1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া সংঘাতে জড়াবে?

২১ জুন ২০১৭

রবিবার একটি সিরীয় আর্মি জেট ভূপাতিত করার দুই দিন পর ইরানের তৈরি একটি ড্রোনেরও একই পরিণতি করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী৷ ড্রোনটিতে অস্ত্র ছিল বলে দাবি তাদের৷

ছবি: Reuters/Navy Media Content Services

পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, সিরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে উড়তে থাকা মার্কিন এফ-১৫ বিমান ইরানি ঐ ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করে৷ পেন্টাগন মুখপাত্র নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস জানান, ড্রোনটিতে ‘ডার্টি উইংস' ছিল, যার অর্থ হচ্ছে অস্ত্র৷ ইরানের তৈরি ড্রোনটি মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটবাহিনীর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল বলেও জানান তিনি৷ তবে ড্রোনটি কে পরিচালনা করছিল পেন্টাগনের ঐ মুখপাত্র সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানাননি৷

এর আগে রবিবার সিরিয়ার একটি আর্মি জেট ভূপাতিত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাকা শহরের কাছে এই ঘটনা ঘটে৷ যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বাহিনীর কাছে বোমা ফেলার প্রতিক্রিয়ায় ঐ হামলা চালায় দেশটি৷ সিরীয় ঐ জেটটিতে পাইলট ছিলেন৷ ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম মানুষচালিত একটি জেট ভূপাতিত করল যুক্তরাষ্ট্র৷ ঘটনাটিকে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘আগ্রাসন' হিসেবে দেখছে রাশিয়া৷

উল্লেখ্য, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করছে দেশটি৷ ফলে সেখানে সৈন্য, বিমান ও অস্ত্রশস্ত্র পাঠিয়েছে রাশিয়া৷ ইউফ্রেতিস নদীর পশ্চিম তীরে রুশ বাহিনীর অবস্থান৷ নদীটি রাকা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে৷ মার্কিন হামলায় রাকায় সিরীয় জেট ভূপাতিত হওয়ার পর রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে বলেছে, ইউফ্রেতিস নদীর পশ্চিম তীরে বিদেশি কোনো বিমান দেখলে সেটিকে ভূপাতিত করা হবে৷ এছাড়া সিরিয়ায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সংঘাত এড়াতে স্থাপিত যোগাযোগ ব্যবস্থাটিও স্থগিত করে দিয়েছে রাশিয়া৷

এসব ঘটনার প্রেক্ষিতেসিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে৷ ভবিষ্যতে এই উত্তেজনা প্রত্যক্ষভাবে দুই দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে৷ সাবেক ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তা জনাথন স্টিভেনসন বলছেন, ‘‘রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রত্যক্ষ দ্বন্দ্বের ঝুঁকি বেড়েছে৷'' ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইউএস স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আয়ান মর্গান বলেন, ‘‘পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ৷ দুই দেশের মধ্যে সংঘাত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়েছে৷''

তবে স্টিভেনসন ও মর্গান দুইজনই বলেন, সংঘাতের ঝুঁকি বাড়লেও দুই দেশ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে দিতে আগ্রহী হবে না, বলেই মনে করছেন তাঁরা৷ স্টিভেনসন বলেন, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে সিরিয়ায় আরও মার্কিন সেনা পাঠাতে হতে পারে– এই আশংকায় আর উত্তেজনা বাড়ুক তা হয়ত যুক্তরাষ্ট্র চাইবে না৷

মিশায়েল ক্নিগে/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ