1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় ধর্মঘট ও সেনা-বিদ্রোহী লড়াই, নিহত ২২ জন

১১ ডিসেম্বর ২০১১

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের উপর চাপ বাড়াতে দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলে রবিবার ধর্মঘট পালিত হচ্ছে৷ অন্যদিকে, বিদ্রোহী সেনা সদস্যদের সাথে সরকারি বাহিনীর লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে৷ তিনটি প্রদেশে অন্ত ২২ জন নিহত হয়েছে৷

FILE - A pro-Syrian regime protester waves a Syrian flag as he stands in front of portrait of Syrian President Bashar Assad, during a protest against sanctions, Damascus, Syria, in this Dec. 2, 2011 file photo. Speaking to ABC's Barbara Walters in a rare interview that aired Wednesday, Dec. 7, 2011 President Bashar Assad maintained he did not give a command "to kill or be brutal." (AP Photo/Muzaffar Salman, File)
বাশার আল আসাদ বিরোধী এক বিক্ষোভকারীছবি: dapd

এতোদিন ধরে বিক্ষোভ চললেও ধর্মঘটের ঘটনা এটিই প্রথম

প্রায় নয় মাস ধরে গণতন্ত্রকামী জনতার বিক্ষোভ চলে আসছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে৷ তবে রবিবার সেই আন্দোলনের সাথে যোগ হলো বিরোধীদের ডাকে ধর্মঘট পালনের কর্মসূচি৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের যেসব নেটওয়ার্ক রয়েছে সেগুলোকেই ব্যবহার করা হয়েছে ধর্মঘট আহ্বানের মাধ্যম হিসেবে৷ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে শতভাগ ধর্মঘট পালিত হচ্ছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় সমন্বয়কারী পরিষদ এলসিসি৷

বিদ্রোহী সেনাদের সাথে সরকারি বাহিনীর লড়াইয়

এছাড়া ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠছে বিদ্রোহী সেনা গোষ্ঠী৷ তারা নিজেদের ‘মুক্ত সিরিয়ার সামরিক বাহিনী' তথা এফএসএ হিসেবে দাবি করছে৷ রবিবার বেশ কিছু অঞ্চলে তাদের সাথে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ জর্ডানের সীমান্তবর্তী বুসরা আল হারির এবং লুজাহ শহরে উভয় পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ের শব্দ শোনা গেছে বলে পার্শ্ববর্তী ইসরা শহর থেকে জানিয়েছেন আবু ওমার নামের এক বিরোধী মুখপাত্র৷ তিনি বলেন, ‘‘লুজাহ এলাকা বিদ্রোহী সেনাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ কারণ এটি পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় সাঁজোয়া যান কিংবা পদাতিক বাহিনী নিয়ে হামলা চালানো সরকারি বাহিনীর পক্ষে সম্ভব হবে না৷ এছাড়া এই এলাকায় বহু গুহা এবং গোপন পথ রয়েছে যেগুলো দিয়ে বিদ্রোহীরা দামেস্ক পর্যন্তও পৌঁছতে পারবে৷''

ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/dpa

রবিবার খুব ভোরের দিকে কফার তাখারিম অঞ্চলেও উভয় পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস৷ তারা আরো জানিয়েছে, বুসরা আল হারির শহরে সরকারি বাহিনীর তিনটি এবং কফার তাখারিম শহরে আরো দু'টি সামরিক যান ধ্বংস করেছে বিদ্রোহী সেনারা৷ উভয় পক্ষের এসব লড়াই থেকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন শীঘ্রই গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতির দিকে এগুচ্ছে সিরিয়া৷

এখনও সাধারণ মানুষকে মেরে চলেছে সরকারি বাহিনী

আরব লিগ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর আহ্বান সত্ত্বেও সাধারণ নিরস্ত্র মানুষের উপর সরকারি বাহিনীর উপর দমন-নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে৷ রবিবার সরকারি বাহিনীর হাতে অন্তত ২২ জনের প্রাণ হানির খবর দিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷  এছাড়া আগের দিন শনিবার সেখানে ১৪ জন নিহত হয়েছে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ