সিরিয়ায় ধর্মঘট ও সেনা-বিদ্রোহী লড়াই, নিহত ২২ জন
১১ ডিসেম্বর ২০১১![FILE - A pro-Syrian regime protester waves a Syrian flag as he stands in front of portrait of Syrian President Bashar Assad, during a protest against sanctions, Damascus, Syria, in this Dec. 2, 2011 file photo. Speaking to ABC's Barbara Walters in a rare interview that aired Wednesday, Dec. 7, 2011 President Bashar Assad maintained he did not give a command "to kill or be brutal." (AP Photo/Muzaffar Salman, File)](https://static.dw.com/image/15584524_800.webp)
এতোদিন ধরে বিক্ষোভ চললেও ধর্মঘটের ঘটনা এটিই প্রথম
প্রায় নয় মাস ধরে গণতন্ত্রকামী জনতার বিক্ষোভ চলে আসছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে৷ তবে রবিবার সেই আন্দোলনের সাথে যোগ হলো বিরোধীদের ডাকে ধর্মঘট পালনের কর্মসূচি৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের যেসব নেটওয়ার্ক রয়েছে সেগুলোকেই ব্যবহার করা হয়েছে ধর্মঘট আহ্বানের মাধ্যম হিসেবে৷ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে শতভাগ ধর্মঘট পালিত হচ্ছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় সমন্বয়কারী পরিষদ এলসিসি৷
বিদ্রোহী সেনাদের সাথে সরকারি বাহিনীর লড়াইয়
এছাড়া ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠছে বিদ্রোহী সেনা গোষ্ঠী৷ তারা নিজেদের ‘মুক্ত সিরিয়ার সামরিক বাহিনী' তথা এফএসএ হিসেবে দাবি করছে৷ রবিবার বেশ কিছু অঞ্চলে তাদের সাথে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ জর্ডানের সীমান্তবর্তী বুসরা আল হারির এবং লুজাহ শহরে উভয় পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ের শব্দ শোনা গেছে বলে পার্শ্ববর্তী ইসরা শহর থেকে জানিয়েছেন আবু ওমার নামের এক বিরোধী মুখপাত্র৷ তিনি বলেন, ‘‘লুজাহ এলাকা বিদ্রোহী সেনাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ কারণ এটি পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় সাঁজোয়া যান কিংবা পদাতিক বাহিনী নিয়ে হামলা চালানো সরকারি বাহিনীর পক্ষে সম্ভব হবে না৷ এছাড়া এই এলাকায় বহু গুহা এবং গোপন পথ রয়েছে যেগুলো দিয়ে বিদ্রোহীরা দামেস্ক পর্যন্তও পৌঁছতে পারবে৷''
রবিবার খুব ভোরের দিকে কফার তাখারিম অঞ্চলেও উভয় পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস৷ তারা আরো জানিয়েছে, বুসরা আল হারির শহরে সরকারি বাহিনীর তিনটি এবং কফার তাখারিম শহরে আরো দু'টি সামরিক যান ধ্বংস করেছে বিদ্রোহী সেনারা৷ উভয় পক্ষের এসব লড়াই থেকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন শীঘ্রই গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতির দিকে এগুচ্ছে সিরিয়া৷
এখনও সাধারণ মানুষকে মেরে চলেছে সরকারি বাহিনী
আরব লিগ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর আহ্বান সত্ত্বেও সাধারণ নিরস্ত্র মানুষের উপর সরকারি বাহিনীর উপর দমন-নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে৷ রবিবার সরকারি বাহিনীর হাতে অন্তত ২২ জনের প্রাণ হানির খবর দিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷ এছাড়া আগের দিন শনিবার সেখানে ১৪ জন নিহত হয়েছে৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম