1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চলেছে

৪ জুন ২০১১

সিরিয়ার হামা শহরেই শুক্রবার প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৩৪ জন বিক্ষোভকারী৷ প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে গত এগারো সপ্তাহের বিদ্রোহ যেন আরো রক্তক্ষয়ী হয়ে উঠছে, এবং সে দায়িত্ব পুরোপুরি সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর৷

Syrian protesters carry national flags as they demand that Syrian President Bashar Assad steps down during a sit-in near the Syrian Embassy in Amman, Jordan, Wednesday, June 1, 2011. A Syrian human rights official says the government has freed hundreds of political prisoners today, a day after issuing an amnesty. (AP Photo/Nader Daoud)
সিরিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলনছবি: AP

সিরিয়ায় টানা দমনপীড়ন

মিশর কিংবা তিউনিসিয়াকে ছাড়িয়ে, ইয়েমেনের পাশাপাশি, লিবিয়ার চেয়ে কিছুটা কম হলেও, একটানা মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে এই আরব দেশটিতে৷ অথচ সেদিকে ভালোভাবে নজর দেওয়ার মতো সময়ও যেন আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের, এমনকি গণমাধ্যমের নেই৷ সিরিয়ায় এই নিয়ে দ্বিতীয় আসাদের রাজত্ব৷ সিরিয়ার লেবাননে একটা ভূমিকা রয়েছে৷ হিজবোল্লার সঙ্গে সংযোগ আছে৷ গোলান হাইটস নিয়ে সিরিয়ার ইসরায়েলের সঙ্গে বিরোধ৷ সিরিয়া নিয়ে টান দেওয়াটা অনেকটা মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের অন্তঃস্থলে ঘা দেওয়া৷ সিরিয়া বদলালে মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের ছকটাই পাল্টে যেতে পারে৷ তাছাড়া আরব বিপ্লবের সুনামি যেভাবে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ছড়িয়েছে, একটির পর একটি দেশকে স্থিতিশীল করার সমস্যা দেখা দিচ্ছে, সেখানে সিরিয়া হঠাৎ ফেটে পড়ুক, এটা হয়তো সকলের কাম্য নয়৷

ছবি: AP

বাবার পথেই বাশার

বাশারের পিতা হাফেজ আল আসাদ ২৯ বছর আগে ঐ হামা শহরেই একটি সশস্ত্র ইসলামি বিদ্রেহ দমন করেছিলেন সেনা পাঠিয়ে৷ সেবার ত্রিশ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল৷ শহরের একাংশ মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল৷ এবারেও বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে জুম্মাবারের মিছিলকারীদের উপর গুলি চালানো হয়েছে৷ বিরোধীরা বলছে ৩৪ জনের নিহত হবার কথা৷ আরো শত শত মানুষ আহত হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে৷ এর মধ্যেই ‘শহীদদের' শেষকৃত্য শুরু হয়েছে৷ এটাই হল সিরিয়ার নতুন ট্র্যাজিক ধারা: যতো বেশি মানুষের প্রাণ যাবে, ত'তো বেশি মানুষ পথে নামবে৷ আরব বিশ্বে কেন, সারা বিশ্বেই হয়তো এটা অভূতপূর্ব৷

‘খুনীদের সঙ্গে কোনো আপোষ নেই'

দক্ষিণের দেরা শহরে এই বিপ্লব শুরু হয়, এগারো সপ্তাহ আগে৷ সেখানেও নাকি গতকাল শত শত মানুষ কারফিউ থাকা সত্ত্বেও পথে নেমেছে, ‘খুনীদের সঙ্গে কোনো আপোষ নেই' ধ্বনি দিয়েছে৷ বিক্ষোভ, আন্দোলন সারা দেশ জুড়ে৷ গতকালের কথাই ধরা যাক৷ হামা, দেরা ছাড়াও মানুষ পথে নেমেছে উত্তর-পশ্চিমের ইদিব প্রদেশে, দামেস্কের বিভিন্ন শহরতলিতে, হোমস শহরে, পশ্চিমের মাদায়া, জাবাদানি ইত্যাদি শহরে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ