সিরিয়ায় পলাতক স্বৈরাচার বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর অতর্কিত হামলায় তারতুস অঞ্চলে ১৪ জন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর এটিই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা।
এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সিরিয়ার নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ১৪ জন পুলিশ নিহতের পাশাপাশি ১০ জন পুলিশ আহতও হয়েছেন। সিরিয়া ও সিরিয়ার নাগরিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিতকারীদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
এসএইচ/এসিবি (রয়টার্স)
সিরিয়ায় সমঅধিকার ও নিরাপত্তার দাবিতে নারীদের মিছিল
দেশটির উত্তর-পূর্বের শহর কামিশলিতে সোমবার পথে নামেন হাজার হাজার নারী৷ তাদের দাবি, নতুন সরকার নারীদের অধিকার নিশ্চিত করুক৷
ছবি: Orhan Qereman/REUTERS
সবুজে, লাল পতাকা হাতে
সিরিয়ার এই নারীদের দাবি, নতুন সরকার সিরিয়ায় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক৷ সাথে, তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে থাকা কুর্দি অঞ্চলে সামরিক শাসনেরও নিন্দা জানান তারা৷ মিছিলে উপস্থিত নারীদের হাতে ছিল কুর্দি সহমর্মী সংগঠন উইমেনস প্রোটেকশান ইউনিটস বা ওয়াইপিজে’র সবুজ-লাল পতাকা৷
ছবি: Orhan Qereman/REUTERS
কুর্দি সংযোগ যেখানে
১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্ক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে কুর্দিশ ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে, যাদের অংশীদার এই ওয়াইপিজে সংগঠনটিও৷ তুর্কি সীমান্তের কাছে সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা কোবানি শহরে তুর্কি বাহিনীর হামলার আশঙ্কার কথাও উঠে আসে নারীদের এই সমাবেশ থেকে৷
ছবি: Orhan Qereman/REUTERS
নতুন সরকার দামেস্কে, অতঃপর...
সিরিয়ার নারীরা আশঙ্কা করছেন যে, দেশটির নতুন সরকার ক্রমশ আরো কট্টর ইসলামি নীতির দিকে ঝুঁকবে, যার ফলে, সংখ্যালঘু ও নারীদের অধিকার লঙ্ঘিত হবে বলে তাদের আশঙ্কা৷
ছবি: Orhan Qereman/REUTERS
যা বলছে সিরিয়া কর্তৃপক্ষ
সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখপাত্র ওবায়েদা আরনুত গত সপ্তাহে বলেন যে, নারীদের ‘শারীরিক ও জৈবিক গঠনের’ কারণে তারা নির্দিষ্ট কিছু সরকারি চাকরির জন্য বেমানান৷
ছবি: Orhan Qereman/REUTERS
যা বলছে কুর্দি প্রশাসনের প্রতিনিধি
উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কুর্দিদের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের কর্মকর্তা হেমরিন আলি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সোমবার এই মিছিল থেকে বলেন, ‘‘হ্যাঁ, অবশ্যই ওয়াইপিজেকে সমর্থন করি৷ অবশ্যই নারীদের অধিকার রক্ষা ও উত্তর ও পূর্ব সিরিয়ায় নারী বিপ্লবের অগ্রগতিকে সমর্থন করি৷’’
ছবি: Orhan Qereman/REUTERS
সিরিয়ার বর্তমান রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও নারী
বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার ক্ষমতায় এসেছে তুরস্ক-ঘেঁষা ইসলামিস্টপন্থি হায়াত তাহরির আল-শাম গোষ্ঠী৷ একদা আল কায়েদা ঘনিষ্ঠ এই গোষ্ঠীর গোঁড়া সুন্নি ইসলামিস্ট চিন্তাধারার বিরোধী সিরিয়ায় বসবাসরত কুর্দিদের আদর্শ, যা সাম্যবাদ ও নারীবাদকে মিলিয়ে চলে৷ সেকারণেই বর্তমান সরকারের নারীদের প্রতি মনোভাবের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন হাজার হাজার নারী৷