1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজারেরও বেশি’

১৩ অক্টোবর ২০১২

সিরিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘ ও আরব লিগের আন্তর্জাতিক দূত লাখদার ব্রাহিমি সিরিয়ার সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য তুরস্ক গেছেন৷ তুর্কি কর্তৃপক্ষের সাথে আজ তাঁর বৈঠক করার কথা৷ এদিকে সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে৷

U.N. special envoy to Syria Lakhdar Brahimi gestures as he speaks to the media after a meeting with French President Francois Hollande at the Elysee Palace, Monday Aug. 20, 2012. (AP/Photo/Michel Euler)
ছবি: AP

রাশিয়া থেকে সিরিয়াগামী যাত্রীবাহী বিমান হতে সন্দেহজনক মালামাল আটক করার পর থেকে সিরিয়া-তুর্কি উত্তেজনা আরো বাড়ছে৷ চলছে কূটনৈতিক বাক্যবাণ৷ এছাড়া শুক্রবার তুর্কি সীমান্তের কাছে আজমারিন শহরে সিরিয়ার হেলিকপ্টার থেকে গোলা হামলা চালানো হলে ঐ এলাকায় যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে তুর্কি সরকার৷ এমন অবস্থায় সিরিয়ার সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরব থেকে তুরস্ক গেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষ দূত ব্রাহিমি৷ সৌদি আরবে ব্রাহিমি বাদশা আব্দুল্লাহর সাথে বৈঠক করেন৷ সৌদি বাদশা আব্দুল্লাহ সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধ এবং যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ার প্রায় ২৫ লাখ মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠানোর ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহিমির মুখপাত্র আহমাদ ফাউজি৷

এদিকে, মস্কো যাত্রীবাহী বিমানে করে সিরিয়ায় সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছিল বলে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড৷ তিনি বলেন, ওয়াশিংটন স্বীকার করছে যে, দামেস্কগামী বিমানে সেসব সরঞ্জাম পাঠিয়ে মস্কো কোন আইন ভঙ্গ করেনি, কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ড নীতিগতভাবে তিরষ্কারযোগ্য৷ এটি তাদের ‘নীতিগত দেউলিয়াপনা'৷ নুল্যান্ড জোর দিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের কোন সন্দেহ নেই যে, ঐ বিমানে থাকা সরঞ্জামগুলো ছিল মারাত্মক সামরিক উপকরণ৷ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা সবাই এজন্য কাজ করছে যে, আসাদ প্রশাসন যেন বাইরে থেকে কোন সহায়তা না পায়৷ আমরাও প্রায় এক বছর ধরে বলে আসছি যে, কোন দায়িত্বশীল রাষ্ট্র যেন আসাদ প্রশাসনের যুদ্ধকাঠামোকে শক্তিশালী করতে সহায়তা না করে৷''

সিরিয়াগামী এই বিমানটিকে আটকে দেয় তুর্কি কর্তৃপক্ষছবি: picture-alliance/dpa

তবে দামেস্কগামী ঐ বিমানে ঠিক কী ধরণের মালামাল ছিল তা নুল্যান্ড স্পষ্ট করে না বললেও এ ব্যাপারে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ‘‘এগুলো ছিল রাডার স্টেশনের জন্য পাঠানো বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি সামগ্রী৷ এগুলো দ্বিমুখী কাজের উপযোগী যন্ত্রপাতি এবং এগুলো সরবরাহ করা কোন আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ নয়৷''

প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চ মাস থেকে চলমান সংঘাতে সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে শনিবার এক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস৷ নিহতদের মধ্যে ২৩ হাজার ৬৩০ জন বেসামরিক মানুষ, ৮২১১ জন সৈনিক এবং ১২৪১ জন বিদ্রোহী রয়েছে৷ অবশ্য, অবজারভেটরির পরিচালক রামি আব্দেল রহমান বলেছেন, ‘‘এখন যুদ্ধ বন্ধ হলে এবং সঠিকভাবে খোঁজখবর চালালে দেখা যাবে এই সংঘাতে নিহতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি৷''

এএইচ / আরআই (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ