ইসলামিক স্টেট(আইএস) প্রধান আবু হুসেইন আল-কুরেশি নিহত। দাবি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের।
বিজ্ঞাপন
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তার দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এমআইটি-র অপারেশনে আল-কুরেশির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সিরিয়ায় এই অপারেশন চলে।
এর্দোয়ানের দাবি, তাদের গোয়েন্দা সংস্থা বেশ কিছুদিন ধরে আল-কুরেশির গতিবিধি ট্র্যাক করছিল।
তুরস্কের স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্ট, উত্তর সিরিয়ার শহর জান্দারিসে এই অপারেশন চালানো হয়। এই অঞ্চলটি তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীদের দখলে আছে। কিছুদিন আগে তুরস্ক ও সিরিয়ায় যে ভয়ংকর ভূমিকম্প হয়, তখন এই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, শনিবার পুরো এলাকাটা নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে ফেলে। কাউকে ওই দিকে যেতে দেয়া হয়নি। শনিবার রাতে তারা গুলির আওয়াজ পান। একঘণ্টা পরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন।
আইএস প্রধানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের কিছু দৃশ্য
বুধবার মাঝরাতে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অভিযানে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-হাশেমি আল-কুরেশি মৃত্যুবরণ করেন৷ দেখুন অভিযানের কিছু মুহূর্ত...
ছবি: Mohamed Aldaher/REUTERS
মার্কিন অভিযান
সিরিয়ার আতমেহতে বুধবার মার্কিন সেনারা এক অভিযান চালায়৷ সেই অভিযানে মৃত্যুবরণ করেন আইএস প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-হাশেমি আল-কুরেশি৷
ছবি: Mohamed Aldaher/REUTERS
নজরদারি বাইডেনের
অভিযান চলার সময় হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুম থেকে নজর রাখছিলেন জো বাইডেন৷ কমলা হ্যারিস ও অন্য উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা আধিকারিকরাও তার সঙ্গে ছিলেন৷
ছবি: The White House/REUTERS
বিস্ফোরণে ছারখার
তুরস্ক সীমান্তের কাছে আতমেহতে জঙ্গি নেতার লুকিয়ে থাকার খবর ছিল মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে৷ পরিকল্পনামাফিক অভিযান চালায় তারা৷ বিস্ফোরণের পর বাড়ির অন্দরের ছবি ধরা পড়েছে আলোকচিত্রীর ক্যামেরায়৷
ছবি: Mohamed Aldaher/REUTERS
আত্মঘাতী বোমা হামলা
যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা বাড়ি ঘিরে ফেলার পর আত্মঘাতী বোমায় সপরিবারে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন আইএস প্রধান৷ সেই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের৷ তাদের মধ্যে ছয়জন নারী এবং চারজন শিশুও রয়েছে৷ ভয়াবহ বিস্ফোরণে আশপাশের কিছু বাড়িরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷
ছবি: Mohamed Aldaher/REUTERS
হামলার ক্ষত
এলাকার একটি বাড়ির রান্নাঘর৷ মার্কিন সেনা অভিযানের পর তা একেবারে ভেঙেচুরে গিয়েছে৷
ছবি: Mohamed Aldaher/REUTERS
শাটারে গুলির দাগ
আতমেহ এলাকার একটি দোকানের শাটারের এই ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অভিযানের সময় কী পরিমাণ গোলাগুলি চলেছে৷
ছবি: Mohamed Aldaher/REUTERS
ডিসেম্বর থেকে নজরে কুরেশি
২০১৯ সালে সিরিয়াতে মার্কিন সেনাদের আরেক অভিযানে আইএস-এর সাবেক প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির মৃত্যুর পর কুরেশি দায়িত্ব পান৷ তার গতিবিধির উপর নজর রাখছিল যুক্তরাষ্টের সেনারা৷ গত ডিসেম্বরে অভিযানের পরিকল্পনা নেয় তারা৷ ছবিতে অভিযান শেষে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছেন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা৷
ছবি: Mohamed Aldaher/REUTERS
বিস্ফোরণে ধ্বংস
আতমেহ অঞ্চলের সেই এলাকার অনেক বাড়িই অভিযানের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত৷ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সেখানে উদ্ধার তৎপরতায় ব্যস্ত৷ বাইডেন এই অভিযানের জন্য মার্কিন সেনাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ সেনারা নিরাপদে ফিরে আসায় স্বস্তিও প্রকাশ করেছেন তিনি৷
ছবি: Mohamed Aldaher/REUTERS
স্থানীয়দের সরিয়ে অভিযান
অভিযান শুরুর আগে স্থানীয়দের হাত তুলে দ্রুত নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বলা হয়৷ ছবিতে প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া এক বাড়ির কিছু পোশাক৷
ছবি: Mohamed Aldaher/REUTERS
9 ছবি1 | 9
আবু হুসেইন আল-কুরেশি গতবছর নভেম্বর থেকে আইএস প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। তার আগের আইএস প্রধান আবু হাসান আল হাশিমি আল-কুরেসি দক্ষিণ সিরিয়ায় এক অপারেশনে মারা যান। তার আগের আইএস প্রধান আবু ইব্রাহিম আল হাশেমি আল-কুরেশি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন বাহিনীর বিশেষ অপারেশনের সময় নিজেকে উড়িয়ে দেন।
২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা শাসন করত আইএস। পরে অ্যামেরিকার নেতৃত্বাধীন বাহিনী তাদের কাছ থেকে এই এলাকার অনেকটাই ছিনিয়ে নেয়। এখন তারা ইরাক ও সিরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলে গেছে এবং সেখান থেকে অন্তর্ঘাতমূলক কাজকর্ম চালায়। যে সব এলাকা তুরস্কের প্রভাবে রয়েছে, সেখানে আইএসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আগেও অভিযান চালানো হয়েছে।