‘‘দয়া কইরা আমারে এই দোজখ থাইক্যা নিয়া যান৷ এরা ভালা না৷ আমারে নাকি কিন্যা আনছে, দ্যাশে যাইতে দেয় না৷ ....লেবাননের কথা কইয়্যা আনছিল, কিন্তু এখানে খালি যুদ্ধ আর বোমের আওয়াজ৷ ঘুমাইতে পারি না, ঠিকমতো খাওনও দেয় না৷''
বিজ্ঞাপন
টেলিফোনে এভাবেই দেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন যুদ্ধকবলিত সিরিয়ায় পাচার হওয়া এক বাংলাদেশি নারী৷ লেবাননের একটি হাসপাতালে আয়ার কাজ দেওয়ার নাম করে তাকে আনা হয়েছিল৷ কিন্তু বর্তমানে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে গৃহকর্মী বা কাজের বুয়া হিসেবে কাজ করছেন এই নারী৷ বহুবার দেশে ফরে যেতে চাইলেও তাকে ফেরৎ পাঠানোর কোনো উদ্যোগ কেউ নেয়নি৷
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় আসা ঐ নারীর স্বামী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘মোবাইল ফোনো স্ত্রীর সঙ্গে ভাইবার মারফত একটি নম্বরে আমার কথা হয়েছিল৷ সেখানে সে একটি বাসায় কাজ করছে৷ এর আগে অবশ্য অন্য একটি বাসায় কাজ করতো সো৷ কিন্তু সেখানে তার ওপর নির্যাতন করা হয়৷ এরপর তাকে নাকি তিন হাজার ডলার দিয়ে কিনে নিয়েছেন এক নারী৷''
ড. তাসনিম সিদ্দিক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করা সংগঠন রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিচার্স ইউনিটের (রামরু) পরিচালক ড. তাসনিম সিদ্দিক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমারা যখন জানতেই পেরেছি, তখন আমাদের উচিত সিরিয়ায় বসবাসকারী এ সব নারীদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা৷ না হলে নারী অভিবাসনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে৷ আমাদের স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথভাবে কমিটি করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে৷ শুধু তাই নয়, ঠিক কী ব্যবস্থা নেয়া হলো তা সংশ্লিষ্টদের জানাতেো হবে৷''
গত ১৩ই জানুয়ারি সিরিয়া থেকে অসুস্থ অবস্থায় ফেরত আসেন রাজবাড়ীর আরেক নারী৷ প্রায় দুই বছর তিনি সিরিয়ায় ছিলেন৷ সেখানে বস্তুত তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল৷ তাঁর কথায়, ‘‘সিরিয়ায় নারীদের জোর করে ঘরের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ একই সঙ্গে জোর করে তাঁদের ওপর চালানো হচ্ছে যৌন নির্যাতন৷ এরপরও অনেকে মুখ বুজে সেই সব নির্যাতন সহ্য করছেন৷''
তিনি আরো জানান, রাজবাড়ীর জাহের নামে একজন দালালকে তিনি লেবাননে যাওয়ার জন্য ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর তিনি জানতে পারেন যে, তাঁকে সিরিয়ায় পাঠানো হয়েছে৷ কোন শহর থেকে কীভাবে তাঁকে সেখানে নেয়া হয়, তা তিনি বলতে পরেননি৷
কেমন আছে অন্য দেশের গৃহকর্মীরা?
বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের অবস্থা কখনই ভালো ছিল না, এখনও নেই৷ তাঁদের রক্ষায় নেই কোনো আইন৷ কিন্তু বিশ্বের আর অন্যান্য দেশে তাঁদের কী অবস্থা? সেই তথ্যই থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/empics/L. Hurley
পাঁচ কোটি ৩০ লক্ষ
২০১৩ সালে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, আইএলও-র এক প্রতিবেদন বলছে, সারা বিশ্বে গৃহকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৫৩ মিলিয়ন৷ এর মধ্যে ৮৩ শতাংশই নারী৷ তবে প্রকৃত সংখ্যাটি যে আরও কয়েক মিলিয়ন বেশি হতে পারে, সে কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে৷ এদিকে ১৫ বছরের কমবয়সি শিশু গৃহকর্মীদের সংখ্যা আইএলও-র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি – ২০০৮ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ৭৪ লক্ষ৷
ছবি: AP
আইনের বাইরে
আইএলও-র প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের গৃহকর্মীদের প্রায় ৩০ শতাংশই শ্রম আইনের সুবিধাবঞ্চিত৷
ছবি: DW
সাপ্তাহিক ছুটি
বিশ্বের প্রায় অর্ধেক (৪৫ শতাংশ) গৃহকর্মী সাপ্তাহিক ছুটি পান না৷ তাছাড়া তাঁদের এমন কোনো বার্ষিক ছুটি নেই, যার জন্য তাঁদের অর্থ প্রাপ্য (পেইড লিভ)৷
ছবি: DW/M. Krishnan
প্রসূতি সুরক্ষা
প্রতি তিনজনের একজন গৃহকর্মী এই সুবিধা পায় না বলে জানিয়েছে আইএলও৷
ছবি: Sam Panthaky/AFP/Getty Images
বছরে ৮ বিলিয়ন ডলার!
গৃহকর্মী মানেই যেন কম টাকা দিয়ে বেশি ঘণ্টা কাজ করানো৷ এভাবে গৃহকর্মীদের প্রতারিত করে তাঁদের নিয়োগদাতারা অবৈধভাবে বছরে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে বলে জানিয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স ফেডারেশন’৷
ছবি: imago/imagebroker
‘কাফালা’ যেন দাসপ্রথার অন্য রূপ
গাল্ফ দেশগুলোতে এই ব্যবস্থা থাকার কারণে গরিব দেশ থেকে সেখানে যাওয়া গৃহকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তাঁদের নিয়োগদাতাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারে না৷ কারণ কাফালা ব্যবস্থার কারণে নির্যাতিতরা চাইলেও নিয়োগদাতার ছাড়পত্র ছাড়া দেশ ত্যাগ করতে পারেন না৷ ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন’ এই অবস্থাকে দাসত্বের সঙ্গে তুলনা করেছে৷ আইএলও-র হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে গৃহকর্মীর সংখ্যা প্রায় ২১ লক্ষ৷
ছবি: AP
হংকংয়ে গৃহকর্মীদের অবস্থা
তিন হাজার গৃহকর্মীর উপর চালানো এক জরিপে উত্তরদাতাদের প্রায় ৫৮ শতাংশ বলেছে, তাঁদের মৌখিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে৷ ১৮ শতাংশ তাঁদের উপর শারীরিক নির্যাতনের কথা বলেছে৷ আর যৌন হয়রানির কথা জানিয়েছে ৬ শতাংশ৷
ছবি: Miguel Candela/TRANSTERRA
বাড়ি তো নয়, যেন কারাগার!
উন্নত দেশ অস্ট্রেলিয়াতেও ভালো নেই গৃহকর্মীরা৷ ২০১৪ সালের এক প্রতিবেদনে সেখানে গৃহকর্মীদের সর্বোচ্চ ১৬ ঘণ্টা কাজ করানো, বেতন না দেয়া ও শারীরিক নির্যাতনের কথা বলা হয়েছে৷ প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ার ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়িগুলোকে ‘কারাগার’-এর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে৷
ছবি: Fotolia/apops
একা বাড়ির বাইরে নয়
না, ছোট্ট শিশুদের কথা বলা হচ্ছে না৷ ইংল্যান্ডের মতো দেশে প্রায় ৬০ শতাংশ গৃহকর্মীদের একা বাড়ির বাইরে যেতে দেয়া হয় না বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ‘কালায়ন’৷
ছবি: picture-alliance/dpa/empics/L. Hurley
9 ছবি1 | 9
আসলে গৃহকর্মী অথবা হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে নারীদের সিরিয়ায় পাঠানো হয়েছে, হচ্ছে৷ প্রথমে ঢাকা থেকে দুবাই, তারপর দুবাই থেকে ওমানের রাজধানী আম্মান৷ তারপর আম্মান থেকে এ সব নারীদের বিমানে নিয়ে যাওয়া হয় সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পর্যন্ত ৭৯ জন নারীকে যুদ্ধকবলিত সিরিয়ায় পাচার করা হয়েছে৷ মন্ত্রণালয় জানায় যে, এঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই৷
গোলাম সারোয়ার
এদিকে র্যাব জানায়, বাংলাদেশের কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে মিলে নারী পাচার করছে৷ র্যাব-এর পক্ষ থেকে বিদেশে নারী কর্মী পাঠানোর নামে সিরিয়ায় পাচার হওয়া নারীদের নামের তালিকা ও পাসপোর্টের ফটোকপি পাঠানো হয়৷ এই পাচার-চক্রের সঙ্গে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্সি, যেমন আল-রাবেতা ইন্টারন্যাশনাল, আল-হাসিব ইন্টারন্যাশনাল, সিকদার ট্রাভেলস, বাংলাদেশ এক্সপার্ট কর্পোরেশন, হাসান ইন্টারন্যাশনাল ও নামিরা ওভারসিজ-এর কর্মকর্তা ও দালালসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তারও করে র্যাব৷ তবে দুঃখের বিষয়, ইতিমধ্যে এরা সকলেই জামিনে মুক্তি পেয়ে গেছে৷
র্যাব ৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম সারোয়ার অবশ্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পাচারের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে তারা সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছেন৷ এ বিষয়ে দু'টি মামলা হয়েছে এবং দু'টি মামলারই তদন্ত চলছে৷ পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাচারকৃত নারীদের উদ্ধার করার চেষ্টাও চলছে৷ তবে সিরিয়ায় বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস না থাকায় কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে৷''
বন্ধুরা, সিরিয়া থেকে এই সব নারীদের কীভাবে উদ্ধার করা সম্ভব? জানান মন্তব্যের ঘরে৷
বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের দুর্দশার কথা
পশ্চিমা বিশ্ব যখন ঘরের কাজে রোবট ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে, বাংলাদেশে তখনও ঘরের কাজ করছেন গৃহকর্মীরা৷ মাসে তাঁদের গড় বেতন ৫১০ টাকা, কাজ করতে হয় কমপক্ষে দশ ঘণ্টা৷ আর ঘুমাতে হয় রান্না ঘরের মেঝেতে৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/Godong
মাসিক বেতন ৫১০ টাকা
পশ্চিমা বিশ্ব এখন ঘরের কাজে রোবট ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে৷ এই নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা৷ তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভিন্ন৷ সেদেশে ঘরের কাজের জন্য অধিকাংশ বাড়িতে রয়েছেন গৃহকর্মী৷ যাঁদের মাসিক গড় বেতন ৫১০ টাকা৷ আর দিনে কাজ করতে হয় কমপক্ষে দশ ঘণ্টা৷
ছবি: imago/Michael Westermann
৮৩ শতাংশ নারী
ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন বা আইটিইউসি ২০১২ সালে বাংলাদেশের গৃহকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে গৃহকর্মীর সংখ্যা বিশ লাখের মতো৷ এঁদের মধ্যে ৮৩ শতাংশ নারী, যাঁদের অনেকে বয়সে শিশু কিংবা তরুণী৷
ছবি: imago/imagebroker
মেঝেতে ঘুমানো
আইটিইউসি-র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গৃহকর্মীদের মধ্যে ৩৩ শতাংশ রাতে রান্নাঘরে ঘুমান৷ এছাড়া বসার এবং শোয়ার ঘরের মেঝেতে ঘুমান গড়ে ২০ শতাংশ করে গৃহকর্মী৷ কারো কারো আবার ঘুমাতে হয় স্টোর রুমে৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
অন্যায়, নির্যাতন
অধিকাংশ গৃহকর্মী বা কাজের মেয়ে পড়ালেখার সুযোগ পান না৷ বিনোদনেরও অভাব রয়েছে৷ কমপক্ষে ৫৩ শতাংশ গৃহকর্মীর সঙ্গে বাজে ভাষায় কথা বলা হয়৷ কাজ হারানোর আতঙ্কও কাজ করে তাঁদের মধ্যে৷ যৌন নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মীর সংখ্যা ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: Fotolia/Miriam Dörr
প্রাণহানি
২০০১ থেকে ২০১০ সাল সময়কালের মধ্যে বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে কমপক্ষে ৩৯৮ গৃহকর্মী প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ লেবার স্টাডিজ বা বিলস৷ এছাড়া নির্যাতনে আহত গৃহকর্মীর সংখ্যা ২৯৯৷ আইটিইউসি-র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বাংলাদেশ বিষয়ক বিভিন্ন তথ্যের উৎস বিলস এবং ‘গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক’৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: Fotolia/GrafiStart
জনসচেতনতা সৃষ্টি
গৃহকর্মীদের অধিকারের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন উদ্যোগও রয়েছে বাংলাদেশে৷ ‘গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক’ এক্ষেত্রে সক্রিয়৷ এই নেটওয়ার্ক ১৪ বছরের কম বয়সিদের গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে৷
ছবি: imago/epd
ঘরে আটকে রাখা নয়
বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলো অনেক সময় গৃহকর্মীদের ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে বাড়িতে তালা দিয়ে রাখা হয়৷ ‘গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক’ এই কাজের তীব্র বিরোধীতা করেছে৷ গৃহকর্মীদের সুরক্ষা নীতির আওতায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে নেটওয়ার্কটি৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: TAUSEEF MUSTAFA/AFP/Getty Images
শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি
গৃহকর্মী বা গৃহশ্রমিকদের ‘শ্রমিক হিসেবে’ স্বীকৃতি ও শ্রম আইনে তাঁদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে ‘গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক’৷ ‘বাংলাদেশ লেবার অ্যাক্ট-২০০৬’-এ গৃহকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি৷