এক বিবৃতিতে এই হামলার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে হুমকি দিয়েছে সিরীয় সেনাবাহিনী৷
দেশটির সরকারি টেলিভিশন বলছে, উত্তর ইসরায়েলের ‘সি অফ গ্যালিলি’-র কাছের একটি এলাকা থেকে কয়েকটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়৷ এগুলো দামাস্কাসের কাছে মেজাহ সামরিক বিমানঘাঁটিতে এসে পড়েছে৷ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের এলিট ‘রিপাবলিকান গার্ড’ এই বিমানঘাঁটিটি ব্যবহার করে৷
আলেপ্পো-ঝলমলে প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর সিরিয়ার একটা শহর৷ সবসময় যেখানকার বাজার থাকতো সরগরম৷ আর এখন আলেপ্পো যেন এক ভুতূরে শহর৷ আলেপ্পোতে গৃহযুদ্ধের আগের ও পরের কিছু ছবি থাকছে ছবিঘরে৷
৭১৫ সালে নির্মিত উমায়াদ মসজিদকে সিরিয়ার ‘মর্যাদাপূর্ণ স্থাপনা’ বলা হতো৷ এমনকি জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাতেও এর নাম রয়েছে৷
ছবি: Reuters/K. Ashawiসিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর ২০১৩ সালে হামলায় এই মসজিদও রেহাই পায়নি৷ প্রার্থনায় জায়গায়ও গোলাগুলি হয়৷ ২০১৬ সালের মার্চে একটি মিনার ধসে পড়ে৷ এখন জায়গাটি দেখলে একটা ধ্বংসস্তূপ মনে হয়৷
ছবি: Reuters/O. Sanadikiপুরানো আলেপ্পোর এই হাম্মাম পর্যটকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় স্থান বলে পরিচিত ছিল৷
ছবি: Reuters/K. Ashawiগৃহযুদ্ধ শুরুর পর এই জায়গাটির চেহারা দেখে বোঝাই যায় না কতটা আরামের জায়গা ছিল এটি৷ এখানে এখন পানি আর গোসল করার জিনিসের বদলে যুদ্ধের ভয়ংকর ক্ষত চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়৷
ছবি: Reuters/O. Sanadikiআলেপ্পোর কেল্লা বিশ্বের অন্যতম বড় ও পুরানো কেল্লার তালিকায় স্থান পেয়েছে৷ ১২শ’ শতাব্দীতে দুর্গটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়৷
ছবি: Reuters/S. Augerসময়ের সাথে লড়াই করে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকা দুর্গটি নিজের অধিবাসীদের ঝগড়া-বিবাদ সহ্য করতে পারেনি৷ যুদ্ধের প্রভাবে দুর্গটি তার পুরোনো জৌলুস হারিয়েছে৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে তোলা এই ছবিটি৷ পুরানো শহর তার চাকচিক্যে ঐতিহ্যে ঝলমল করছে৷
ছবি: Reuters/O. Sanadikiএই ছবিটি ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বরের৷ পুরানো শহরের চাকচিক্যের ছিটেফোটাও এখন আর নেই৷ যেন এক ভুতূরে নগরী৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki২০০৯ সালের ডিসেম্বর, এই মল ক্রিসমাসের জন্য সাজানো হয়েছিল৷ ২০০৮ সালে নির্মিত এই শপিং মলের সাজ সজ্জা দেখতেই অনেক লোক এখানে যেতো৷
ছবি: Reuters/K. Ashawiগুগলে যদি এখন এই নামটি সার্চ করেন, তবে লেখা দেখবেন ‘চিরকালের জন্য বন্ধ’ ৷ ২০১৪ সালে হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় মলটি৷
ছবি: Reuters/A. Ismailআল-জারাব বাজার এর প্রধান দরজা৷ পুরোনো আমলের এই বাজারে ছবিটি ২০০৮ সালে তোলা৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে বাজারের এই ছবিটি তোলা হয়েছে৷ বাজারের বেশিরভাগ অংশই বিধ্বস্ত হয়েছে হামলায়৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki সিরীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এ সব তথ্য জানায় দেশটির সরকারি টেলিভিশন৷ তবে হামলায় হতাহতের সংখ্যা জানানো হয়নি৷ অবশ্য বার্তা সংস্থা ডিপিএ সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র দিয়ে বলছে, হামলায় চারজন নিহত হয়েছে৷
এদিকে, সিরিয়ার ভেতরে হামলার কথা স্বীকার কিংবা প্রত্যাখ্যান, কোনোটাই করেনি ইসরায়েল৷ দেশটির সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমরা এ ধরনের সংবাদ নিয়ে মন্তব্য করিনা৷’’
আগেও হামলা হয়েছে
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে বেশ কয়েকবারই রকেট হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল৷ মূলত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সিরীয় সরকারকে সহায়তা করা হেজবুল্লাহ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এসব হামলা করেছে ইসরায়েল৷ পূর্ব আলেপ্পো থেকে বিদ্রোহীদের সরাতে সিরীয় সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছে হেজবুল্লাহ৷ এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ২০০৬ সালে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল ইসরায়েল৷
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে হেজবুল্লাহর অন্যতম শীর্ষ নেতা সামির কান্তারকে হত্যা করেছিল ইসরায়েল৷ এছাড়া ঐ বছরেরই গোড়ার দিকে আকাশ থেকে হামলা চালিয়ে হেজবুল্লাহর ছয় সদস্যকে হত্যা করেছিল দেশটি৷
জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)