অ্যামেরিকা ‘নিষ্ক্রিয়'৷ রাশিয়া সিরিয়ায় সামরিক কার্যকলাপ বাড়াচ্ছে৷ বাশার আল-আসাদকে পছন্দ না করলেও পশ্চিমা জগত হয়ত সাময়িকভাবে তাঁকে বরদাস্ত করবে৷ এ অবস্থায় বিভিন্ন সম্ভাব্য পরিণতি উঠে আসছে৷
বিজ্ঞাপন
সিরিয়ার সংকট আর উপেক্ষা করা যাচ্ছে না৷ একদিকে ইউরোপে শরণার্থীদের ঢল নেমেছে, অন্যদিকে রাশিয়া সিরিয়ার উপর প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মধ্যপ্রাচ্য থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছেন বলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে এগিয়ে এসেছেন – এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে৷ এমন সংকটের ক্ষেত্রে অ্যামেরিকা সক্রিয় সামরিক ভূমিকা পালন করলে সমালোচনার মুখে পড়ে, যেমনটা ইরাক ও আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে ঘটেছিল৷ অন্যদিকে সামরিক অভিযান সম্পর্কে ওবামা প্রশাসনের অনীহাও তোপের মুখে পড়ছে৷ তবে সিরিয়ায় যে কিছু একটা করা দরকার, ওবামা নিজেও সেটা বুঝছেন৷
শরণার্থীদের ঢল নামার কারণে ইউরোপ সরাসরি সিরিয়া সংকটের পরিণাম টের পাচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা ফেডেরিকা মোগেরিনি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন৷
জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিরিয়া সংকটের সমাধানের ক্ষেত্রে অ্যামেরিকা ও রাশিয়া ছাড়াও আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে শামিল করা উচিত বলে মনে করে৷
সিরিয়ার ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন ও মস্কোর স্বার্থ ও নীতি বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন সম্ভাব্য প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন বিখ্যাত সাংবাদিক টমাস ফ্রিডম্যান৷
ব্রেট ডেবরিৎস সিরিয়ায় বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে ওবামার ভূমিকা নিয়ে লেখা একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন৷
‘ওবামা ডকট্রিন' কি সত্যি বিফল হচ্ছে? এ বিষয়ে লেখা একটি সংবাদভাষ্য শেয়ার করেছেন কার্ল বারাল্ড৷
সিরিয়ার মধ্যেই শরণার্থীদের জন্য নিরাপদ এলাকা চিহ্নিত করার প্রস্তাব সম্পর্কে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সংশয় প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর এই অবস্থানের প্রশংসা করে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন এসিন৷
আসাদ সম্পর্কে বিশ্ব নেতাদের বক্তব্য
সিরিয়ায় চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংকটের সমাধান চান বিশ্বের প্রায় সব নেতাই৷ কিন্তু কীভাবে? সমাধান পরিকল্পনা নিয়ে তাঁদের মধ্যে রয়েছে চরম মতভেদ৷
ছবি: Reuters/P. Wojazer
যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সোমবার যে বক্তব্য দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সেখানে তিনি সিরিয়া সংকট নিরসনে একটি রাজনৈতিক সমাধানের উপর গুরুত্ব আরোপ করতে পারেন৷ তবে এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে চান না প্রেসিডেন্ট ওবামা৷
ছবি: Reuters
রাশিয়া
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন মনে করেন, সিরিয়ার সংকট সমাধানে সে দেশের বর্তমান সরকারি কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার বিকল্প নেই৷ অর্থাৎ আসাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে রাশিয়ার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Druzhinin
ইরান
প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি বলেন, জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস এর বিরুদ্ধে লড়তে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদকে অবশ্যই ক্ষমতায় থাকতে হবে এবং তাঁর সরকারকে দুর্বল করা যাবে না৷
ছবি: picture-alliance/Geisler-Fotopress
যুক্তরাজ্য
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের অংশ হতে পারেন আসাদ, কিন্তু দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনীতির অংশ নয়৷
ছবি: Reuters/J. Giles
জার্মানি
চ্যান্সেলর আঙ্গেরা ম্যার্কেল বলেছেন, সিরিয়ার সংকট নিরসনের চেষ্টা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে নিয়েই করতে হবে৷ তাঁর মতে, আসাদকে দূরে রেখে সিরিয়া এবং সিরিয়ার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোয় শান্তি ফেরানো সম্ভব নয়৷
ছবি: Reuters/M. Segar
তুরস্ক
প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোলু বলেন, সিরীয়রা তাদের সংকটের সমাধান যেভাবে চাইবে, তুরস্ক সেটা সমর্থন করবে৷ তবে সেখানে আসাদ থাকতে পারবে না৷
ছবি: Reuters/Umit Bektas
ফ্রান্স
ইরানি প্রেসিডেন্ট রোহানির সঙ্গে বৈঠকের সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ বলেন, সিরিয়ার সমস্যা সমাধানে ইরান সহায়তা করতে পারে, তবে প্রেসিডেন্ট আসাদ তার অংশ হতে পারেন না৷