৃতি ও শুটিং-এর ঘটনা কখনো মিলিয়ে যাবে না৷ টুরিস্ট গাইড হিসেবে রিচার্ড হজেন মনে করেন, ‘‘বেলফাস্ট তথা উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে গেম অফ থ্রোনসের নাম চিরকাল জড়িয়ে থাকবে৷ অর্থাৎ যতকাল এই শো-এর নাম মনে থাকবে৷ সারা জীবন উত্তর আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা হিসেবে আমি এ জন্য অত্যন্ত গর্বিত৷ অতীতে অনেক নেতিবাচক কারণের সঙ্গে এই প্রদেশের নাম জড়িয়ে পড়েছে৷ তাই ইতিবাচক ভাবমূর্তি পেয়ে খুব ভালো লাগছে৷''
কখনো হয়তো ওয়েস্টারস আবার উত্তর আয়ারল্যান্ডে ফিরে যাবে৷ গেম অফ থ্রোনসের কাহিনির আগের ইতিহাস নিয়ে একটি সিরিয়ালের পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে৷
যে জাদুময় জায়গায় হলো গেম অফ থ্রোনসের শ্যুটিং
পুরোনো সব দুর্গ, নুয়ে পড়া গাছে ঢাকা সর্পিল পথ, কিংবা কলকল বয়ে চলা বুনো ঝিরি, এমন সব মায়াময় জায়গায় শ্যুটিং হয়েছে বিখ্যাত টিভি সিরিজ গেম অফ থ্রোনস৷ এসব জাদুকরী জায়গার অনেকগুলোই নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে৷
ছবি: Courtesy of Tourism Northern Ireland
ক্যাসল ওয়ার্ড
যারা নিয়মিত ‘গেম অফ থ্রোনস’ দেখেন, তাদের স্টার্ক ফ্যামিলির উইন্টারফেল ফরট্রেসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই৷ কিন্তু এই দুর্গটি আসলে কোথায়? নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ড ক্যাসলই হলো মুভি সিরিজটির উইন্টারফেল ফরট্রেস৷ পর্যটকদের জন্যও উন্মুক্ত৷ এমনকি সেখানে গিয়ে আপনি তির-ধনুক ছুঁড়তে পারবেন, কিংবা তলোয়ারের লড়াইয়েও অংশ নিতে পারবেন৷ রাজকীয় পোশাক আর ভোজও মিলবে৷
ছবি: Northern Ireland Tourism Board
অডলি’স ফিল্ড
ক্যাসল ওয়ার্ড থেকে একটু হেঁটে গেলেই মুভির আরেকটি লোকেশন৷ ল্যানিস্টারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় অডলি’স ফিল্ডে ক্যাম্প বসান রব স্টার্ক৷ হুইস্পারিং উডে এই যুদ্ধে জেইমি ল্যানিস্টারকে আটকও করেন তিনি৷ কিন্তু এর কিছু পরই নিজেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ‘রেড ওয়েডিং’-এ মারা যান রব৷
ছবি: Northern Ireland Tourism Board
টলিমোর ফরেস্ট
অডলি’স ফিল্ড থেকে ঘন্টাখানেক গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন টলিমোর ফরেস্টে৷ উইন্টারফেলের চারপাশের অনেক দৃশ্যের শ্যুটিং এখানে হয়েছে৷ স্টার্ক পরিবারের শিশুরা এখানেই ছায়া নেকড়ের বাচ্চাদের খুঁজে পায়৷ ‘গেম অফ থোর্নস’ ফ্যানদের জন্য এ জায়গাটি ভ্রমণের বিকল্প নেই৷
ছবি: Northern Ireland Tourism Board
ডার্ক হেজেস
ডার্ক হেজেসের মাঝের রাস্তাটি এমন নির্জন অবস্থায় দেখা রীতিমতো বিরল ব্যাপার৷ দিনের বেলায় পর্যটকদের গাড়ি ও বাসে ভর্তি হয়ে যায়৷ রাজার উত্তরে গমনের পথ এটি৷ বাবার মৃত্যুর পর আরিয়া এই পথেই সিটি অফ আয়রন থ্রোন থেকে পালিয়ে আসেন এবং তাঁর দীর্ঘ কষ্টকর যাত্রা শুরু হয়৷
ছবি: Courtesy of Tourism Northern Ireland
কুশেনডুন কেইভস
৪০ কোটি বছরের চরম আবহাওয়া আজকের আয়ারল্যান্ডের উত্তর উপকূলের এই কাঠামো দাঁড় করিয়েছে৷ তৈরি হয়েছে কুশেনডুনের গুহা৷ গেম অফ থ্রোনসের দ্বিতীয় সিজনে এটি একটি শ্যুটিং লোকেশন ছিল৷ এখানেই লাল ধর্মযাজিকা মেলিসান্দ্রে অন্ধকার ছায়ার জন্ম দেন, যে কিনা পরে রেনলি বারাথেওনকে হত্যা করে৷
ছবি: Northern Ireland Tourism Board
শিলানাভোগি ভ্যালি
বেলফাস্টের ৩০ কিলোমিটার উত্তরে ঘোড়ায় চড়া ডথরাকিদের বাড়ি৷ ছবিতে যে পাহাড়টি দেখা যাচ্ছে, সেটির নাম স্লেমিশ৷ শক্তিশালী হর্সলর্ডদের অনেকগুলো দৃশ্যের শ্যুটিং এখানে হয়েছে৷
ছবি: Courtesy of Tourism Northern Ireland
পোর্টস্টুয়ার্ট স্ট্র্যান্ড
নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সবচেয়ে সুন্দর সমুদ্র সৈকতের একটি পোর্টস্টুয়ার্ট৷ জেইমি ল্যানিস্টার ও সের ব্রোন মুভিতে যে কোস্ট অফ ডর্নে মার্টেল গার্ডদের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন তার চিত্রধারণ করা হয়েছিল এখানেই৷
ছবি: Courtesy of Tourism Northern Ireland
বালিনটয়
বালিনটয়ের পোতাশ্রয়টি গেম অফ থ্রোনসের আয়রন দ্বীপপুঞ্জের মূল পাইক দুর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে৷ আশেপাশের গ্রামগুলোর কাছের সৈকতেও শ্যুটিং হয়েছে৷
ছবি: Northern Ireland Tourism Board
ল্যারিবেন
মুভিতে স্টর্মল্যান্ডসে ক্যাম্প বসান রেনলি বারাথিওন৷ ব্রিয়েনে অফ টার্থ এখানেই লোরাস টাইরেলকে একটি টুর্নামেন্টে পরাজিত করেন এবং রেনলি’স কিংসগার্ড খেতাব পান৷
ছবি: Courtesy of Tourism Northern Ireland
ডাউনহিল বিচ
এই দ্বীপের উত্তর দিকে খাড়া বাঁধের ওপর রয়েছে মুভির ড্রাগনস্টোন৷ একটি সফল বিদ্রোহের পর হাউস অফ টার্গারিয়েনের পূর্ববংশীয় আসনটি অল্প সময়ের জন্য বারাথেওনদের সম্পত্তি হয়ে যায়৷