1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানিদের হত্যা না করার আহ্বান

৭ অক্টোবর ২০১২

বিদ্রোহীরা তুরস্কের হাতাই প্রদেশের কাছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর একটি নিরাপত্তা ফাঁড়ি দখল করে নিয়েছে৷ এদিকে, বিদ্রোহীদের হাতে আটক ইরানিদের হত্যা না করার আহ্বান জানিয়েছে কাতার৷

Turkish military station at the border with Syria, across from Syrian rebel-controlled Tel Abyad town, right, in Akcakale, Turkey, Sunday, Oct. 7, 2012. (Foto:AP/dapd)
ছবি: dapd

তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার সামরিক নিরাপত্তা ফাঁড়ি দখল করতে সক্ষম হয়েছে বিদ্রোহীরা৷ এমনকি সেখানে বিদ্রোহীদের পতাকা উড়তেও দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ এবং বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিনিধি৷ বিদ্রোহীরা শনিবার দিনের শেষ দিকেই তিন তলা সাদা ভবনটি দখল করে নেয় এবং সেখানে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি'র পতাকা টাঙিয়ে দেয়৷ স্থানীয় বাসিন্দা মুসা সাসাক জানান, ‘‘গত চারদিন ধরেই এখানে তুমুল গোলাগুলি চলছিল৷ এমনকি আমরা ঘুমাতেও পারতাম না৷ গতকাল সকালেও এখানে সরকারি সেনারা ছিল৷ তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত৷''

অবশ্য এর পাশের হারাপজোজ গ্রামে এখনও সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষ চলছে বলে জানা গেছে৷ তবে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, তুরস্কের সাথে সীমান্তবর্তী এলাকার ৮০ শতাংশই এখন সিরিয়ার সরকারি সেনাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে৷

এদিকে, সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির সরকারি সেনারা দামেস্ক প্রদেশের কুদসায়া এবং হামেহ শহর থেকে বিদ্রোহীদের বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছে৷ ঐ এলাকায় ১০টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে অবজারভেটরি৷ এছাড়া সংস্থাটি বলছে, রবিবার তাল-আবিয়াদ, রাকা, আলেপ্পো, সাখুর এবং কালাসেহ এলাকায় সরকারি বাহিনী হামলা চালিয়েছে৷

অন্যদিকে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের হাতে আটক ৪৮ ইরানি নাগরিককে হত্যা না করার জন্য বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জাসিম আল-সানি৷ ইরান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মিত্র দেশ হলেও সিরিয়ার বিরোধীগোষ্ঠীগুলোকে সহায়তাকারী অন্যতম আরব দেশ কাতার যুদ্ধবন্দি হিসেবে ইরানিদের হত্যা না করার ডাক দিল৷ শেখ হামাদ আল জাজিরা টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘কাতারের রাষ্ট্রীয় নীতি অনুসারে বন্দিদের হত্যা করার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়৷ এছাড়া সিরিয়ার পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটুক সেটিও আমরা চাই না৷ আমরা স্বীকার করছি যে, সব পক্ষেরই কিছু দাবি-দাওয়া রয়েছে৷ কিন্তু তাই বলে বন্দিদের হত্যা করতে হবে তা মেনে নেওয়া যায় না৷''

উল্লেখ্য, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের আল-বারা ব্রিগেড প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের উপর চাপ বাড়াতে এসব ইরানি জিম্মিদের ব্যবহার করছে৷ তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের শর্ত মেনে না নিলে একে একে ইরানি জিম্মিদের হত্যা করার হুমকি দিয়েছে৷ তবে একদিন আগে ইরানও সিরিয়ায় আটক ইরানিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে৷

এএইচ / জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ