এই খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ বলা হয়েছে, এই জঙ্গিদের নেতা ছিলেন ‘জিহাদী জন'৷ এরা ‘বিটলস'-এর সদস্য, এরা পশ্চিমা বন্দীদের নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দুই ব্রিটিশ জঙ্গির নাম প্রকাশ করেন৷ তারা হলেন, অ্যালেক্সান্ডা কোটি ও এল শাফি এলশেইখ৷
এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিলেন আরব বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক মোহাম্মেদ এমওয়াজি, যিনি জিহাদি জন নামে পরিচিত৷ তিনি ২০১৫ সালে সিরিয়ায় বিমান হামলায় মারা যান৷
মসুলের ধ্বংসাবশেষে নতুন প্রাণ
ইরাকের পূর্ব মসুলের একটি মাতৃসদন আল-খানসা হাসপাতাল৷ যুদ্ধের ভয়াবহতায় প্রায় নিশ্চিহ্ন এই হাসপাতালটিই মসুলবাসী প্রসূতির প্রধান সেবাকেন্দ্র৷ প্রতিদিন এই ধ্বংসাবশেষেই জন্ম নিচ্ছে নতুন প্রাণ৷
ছবি: Reuters/A. Lashkari
প্রাণের স্পন্দন
প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত আল-খানসা হাসপাতালের কিছু অংশই অবশিষ্ট আছে এখন৷ তারপরও এটিই এই শহরের সরকার পরিচালিত প্রধান মাতৃসদন৷ শুধু গত মাসেই এখানে প্রায় ১,৪০০ শিশু জন্ম নিয়েছে৷
ছবি: Reuters/A. Lashkari
রোগীর চাপ
জানুয়ারিতে জঙ্গিদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হাসপাতালটি চালু করা হয়৷ তখন থেকেই এখানে রোগী ও প্রসূতিদের প্রচণ্ড চাপ৷
ছবি: Reuters/A. Lashkari
ধ্বংসচিহ্ন
এই ছবিটি দেখলে বোঝার উপায় নেই এখানে কোনো হাসপাতাল দাঁড়িয়ে আছে৷ এমনই করুণ পরিণতি হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সদনটির৷ ২০১৪ সালে যখন ইসলামিক স্টেট বা আইএস মসুলের দখল নেয় তখন হাসপাতালটির একাংশ সাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল৷
ছবি: Reuters/A. Lashkari
ঔষধের জন্য হাহাকার
অধিকাংশ ঔষধ পুড়ে ছাই হয়েছে যুদ্ধের আগুনে৷ হাসপাতালটিকে নিজেদের ঔষধপত্র ও কাশির সিরাপের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করত আইএস৷ পরাজয় নিশ্চিত বুঝে তখন তারা এই গুদাম জ্বালিয়ে দেয় এবং বোমা মেরে হাসপাতালটি উড়িয়ে দেয়৷
ছবি: Reuters/A. Lashkari
ভগ্নদশা আইসিইউ
মাতৃসদনের আইসিইউ-এর একটি অংশ৷ আল-খানসা হাসপাতাল দখল নেবার সময় সেখানকার রোগী ও কর্মচারীদের বের করে দেয় আইএস৷ গুলি চালায় তাদের ওপর৷
ছবি: Reuters/A. Lashkari
হাসপাতালের অন্যান্য অংশ
যুদ্ধে একেবারে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে হাসপাতালের বিভিন্ন অংশ৷ খসে পড়েছে পলেস্তারা, ইটের গাঁথুনি৷
ছবি: Reuters/A. Lashkari
প্রয়োজন পুন:সংস্কার
হাসপাতালটির সংস্কার প্রয়োজন৷ সেজন্য প্রয়োজন অর্থের৷ ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখনো কোনো বরাদ্দ পাঠায়নি৷ আপাতত কয়েকটি এনজিও ও আশেপাশের মানুষদের সহায়তায় টিকে আছে এটি৷
ছবি: Reuters/A. Lashkari
নিজেরাই করছেন সংস্কার
হাসপাতালের লোকজনই আপাত সংস্কারের চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ ছবিতে তেমন একজনকেই দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/A. Lashkari
8 ছবি1 | 8
দুই জঙ্গির গ্রেফতারের খবর প্রথম প্রকাশ করে নিউইয়র্ক টাইমস৷ পত্রিকাটির রিপোর্টে বলা হয়, ইরাক সীমান্তের কাছে ইউফ্রেটিস নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স এই দুই জঙ্গিকে আটক করে৷
পত্রিকাটি আরো বলছে, গত মধ্য-জানুয়ারিতে জঙ্গিদের পাকড়াও করার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের জানানো হয়৷ পরে আঙুলের ছাপ ও অন্য বায়োমেট্রিক পরীক্ষা থেকে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়৷
গত বছরের জানুয়ারিতে কোটিকে জঙ্গি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র৷ তখন বলা হয়, কোটি বিটলসের একজন সদস্য এবং সম্ভবত জিহাদি জনদের সঙ্গে নির্দয়ভাবে বন্দিদের হত্যা ও নির্যাতনে শামিল ছিলেন৷
স্টেট ডিপার্টমেন্ট আরো বলে যে, কোটি ব্রিটিশ নাগরিকদের মধ্য থেকে আইএস-এর সদস্য সংগ্রহের কাজে নিযুক্ত ছিলেন৷
এলশেইখকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট তালিকাভুক্ত করে গত বছরের মার্চে৷ তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়৷
সিরিয়ার রাকায় প্রাণ ফিরছে
তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর ‘রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত ছিল সিরিয়ার রাকা শহর৷ গত অক্টোবরে সেটি মু্ক্ত করা হয়৷ এখন সেখানে ফিরছেন বাসিন্দারা৷
ছবি: DW/F. Warwick
ধ্বংসস্তূপ
ভাঙা ভবন, সড়ক, ইস্পাতে ঝুলে থাকা কংক্রিট – এ সবই এখন রাকা শহরের সাধারণ দৃশ্য৷ তবে মানুষজনের চলাফেরার জন্য সড়ক থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে৷
ছবি: DW/F. Warwick
ঘরে তৈরি বাহন
রাকা তো আর সাধারণ শহর নেই৷ ফলে নেই কোনো পরিবহণ৷ তাই এই পরিবার একটি বাক্সর নীচে চাকা বসিয়ে চলাফেরার কাজ সারছেন৷
ছবি: DW/F. Warwick
আর উপায় কী!
ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন, গণপরিবহন না থাকায় ছয় সদস্যের এই পরিবার ছোট্ট এক মোটর সাইকেলে গাদাগাদি করে বসেছে৷ পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্যটি কিন্তু পেছনের বাক্সে বসে আছে৷ দেখতে পাচ্ছেন?
ছবি: DW/F. Warwick
ভাঙা সেতু
ইউফ্রেটিস নদীর উপর থাকা সেতুটি আইএস ভেঙে ফেলেছিল যেন ‘সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস’ রাকায় আসতে না পারে৷ তাই বাধ্য হয়ে এখন এমন নৌকা করেই যাত্রী ও মোটর সাইকেল পারাপার চলছে৷
ছবি: DW/F. Warwick
খুব চাহিদা
রাকায় বাসিন্দারা ফিরে ঘরবাড়ি ঠিক করছেন৷ তাই ছবির মতো এই শ্রমিকদের এখন বেশ চাহিদা৷ কাজ পেতে রাস্তার ধারে বসে আছেন তাঁরা৷
ছবি: DW/F. Warwick
দু’টি কিনলে একটি ফ্রি!
শ্রমিকদের যেমন চাহিদা তৈরি হয়েছে তেমনি কফি, এনার্জি ড্রিংকস ইত্যাদিরও চাহিদা বেড়েছে৷ তাই তো এ রকম দোকানের এখন রমরমা অবস্থা৷
ছবি: DW/F. Warwick
ব্যক্তিগত মালামাল
এই পরিবার রাকায় ফিরে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে এই জাজিমটি খুঁজে পেয়েছেন৷ আরেক জায়গা থেকে ছেলের স্কুলের বইও পান তাঁরা৷
ছবি: DW/F. Warwick
বিস্ফোরক
রাকার বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকা বিস্ফোরক দ্রব্য এখনও মানুষের হুমকির কারণ হয়ে আছে৷ ছবিতে এই দুই শিশুকে ব্যবহৃত শেল হাতে দেখা যাচ্ছে৷